শনিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৮

MECHANICAL ENGINEERGIN BOOKS MASTER COLLECTION

Please. go thorough the website

WEBSITE LINK

Pls. download this book

 PDF BOOK DOWLOAD LINK

 

MATLAB PROGRAMMING MASTER COLLECTION

Please. go thorough the website

WEBSITE LINK

Pls. download this book

PDF BOOK DOWLOAD LINK


মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৮

Subject Review #Mechatronics_Engineering ( MTE)

Subject Review
#Mechatronics_Engineering ( MTE), KUET

Mechatronics, এই নাম শুনে খুব কম মানুষই আছেন যারা বিস্ময় প্রকাশ করেননা। Mechatronics কি? নাম শুনেই একটু ধারণা করা যায় এটা Mechanical আর Electronics এর সমম্বয়, বরং এটি হলো যন্ত্রের সাথে মানুষের সমম্বয়। বলা যেতে পারে Mechatronics হলো সেই এরিয়া যেখানে সায়েন্স ফিকশন বাস্তব রূপ লাভ করে।
উইকিপিডিয়া অনুসারে, Mechatronics is a multidisciplinary field of science that includes a combination of mechanical engineering, electronics, computer engineering, telecommunications engineering, systems engineering and control engineering.
বাংলাদেশে মেকাট্রনিক্স সাবজেক্টটার আগমন একেবারে নতুন হলেও বিশ্বের দরবারে সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ইঞ্জিনিয়ারিং সাব্জেক্ট হলো এই মেকাট্রনিক্স।
সরকারী ইউনিভার্সিটিগুলোর মধ্যে ২০১৩ সালে সর্বপ্রথম RUET মেকাট্রনিক্স সাবজেক্টটার (MTE) সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। এই বছর এই department KUET এ চালু করা হয়েছে।
CUET এ ২০১৫ সালে Mechatronics and Industrial Engineering (MIE) ও DU তে ২০১৬ সালে Robotics and Mechatronics Engineering (RME) ডিপার্ট্মেন্ট খোলা হয়।
এর আগে অবশ্য একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে মেকাট্রনিক্স ছিলো।
যাই হোক, এখন আসি মূল কথায়। এই মেকাট্রনিক্স আসলে কি? কিই বা এর কাজ? আর মেকাট্রনিক্সে পড়াশোনা করে ভবিষ্যতই বা কেমন হবে?
সায়েন্স ফিকশন জগতের বাস্তব এক প্রতিচ্ছবি হলো মেকাট্রনিক্স। Dark Knight এর Batmobile, Ironman এর Suit, Real Steel এর Battlebot, Star Trek এর spacecraft Enterprise-D, Robocop এর Cyborg সবই মেকাট্রনিক্সের এপ্লিকেশন। আমাদের নানা-দাদার যুগে যা কল্পনাতেও অবাস্তব ছিলো, তা আজ মেকাট্রনিক্সের ঘরের সাধারণ আসবাবপত্র।
স্বয়ংক্রিয় কিংবা মানবনিয়ন্ত্রিত সব অত্যাধুনিক যন্ত্রের ইনভেনশন, দৈনন্দিন আর ইন্ডাস্ট্রিয়াল যত মেকানিজমকে অটোমেট করে দেয়া, মেকানিকাল-ইলেক্ট্রনিক আর সফটওয়্যার সিস্টেমকে একইসাথে কন্ট্রোল করা ইত্যাদি হলো মেকাট্রনিক্সের মূল কাজ।
এই মেকাট্রনিক্স হলো মেকানিকাল, ইলেকট্রিকাল, কম্পিউটার সায়েন্স, প্রোগ্রামিং, কমিউনিকেশন আর কন্ট্রোল সিস্টেমের অসাধারণ এক কম্বিনেশন।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ন্যানোটেকনলজি, সাইবারনেটিক্স, রোবোটিক্স, অটোমোবাইল, অ্যারোনটিক্যাল, হাইড্রোডাইনামিক্স, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, স্মার্ট ভেহিকল সিস্টেম, টেলেকমিউনিকেশন, এভিওনিক্স, বায়োমেডিকেল সবই মেকাট্রনিক্সের অন্তর্গত, আর নাহলে রিলেটেড।
মেকাট্রনিক্সের সেক্টর এতটাই হিউজ যে, ফিউচার এই সাবজেক্টটাই লিড করবে তাতে সন্দেহ নেই।
এবার আসি কি পড়তে হবে মেকাট্রনিক্সে।
ফার্স্ট ইয়ারেই Mechatronic system, Electrical circuit, Computer fundamental and Programming আর Mechanical এর বেসিক কোর্স পেয়ে যাবে তোমরা।
এরপর আস্তে আস্তে পাবে Engineering Mechanics, Manufacturing Process, Electronics, AutoCad, Sensor, Signal Communication, Digital Systems, Electromechanical Systems, Microcontroller and Interfacing, Machine Dynamics, Hydraulic and Pneumatic Control, Material Mechanics, Automation, Digital Signal Processing and Machine Vision, Machine Learning Algorithm, Aerodynamics and Avionics, Advanced Vehicle Technology, Micro-Nano Technology, Embedded Systems, Robotics, Computer Integrated Manufacturing, Artificial Intelligence, Human-Robot Interaction, Biomedical, Multimedia Systems, Rapid Prototyping, Programmable Logic Controller এর মত ইন্টারেস্টিং আর ইমার্জিং সব ফিল্ড নিয়ে কোর্স।
তোমার পুরো পড়ালেখাটাই থাকবে analysis, implementation আর experiment এ পরিপূর্ণ। পুরোই সায়েন্টিস্ট আর ইনভেনটরের মতো ফিলিংস!
মেকাট্রনিক্সের জব সেক্টর নিয়ে বলতে গেলে খুব বেশী ত্যানা পেচানোর প্রয়োজন নেই। এক জরিপে দেখা গেছে অ্যামেরিকার একজন মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারের বার্ষিক গড় বেতন ৮৩ হাজার ডলার। আর মেকাট্রনিক্সের কাজ একইসাথে ইইই, মেকানিক্যাল আর সিএসসি নির্ভর হওয়ায় বেতন আরও বেশি হবার সম্ভাবনাও অনেক। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
(১) মাইক্রো কন্ট্রোলিং বেসড বেশকিছু কোম্পানি আছে যেখানে মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার দরকার।
(২) যে সকল ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে অটোমেটিক কন্ট্রোলের ব্যাপার আছে।
(৩) আর ইলেক্ট্রিকাল, মেকানিকাল, সিএসসি রিলেটেড ফিল্ড তো আছেই।
All the existing fields of engineering represents what we are except Mechatronics is the only field of engineering which represents what we will be
ইতোমধ্যে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশনে ৫৬টি শূন্য পদে প্রার্থী নিয়োগের জন্য মেকাট্রনিক্স বিভাগের নাম এসেছে, যদিও এখনো পর্যন্ত (২০১৭) কোনো মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার পাব্লিক ভার্সিটিগুলো থেকে বের হয়নি!
এছাড়া বাহিরের দেশের ভার্সিটিগুলোতে মেকাট্রনিক্স নিয়ে অনেক কাজ হওয়ায় উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে মেকাট্রনিক্স তোমার সামনে খুলে দিবে বিশাল এক দরজা। USA, UK, Australia, Canada সহ আরও বেশ কিছু উন্নত দেশের ৫৯টির মত ভার্সিটিতে মেকাট্রনিক্সের জন্য পোস্টগ্র্যাজুয়েশন অফার করছে।
তাছাড়া, মেকাট্রনিক্স থেকে অসংখ্য ফিল্ডে চাইলেই শিফট করা যায়। তুমি চাইলেই Cybernetics, Artificial Intelligence, Quantum Computing ইত্যাদি সাব্জেক্ট নিয়ে হায়ার এব্রোড স্টাডির জন্য যেতে পারবে মেকাট্রনিক্স থেকে।
এবার কুয়েটে মেকাট্রনিক্সের ফ্যাসিলিটি নিয়ে কিছু কথা বলি। কুয়েটের মেকাট্রনিক্স বাংলাদেশের পিওর মেকাট্রনিক্স। এখানে তুমি পাবে কুয়েটের মোস্ট ট্যালেন্টেড কিছু শিক্ষকদের ছত্রছায়া। তাঁদের তত্ত্বাবধায়নে ডিপার্টমেন্টে প্রচুর পরিমাণ কাজ হয়। অসাধারণ একটা সিলেবাসও তৈরী করে দিয়েছেন তাঁরা।
এছাড়া ডিপার্ট্মেন্টে আছে আন্তর্জাতিক মানের Control System ল্যাব , Artificial Intelligence ল্যাব। অতি শীঘ্রই আরও ল্যাব হয়ে যাচ্ছে যেগুলো তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক স্যারের আগ্রহে কমপ্লিট হতে চলেছে।
ভবিষ্যতের খুলনাতে নিউ জেনারেশনের এই সাব্জেক্ট নিয়ে যারা পড়তে চাও, নিঃসন্দেহে একটা আন্তর্জাতিক মানের প্লাটফর্ম পেতে চলেছো যা তোমার ক্রিয়েটিভিটি কাজে লাগাতে ভালোভাবেই সাহায্য করবে আশা করি।
মেকাট্রনিক্স নিয়ে অনেকেরই একটি ভুল ধারণা আছে, এটি বোধহয় রোবোটিক্সের আরেকটি নাম। যা একেবারেই ভুল। মেকাট্রনিক্সের বিশাল রাজত্বের সামান্য একটি অংশ হলো রোবোটিক্স। বরং মেকাট্রনিক্সে ফিল্ডের কোনো অভাব নেই। তাই সপ্ন যদি হয় মানুষকে টেকনলজি ফ্রেন্ডলি করার তাহলে- ওয়েলকাম টু দ্যা ওয়ার্ল্ড অফ মেকাট্রনিক্স!

ভাইয়া কোথায় ভর্তি হলে ভালো হয়?

- ভাইয়া আমার তো কুয়েট, *য়েট, *বি, *স্ট ইত্যাদি ইত্যাদি সব জায়গায় হইছে। কোথায় ভর্তি হলে ভালো হয়?
ভর্তি মৌসুমের এই সময়ে অন্যতম হট টপিক এটি। যদিও লাইফ তোমার নিজের, সিদ্ধান্ত তোমারই নেয়া উচিত, তবুও এই বিষয়ে কিছু বলা যাক।
.
.
ভার্সিটিতে ভর্তিচ্ছু স্টুডেন্ট মূলত দুই প্রকার।
১) যারা সাব্জেক্ট কে আগে প্রায়োরিটি দেয়
২) যারা ভার্সিটির কোয়ালিটিকে আগে প্রায়োরিটি দেয়
.
.
প্রথম শ্রেণির যারা এরাও আবার দুই প্রকার।
.
.
১) যারা ছোট থেকেই কোন নির্দিস্ট সাব্জেক্টের উপর প্যাশোনেট ( ৯০% ক্ষেত্রে এটা সি.এস.ই )। এদের ক্ষেত্রে যেটা হয় তারা টার্গেট করে ভার্সিটি যেটাই হোক আমাকে পড়তে হলে সি.এস.ই/ ট্রিপল-ই পড়তে হবে। যেখানেই এই সাব্জেক্ট পাবো সেখানেই ভর্তি হবো। এটা একদিক থেকে ভালো, কারন প্যাশন থাকলে ভার্সিটি কোনো ফ্যাক্ট না। সো যারা এই ক্যাটাগরির তাদের ক্ষেত্রে আমি মনে করি যেখানে নিজের প্যাশনের সাব্জেক্ট পাবা সেখানেই ভর্তি হয়ে যাও।
.
.
২) যাদের কোনো সাবজেক্ট সম্পর্কে কোনো ধারনাই নেই। মানুষ বলছে অমুক সাব্জেক্ট ভালো, অমুক সাব্জেক্ট এর দাম নাই তাই অমুকটা বাদ দিয়ে তমুকটা পড়া উচিত। আমার মতে ভার্সিতি লাইফে চরম ডিপ্রেশনে থাকে এই ক্যাটাগরির মানুষরা। ধরো অমুক তোমাকে বলল - "আরে ব্যাটা সি দ.এস.ই ছাড়া ইঞ্জিনিয়ারিং পইড়ে লাভ আছে নাকি, মেকা বাদ দে, সি.এস.ই ল"। অমুকের পরামর্শে নিলা সি.এস.ই , কিন্তু তুমি প্রোগ্রামিং একদম বুঝোনা বাট মেকানিক্সে কলেজ লাইফে খুব ভালো ছিলা। আলটিমেটলি কিন্তু ডাবল লস করলা ভুল সময়ে ভুল সাব্জেক্ট চুজ করে। আঁকতে ভালোবাসো, কল্পনা করতে ভালোবাসো কিন্তু লোকের কথায় আর্কিটেকচার না নিয়ে নিলা মেকানিক্যাল, ৪ বছর কষ্ট তোমারই হবে ভাই। সো নিজের শক্তির জায়গা বুঝে সাব্জেক্ট চুজ করো, সেই সাব্জেক্ট যেখানে পাবা সেখানে ভর্তি হও।
.
.
এবার আসি দ্বিতীয় শ্রেনির কথায়। এদের নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে প্যাশন নেই আবার কোন বিষয় পড়তে অনীহাও নেই। তোমরা জোর দাও ভার্সিটির কোয়ালিটি, নিজ শহর থেকে ভার্সিটির দু্রত্ব, আবাসন ও ভার্সিটির সামগ্রিক ফ্যাসিলিটিজ-এ যাতে ৪ বছর মোটামুটি স্বাচ্ছন্দ্যে থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করতে পারো। নির্দিস্ট কোন বিষয়ে প্যাশন না থাকলে এমন কোথাও যেয়োনা যেখানে বর্ষায় সাপের ভয়ে ক্লাস বন্ধ থাকে বা শহর থেকে যেখানে যেতে অনন্তকাল লাগে কিংবা ধূলাবালির সাগরে গোসল করা লাগে ..
.
.
আর ভাইয়া ভার্সিটি লাইফ শুরুর আগেই অমুক সাব্জেক্টে পড়ে কি জব হবে, কোন সাব্জেক্টে স্যালারি বেশি,কোন সাব্জেক্টে বি.সি.এস কোটা বেশি এসব হিসাব মিলাতে বসোনা। যেখানেই যে সাব্জেক্টেই পড়ো গ্রাজুয়েশনের চারটা বছর ভালোমত পড়ো। ভার্সিটি গুলায় কিন্তু তোমরা চান্স পেয়েছো ইন্টারমিডিয়েটের দুই বছরের ফলাফল আর বেসিক দিয়ে,সেখানে কিন্তু ভার্সিটি অথোরিটি দেখতে যায়নি কে নটরডেম আর কে অঁজপাড়া গায়ের কোন কলেজের।মেধার ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থীদের বেঁছে নেয়া হয়েছে। জব লাইফটাও ঠিক সেম, ওখানেও মেধার ভিত্তিতে যোগ্যদেরই নিয়োগ দাতারা বেছে নিবে। সো আগে শেখো, পরে দেখো।
.
.
সকলের জন্য শুভ কামনা।

###Collected Post

এই লেখাটা পড়ো ইম্প্রুভমেন্টের সব জিজ্ঞাসার উত্তর পেয়ে যাবে আশাকরি!

এই লেখাটা পড়ো ইম্প্রুভমেন্টের সব জিজ্ঞাসার উত্তর পেয়ে যাবে আশাকরি!

#ইম্প্রুভমেন্টঃ

ইঞ্জেনিয়ারিং এর জন্য বাংলাদেশের সবথেকে ভাল ইউনিভার্সিটি কোনগুলো তা বলার দরকার নেই। বুয়েট,কুয়েট,চুয়েট,রুয়েটের স্বপ্ন সবারই থাকে। এইখানে চান্স পরের কথা আগে কিছু রিকয়ারমেন্ট কমপ্লিট করতে হয়। আর তা এইচ.এস.সি এক্সামের রেজাল্টের উপর নির্ভর করে। আর রেজাল্ট খারাপ হয়ে গেলে ত এইখানে এক্সামই দিতে পারা যায় না।

শুধু তাই না এখন ত মেডিকেলের এক্সামেও জিপিএর উপর ২০০ মার্ক থাকে। রেজাল্ট খারাপ হইলে এইখানেও চান্স পাওয়া কষ্টকর হয়ে যায়।

যাইহোক অনেকেই জানতে চেয়েছে ইম্প্রুভ সম্পর্কে। আবার অনেকের আদৌ কোন ধারণাই যে ইম্প্রুভমেন্ট কি? তাই এই পোষ্টে ইম্প্রুভমেন্টের খুঁটিনাটি সব বলার চেষ্টা করব ইন-শা-আল্লাহ।

## ইম্প্রুভমেন্ট কি?
--- এ+ না আসলে নতুন করে সব এক্সাম দিয়ে আগের চেয়ে ভাল রেজাল্ট করা।

## কারা দিতে পারবে ইম্প্রুভমেন্ট এক্সামঃ
--- যাদেএ এ+ আসে নাই তারা দিতে পারবে। এ+ আসলে দেয়া যায় না।

## লাভ কি?
--- ইম্প্রুভমেন্ট দিলে সেকেন্ড টাইমার হিসেবে কাউন্ট করা হয় না। ফার্স্ট টাইমার হিসেবেই কাউন্ট হয়। (ঢাকা ইউনিভার্সিটি বাদে)
তবে কেউ যদি ১ম বার ঢাকা ভার্সিটিতে এক্সাম না দেয় তবে ইম্প্রুভমেন্ট দিয়ে এক্সাম দিতে পারবে।
আর মেডিকেলের ক্ষেত্রে সেকেন্ড টাইমারদের যে ৫ মার্ক কাটা যাইত তা যাবে না। (এই বছর কাটেনি)
বুয়েট,কুয়েট,চুয়েট,রুয়েটে এক্সাম দেয়া যায়। (আমি দিয়েছি)

## কোথাও ভর্তি থাকা অবস্থায় দেয়া যায়?
--- যায়। যদি কলেজ আগের রেজাল্টের সার্টিফিকেট, মার্কশীট না চায়।

## এক্সাম দিতে যা করা লাগবে
--- এইটা কলেজ টু কলেজ ভেরি করতে পারে। আমার ক্ষেত্রে আমি ডিরেক্ট কোন কাগজ ছাড়া কলেজে গিয়ে ফর্ম ফিলাপ করছিলাম। আমার টেস্ট এক্সামও দিতে হয়নি।

## নির্দিষ্ট কিছু বিষয় নাকি সব বিষয়ে এক্সাম দিতে হবে?
--- সব বিষয় দিতে হবে।

## সিলেবাস কি?
--- তুমি এবছর যে সিলেবাসে এক্সাম দিছ ঐসিলেবাসেই এক্সাম হবে। সো নতুন কোন সিলেবাস নেই। আগের পড়াই ঝালাই করে নিতে হবে।

## প্রাক্টিকাল সব দিতে হবে কিনা?খাতা নতুন করে করা লাগবে কিনা?
--- প্রাক্টিকাল সব দিতে হবে। আর খাতার ব্যাপার টা নতুন করে করা লাগে নাই আমার। আমার যে কলেজে প্রথমবার এইচ.এস.সি এক্সাম হইছিল ঐকলেজের কিছু টিচার আমার পরিচিত ছিল। তাই আমি ঐখান দিয়ে খাতা নিয়ে আসছিলাম আর ঐ খাতাতেই হইছিল।

## রেজাল্ট আগের চেয়ে ভাল হলে সব ইউনিভার্সিটি তে এক্সাম দেয়া যাবে কিনা?
--- যাবে। যদি এবছর ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে এক্সাম দিয়ে না থাক তাইলে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতেও এক্সাম দিতে পারবা। এবার কোন ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটিতে এক্সাম দিলেও প্রবলেম নাই। রেজাল্ট ইম্প্রুভ হলে ঐগুলাতেও দিতে পারবা। আর মেডিকেলে যদি দেও তাইলে ৫ মার্ক কাটবে না।

****সবশেষে কিছু কথাঃ
--- নিজের জন্য পড়। নিজেকে শক্ত কর। অনেক কষ্ট হবে হয়ত কিন্তু ফলটা মিষ্টি হবে। রাস্তাটা যদি সহজ হয় তাহলে বলার মত কোন গল্প থাকবে না। যত কঠিন হবে তোমার জীবন ততটাই সুন্দর হবে। এ+ পাওনি,চান্স পাওনি তা নিয়ে মন খারাপ না করে সেইটাকে শক্তিতে পরিনত কর। জীবন যুদ্ধে জয় পাবা।

উদ্ভাসে ২য় বার ক্লাস করার সময় তাওহীদ ভাই একটা কথা জিজ্ঞেস করছিলেনঃ
-- ম্যাচিউরিটি কি? উত্তর টা উনিই দিছিলেন, "কোন কিছু মেনে নেয়াটাই ম্যাচিউরিটি। বাচ্চাদের ইমম্যাচিউর বলা হয় তাই তারা সহজে কোন আবদার ছেড়ে দেয় না।"

সো তুমি ম্যাচিউর হইও না। চান্স পাওনি সেটা মেনে নিও না।

পোষ্টা সবার জন্য না। সবাইকে চান্স পেতে হবে না। ২/১ জন যদি পোষ্ট টা দেখে নিজেকে গড়তে পারে সেইটাই পোষ্ট দেয়াটার সফলতা। তাই নিজের একটা গল্প বানাও। গল্পটা নিয়ে গর্ব করার মত বানাও। বেস্ট অফ লাক।

Aidid Alam
- MIE (Cuet 17)

রবিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৮

URP(URBAN AND REGIONAL PLANNING)-SUBJECT REVIEW

URP(URBAN AND REGIONAL PLANNING)
- নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা,কুয়েট।
তোমাদের যে কোর্স দিচ্ছে তা হলো Bachelor of Urban and Regional Planning(BURP)
এই বিশাল নামটার মতই সাবজেক্ট টাও একটি বিশাল Area জুরে আছে। URP একটি Multi-Dimensional সাবজেক্ট। যেখানে তুমি পাবে ৩ ধরনের Taste. একসাথে পাবে Civil Engineering এবং Architecture Flavour. তার সাথে Planning Sector এর Theme. Planning সাবজেক্ট টা বেশ পুরোনো ১৯১৭ সালে Liverpool University তে সর্বপ্রথম Planning Degree Provide করে। সাবজেক্টটা কেনো সৃষ্টি হলো মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে। শিল্প বিপ্লব এর পর Europe এ শুরু হয় Factory Town তৈরি।(Factory Town হলো এক ধরনের Town যেখানে Factory Workers থাকত)। Factory Town ছিলো কিছু আজকের দিনের বাংলাদেশের এর Slum গুলোর মত। সেইখানে পরিবেশ ছিলো অস্বাস্থ্যকর এবং আবর্জনাময়।
তখন Civil Engineers, Architects এবং সার্ভে ইউনিট নিয়ে প্রথম তৈরি হয় Town Planning Committee. কিন্তু বুঝতে পারছোই তারা ৩ টা ডিফারেন্ট সেক্টর মিলেও Town Planning এর সমস্যা সমাধান করতে পুরাপুরি সার্থক হয়নি। এ কারণেই Planner হিসেবে আরও একটি জব সেক্টর এর আগমন ঘটে এবং শুরু হয় Urban Planners দের জয় জয়কার।
নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিষয়টি মূলত পূরকৌশল, স্থাপত্য বিদ্যার সংমিশ্রণ ।পুরকৌশল এর প্রাথমিক কিছু কোর্স করানো হয়।
পাশাপাশি স্থাপত্যবিদ্যা নিয়েও বেশ ঘাটাঘাটি করতে হয় । এছাড়া পরিকল্পনা বিষয়ক নিজস্ব কিছু কোর্স তো আছেই ।পরিকল্পনা বিষয়ক কোর্স গুলোর
উল্লেখযোগ্য হলঃ~ Site and Area Planning
~ Natural hazards & Disaster Management
~ Land Development and Management
~ Planning of Utility & Municipal Services
~ Planning of Tourism & Recreational Facilities
~ Environmental Planning & Management
~ Traffic & Transportation Studio
~ Transportation Policy & Planning
~ Rural Development Planning
~ GIS & Remote Sensing
~ Political Science & Local Government
~ Landscape Planning Design
~ Housing & Real Estate Development
এছাড়াও পুরকৌশলের কিছু কোর্সও পড়ানো হয়, , এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল,~ Basic Environmental Engineering
~ Elements of Civil Engineering Structures
~ Water Resource Planning
এছাড়াও মেকানিক্স, প্রোগ্রামিং এবং স্থপত্য বিদ্যার কিছু
মৌলিক কোর্সও করানো হয় । এছাড়াও গ্রাফিক্সের কিছু
সফটওয়্যার, জী আই এস এসব সম্পর্কে বিষধ
ধারণা দেয়া হয়.(source:মোঃ সুপ্ত করিম-নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ,রুয়েট (১২ সিরিজ))
#চাকরীর_ক্ষেত্রঃ সরকারী চাকরীর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হল,রাজধানি উন্নয়ন কতৃপক্ষ(রাজউক), এলজিইডি, এলজিআরডি, গণপূর্ত অধিদপ্তর,
দেশের সকল সিটি কর্পোরেশন, সকল পৌরসভা,পরিকল্পনা কমিশনে নগর পরিকল্পনাবিদের আসনে আসীনহতে পারবে । UNDP, UNICEF, UNESCO এর অধিনে আয়োজিত বিভিন্ন প্রজেক্টেও পরিকল্পনা বিদদের চাহিদা ভালই ।দেশেরপ্রতিটি কন্সট্রাকশন ফার্ম ও কন্সাল্টেন্সী ফার্মে স্বীকৃত পরিকল্পনাবিদ থাকাটা এখন বাধ্যতামূলক । আর বিভিন্ন রিয়েল ষ্টেট কোম্পানি, এনজিও,বেসরকারি সংস্থাতেও রয়েছে কাজের প্রচুর সুযোগ ।এছাড়া পরিকল্পনা বিষয়ক
বিভিন্ন সফটওয়্যার বিশেষ করে GIS (geographic information system) এর ব্যাবহারে দক্ষ হতে পারলে জীবনে কখনই থেমে থাকতে হবে না, GIS এর প্রয়োগবিধিতে দক্ষ হতে পারলে আবহাওয়া অধিদপ্তর,কৃষি বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর অনেক জায়গাতেই কাজ করা সম্ভব । এমনকি, ট্রান্সপর্টেশনের ক্ষেত্রেও এখন প্ল্যানার এর ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হচ্ছে । এছাড়া যে কেউ চাইলেই প্রকৌশলীদের সাথে কারিগরি দিকেও কাজ
করতে পারে ।আর দেশের বাইরে এই সাবজেক্টের চাহিদা তো রীতিমত আকাশচুম্বী, ,উন্নত বিশ্বে নগর থেকে শুরু করে সকল স্থাপনাই সুপরিকল্পিত
ভাবে গড়ে উঠে, আর তাই উন্নত দেশগুলোতে এই সাবজেক্টের চাহিদা মনে হয়না নতুন করে বর্ণনা করার দরকার আছে ।তবে, শর্ত প্রযোজ্য, , তোমাকে অবশ্যই অবশ্যই এগুলার যোগ্য হতে হবে । শুধু পাশ করে বের হলেই যে তোমাকে আমাকে ডেকে দেশে কিংবা বিদেশে নিয়ে গিয়ে চাকরি দিবে,এইটা ভাবার কোন নাই.(source:মোঃ সুপ্ত করিম-নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ,রুয়েট (১২ সিরিজ))
3500 NGO এবং 250 tar beshi INGO আছে BD te. এগুলোতে প্ল্যানাররা কাজ করছে।
এবার আসি বাংলাদেশ এর Planning Sector নিয়ে। আমরা সবাই জানি উন্নত বিশ্বের থেকে আমরা সবসমহ পিছনে থাকি এবং এখনোও আছি।
এখনো বাংলাদেশ একটা পরিপূর্ণ পরিকল্পিত দেশ নয় যেমনটা বাইরের দেশগুলো অনেক পরিকল্পিত। যেমন: USA, UAE ইত্যাদি। So, বাংলাদেশকে কে তোমার Planning Creativity এবং Logic দিয়ে করে ফেলতে পারো বাইরের উন্নত দেশগুলোর মতই পরিকল্পিত।
Preferable sectors to carry on your higher Studies:
1. Transportation Engineering( মূলত Transportation Planning)
2.Development Studies
3.Disaster Management
4. Urban Design
5.Environmental Sector
6.GIS( Geographic Information System)
7. Landscape Planning
8. Urban Economics
9.Water Resource Development
11.Architecture
12.URP
এছাড়াও বিভিন্ন সেক্টরসে তুমি যেতে পারো চাইলে।
বাইরে যে URP এর ডিমান্ড আকাশ্চুম্বি তা তুমি একটু ঘাটাঘাটি করলেই জানতে পারো। অনেক বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও Planning Course চালু আছে।
যেমন:
1.University of Massachusetts- Amherst
2. University of Central Florida
3.Boston University.
4. Harvard University
7. University of Southern Carolina
8. Georgia Institute of Technology.
এছাড়াও বাংলাদেশে BUET,KUET,RUET,CUET,JU,KU তেও রয়েছে URP সাবজেক্টটি।একবার নিজের কাছে নিজের মেধা দিয়ে যাচাই করো যে যদি একটা সাবজেক্ট এর মূল্য কমই হয় তাহলে সেটা সরকার এতগুলা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করলো কেন?
The people of the old world have their cities built for times gone by, when railroads and gunpowder were unknown. We can have cities for the new age that has come, adopted to its better conditions of use and ornament. We want,therefore, a city planning profession..
- Horace Bushnell,City Plans(1894)
শেষ এ বলতে চাই Engineer এবং Planner এর পার্থক্য কিছুই না তুমি যেকোনো Sector থেকেই সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জন করতে পারো। এছাড়াও অনেকেই Engineer হওয়ার সুযোগ পেয়েও Planner হওয়ার জন্য এ সাবজেক্টটি বেছে নিয়েছে।
এছাড়াও আমাদের দেখা অনেক পরিচিত সিনিয়র ভাইরাও Engineering সাবজেক্ট পেয়েও URP বেছে নিয়েছে।
আশা করি URP তোমাদের হতাশ করবে না।
Best of Luck, Beloved Juniors
(কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন)
moderated and checked by: Maahi Chowdhury bhai(URP,2K14,KUET)
written by : Rajin Redowan(URP,2K16)
moderated by:আহনাফ আদিব(URP,2K16)
#proud_to_be_a_planner
#proud_to_be_urpian

Subject Review Mechanical Engineering

Subject Review
Mechanical Engineering, RUET
(Mechanical faculty থেকে সর্বশেষ department হিসেবে আজকে review দেওয়া হলো mother of engineering খ্যাত Mechanical Engineering নিয়ে)
রুয়েট ১৯৬৪ সালের ডিসেম্বরে ১২২ জন ছাত্র নিয়ে যাত্রা শুরু করে। তখন
থেকেই এখানে যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধীনে সন্মান
ডিগ্রী প্রদান করা হত। বর্তমানে মেকানিকাল ডিপার্টমেন্টের total seat 180 যা Ruet এর সবচেয়ে বড় department. গুলোর একটি।
কালের পরিক্রমায় আজ এই ডিপার্টমেন্ট টি স্বয়ংসম্পুর্ণ। এর
রয়েছে হাই স্কিল্ড টিচার, আধুনিক সুযোগ সম্বলিত অত্যাধুনিক
ক্লাসরুম, নিজস্ব কনফারেন্স রুম, স্বয়ংসম্পূর্ণ ল্যাব।এর
রয়েছে ক্যাড ক্লাব, অটোমোটিভ সোসাইটি,
রোবোটিক সোসাইটি, টিম ক্রাক প্লাটুন, অগ্রদূত সহ আরো অনেক society.
মেকানিক্যাল নিয়ে সবচেয়ে প্রচলিত রিউমার গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মেকানিক্যাল কঠিন + দেশে মেকানিক্যালের চাকরী নাই।
কোন ইঞ্জিনিয়ারিং ই সোজা না। শুধু শুধু মেকানিক্যাল কে দোষ দিয়ে লাভ আছে? তবে এটা ঠিক মেকানিক্যালে অনেক বেশি টপিক পড়তে হয়, অন্যদের তুলনায় একটু বেশি চিন্তা ভাবনা মাথার ভেতর রাখতে হয়। ১২ বছর পড়াশোনা করার পর যারা এই পর্যন্ত আসছ, তাদের জন্য এইটুকু করা কঠিন কিছু না।
চাকরির ব্যাপারে যেটা বলবো, সেটা হলো, শোনা কথায় কান না দিয়ে জব প্রোভাইডারদের সাইট গুলোতে একটু ঘুরে আসো। অধিকাংশ চাকরিতে তে লেখা BSc in ME/EEE বা BSc in ME/IPE মানে, মেকানিক্যাল পড়লে তুমি অনেক EEE + IPE রিলেটেড জব এও এপ্ল্যাই করতে পারবা। এইটা একটা advantage। দেশে মেকানিক্যালের চাকরি নাই, কথা টা ১০০% ভুল। আর, বিদেশে তো সোনায় সোহাগা।
“২০০৯ সালের হিসাব মতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৬ লক্ষ প্রকৌশলী কর্মরত আছেন। তারমধ্যে প্রায় ২৩৯০০০ (১৫%) যন্ত্র প্রকৌশলী যা পুরকৌশলীদের(২৭৮০০০) পর দ্বিতীয় সর্ব বৃহৎ বিভাগ। ২০০৯ সালের পরিসংখ্যান মতে প্রতি দশকে ৬% হারে যন্ত্রপ্রকৌশলীদের কর্মসংস্থান বাড়ছে, যাতে প্রত্যেক স্নাতক ডিগ্রীধারী প্রকৌশলীদের প্রাথমিক বেতন হল প্রতি বছরে ৫৮,৮০০ মার্কিন ডলার । যন্ত্রপ্রকৌশলীদের গড় বেতন প্রতি বছরে ৭৪,০০০ মার্কিন ডলার, যা সর্বোচ্চ প্রতি বছরে ৮৬,০০০ মার্কিন ডলার এবং সর্বনিম্ম ৬৩,০০০ মার্কিন ডলার”
এখানে যা যা পড়ানো হবে:
Applied Mechanics
Fluid Engineering
Heat Transfer
Tribology
Aerospace & Automobile
Energy Conversion
Fuels & Combustion Technologies
Nuclear Engineering
Power Engineering
Advanced Energy Systems
Solar Engineering
Petroleum
Ocean, Offshore & Arctic Engineering
Environment & Transportation
Noise Control & Acoustics
Rail Transportation
Solid Waste Processing
Engineering & Technology Management
Manufacturing Engineering
Pressure Vessels & Piping
Systems & Design
Fluid Power Systems & Technology
Electrical & Electronic Packaging
Robotics
RUET মেকানিকালের ল্যাবসমূহঃ
মেট্রোলজি ল্যাব,
হিট ইঞ্জিন ল্যাব,
ফ্লুইড ল্যাব
উড শপ,
মেশিন শপ,
ফাউন্ড্রী শপ,
বয়লার ল্যাব,
ওয়েল্ডিং শপ
শিট মেটাল,
fitting shop,
কম্পিউটার ল্যাব।
এছাড়া বর্তমানে এই list এর বাহিরেও আরো কিছু lab আছে এবং নতুন আরো কিছু lab যোগ করা হচ্ছে।
RUET Mechanical, RUET এর অন্যতম অত্যাধুনিক department. Full AC clalassroom, উন্নত এবং আধুনিক Lab, Seminar roomo সহ আরো অনেক সুবিধা আছে এই department এ।
সাম্প্রতিক সময়ে ইকোরান প্রতিযোগীতা এবং অন্যান্য
প্রতিযোগীতায় রয়েছে মেকানিকালের ঈর্ষনীয়
সাফল্য।
#WHY_RUET_MECHANICAL­ should be preferred
১।টিম ক্র্যাক প্লাটুন।
গত ২২ অক্টোবর, ২০১৬ এ ভারতের KCT Dirt Track
অনুষ্ঠিত Quad Bike Design Challenge-2016 প্রতিযোগিতায়
৬ষ্ঠ স্থান অর্জন করে। এমনকি এই টিমটি Best Passionate
Team Award অর্জন করে।রুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের
কিছু উদ্দ্যমী শিক্ষার্থীরা মিলে এই টিমটি গঠন করে ২০১৫
সালের নভেম্বর মাসে।তাদের মাত্র ১১ মাসের পথচলায় তারা
ভারতের এই প্রতিযোগিতা ছাড়াও Valeo Innovation Challenge
2015 এ অংশগ্রহন করেন এবং Youth Fest-2016 এ রাজশাহী
জোনে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
এছাড়া Team Crack Platoon তৈরি করেছে Bangladesh এর সর্বপ্রথম Formula racing Car যা Japan এ অনুষ্ঠিত Student formula racing carar comcompetition এর জন্য নির্বাচিত হয়।
এ সম্পর্কে জানতে : facebook.com/crackplatoon.ruet
২। ইকোরান ২০১৫
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এর
দ্বিতীয়বারের আয়োজন, ইকো রান বাংলাদেশ ২০১৫
প্রতিযোগিতা; ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় বরিশালের বঙ্গবন্ধু
উদ্যানে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স
অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি), আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০টি দল
প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় তিন ও চার চাকার গাড়ি
বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) দল—রুয়েট ইঞ্জিনিয়াস ও টিম ওয়ান
৩। ইকোরান ২০১৩
ঢাকায় আয়োজিত ২০১৩ এর ইকোরানে থ্রি হুইলার
ভেহিকেল ডিজাইনে রুয়েট এভেঞ্জারস রানার্সআপ হয়;
আর রুয়েট গ্রাফিঞ্জ তৃতীয় স্থান অর্জন করে।
৪। অত্যাধুনিক ক্লাসরুম
HEQEP এর প্রোজেক্টে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়
অংশগ্রহণ করে, কিন্তু রুয়েট মেকানিক্যাল তার যোগ্যতার
মাধ্যমে প্রজেক্টটি অর্জন করে। এই প্রজেক্টের
অধীনে ৪টি অত্যাধুনিক ক্লাসরুম(AC, Projector, Sound
system) এবং একটি সেমিনার রুম ইতিমধ্যে বানানো হয়েছে।
আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রোতিযোগীতার পাশাপাশি প্রতিবছর
তো মেকা ফেস্ট নামক ধামাকা থাকছেই।
Mechanical Engineering চাইলেও সবাই পড়তে পারে না। Bangladesh এ BUET,RUET,KUET,CUET,IUT,AUST এই মাত্র এই subject টি পড়ানো হয়ে থাকে।
So তোমার ছোটবেলার লালিত স্বপ্ন কে বাস্তবে পরীণত করতে চলে আসো Ruet Mechanical এ।
Welcome to dept. of ME, RUET.
(ছবি তে Mechanical department এর heat engine lab building যার দ্বিতীয় তলায় Mechanical Department এর class হয়ে থাকে। ছবি তুলেছেন Oyasima Asmi Sanzida Bonty)

Subject Review : ARCHITECTURE (স্থাপত্য)

Subject Review :
ARCHITECTURE (স্থাপত্য)
প্রথমেই বলে নেই আর্কিটেকচার কিন্তু প্রকৌশল নয়। আবার আর্কিটেকচার কোন সাবজেক্ট ও নয়। তাহলে আর্কিটেকচার কী? এর উত্তর হয়ত ১০ বছর এই ক্ষেত্রে থেকেও বুঝা যাবে না। ছাত্র হিসাবে আর্কিটেকচার যতটা পড়া তার চেয়ে বড় হল লাইফ স্টাইল। সেটা কেমন? এটাও বলার নয় দেখে অণুকরণ করার নয় নিজে নিজে গড়ে নেবার ব্যাপার। সেটা কীভাবে কেন কোথায় এর উত্তর কেবল যিনি কাজটি করছেন তিনিই দিতে পারেন।
তাহলে আর্কিটেকচারে কী পড়ায়? বিল্ডিং ডিজাইন করা? নিশ্চয়ই। তবে সেটা সামান্য পার্ট মাত্র। আর্কিটেক্ট কী করে? বিল্ডিং ড্রইং করে। সেটা সবাই পারে না ঠিকই। কিন্তু সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বা নিয়ম জানা সাধারণ মানুষ ও পারে। তবে কেন এদের দরকার? আর শুধু কী এই ই করে? প্রশ্ন অনেক উত্তর সামান্য। এসবই নিজের এক্সপ্লোর করার ব্যাপার। এটুকু বলে দেয়া যায় একজন আর্কিটেকচার ছাত্রের জন্যে জীবন,প্রকৃতি আর মানুষ হল পড়ার বিষয়। এর সাথে সম্পর্কিত যা যা হতে পারে সবই এখানে পড়ানো হয়। ডিজাইন করা আর তাকে ডেভেলপ করা এটাই মূল কাজ। ডিজাইন যে কোন বিষয় এর হতে পারে।
চাকরী নিয়েও কিছু বলা যাবে না। এমনকী তুমি আর্কিটেক্ট হবে কী না তাও না। বেতন বা এরকম ব্যাপার নিয়ে কথা বলা বোকামি। তবে যারা ভাব যে “না খেয়ে মরতে হবে” তাদের দ্বিধাহীন কন্ঠ্যে শুধু বলতে পারি “না।”
এবার আশা যাক কী কী চাই।
অসীম ইচ্ছা, পরিশ্রমী মানসিকতা, Ambition, fitness আর নিজেকে প্রকাশ করার ইচ্ছা ও ক্ষমতা। এটা পর্যাপ্ত জ্ঞান সম্পন্ন যে কেউ স্বীকার করবে যে জগতে যত বিদ্যা আছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান হয় তার মাঝে আর্কিটেকচার শেষ করা সবচেয়ে কঠিন। আর কী যোগ্যতা লাগে? ভাল আকতে পারা? হলে ভাল। না হলে খারাপ তাও না। তবে অল্পতে তুষ্ট না হওয়া, মূলের বা সাধারণের বাইরে চিন্তা করা এবং কখনো হার না মানার মত মন দরকার। শিক্ষার প্রসেসটা খুব দ্রুত না। আবার অল্প সময়ে অমানুষিক পরিমান চাপ নিতেও হয়। সুতরাং যা সবচেয়ে আগে চাই তা হল “ আমি আর্কিটেকচারই পড়তে চাই” এই ইচ্ছা। আমি আবারো বলছি আর্কিটেকচার তোমাকে কোথায় নিয়ে যাবে আমি জানি না, কীভাবে যাবে তাও না। তবে যেতে হবে নিজেকে আর রাস্তাটা যথেষ্ট কঠিন।
ভাল কিছু কথা না বললে কেউ সেই ইচ্ছাটা পাবে না। আর্কিটেকচারের শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্ব, চিন্তাধারা, জীবন যাপন থেকে জীবিকা সব এই বিষয়ের blessing বলা যায়। জিজ্ঞাসা করলেই জানবে এই ডিপারর্টমেন্ট যেখানেই আছে সত্যিকারের আনন্দ আর জীবন সেখানে খুজে পাওয়া যাবেই। জানা ও শেখার পরিধিতে যে কোন মানুষের সাথে পাল্লা দিতে পারে একজন আর্কিটেক্ট। ধরা যাক একটা স্কুল ডিজাইন করতে হবে। বাচ্চা থেকে টিন এজার দের মানসিকতা, শিক্ষকের শিক্ষাদানের উপায় থেকে শুরু করে দেশের ও বিশ্বের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে দিনের পর দিন কাজ করে যেতে হয়। যেটা অনেক শিক্ষাবিদ ও করেন না অনেক সময়। এবং কাজটা সহজ নয়। ৫ বছর প্রায় ২০০ ক্রেডিট এর মাঝে ইতিহাস থেকে ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিকাল থেকে সিভিল সব যেমন আছে ডিপার্টমেন্টের নিজস্ব সাবজেক্ট এর বৈচিত্র যে কাউকে মুগ্ধ করে দেবে। যেমন শুধু গান এর আসল স্বাদ বোঝার জন্যে ১.৫ ক্রেডিট এর কোর্স আছে এতে। এটা শুধুই সামান্য চিত্র দিচ্ছে কেবল। এমন অনেক মজায় অনেক ব্যাথায় ভরা এক জীবনের নাম আর্কিটেকচার।এখানে বন্ধু মানে পরিবার হয়ে ওঠে, জীবন মানে প্রজেক্ট হয়ে যায়,অস্বাভাবিক খুব স্বাভাবিক হয়ে যায় আর শেষে সৃষ্টির অর্থ খুজে বের করা মাঝে মাঝে যায়। এটাই মজা, এটাই উৎসাহ। আর্কিটেকচার শুধুই তাদের যারা এটা করতে চায়।
কর্ম সংস্থানের সুযোগ
---------------------------
• স্থাপত্য ডিজাইন সংস্হা সমুহ
• স্থাপত্য ও প্রকৌশল সেবা সংস্থা
• কেন্দ্রীয় গণপূর্ত বিভাগ
• সমবায় সমিতি
• উদ্যোক্তার উদ্যোগ
• সরকারি – শহুরে উন্নয়ন বিভাগ
• জাতীয় নির্মাণ প্রতিষ্ঠান
ইত্যাদি
আয়ের সুযোগ
-------------------
স্থাপত্যবিদের জন্য মধ্যম মানের
বেতন হল প্রতিবছরে৩.৫লাখ।
প্রতি বছরে প্রায় ১.৭৫ লাখ
থেকে শুরু করে এটা প্রতি বছরে এক
কোটি টাকা পর্যন্ত উন্নীত
হতে পারে।
(সংগৃহীত)
------------------
শুভ কামনা
---------------------
নাহিন রায়হান
Archi -2K16

BME: Biomedical Engineering (Subject Review)

BME: Biomedical Engineering (Subject Review)
"বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং" বাংলাদেশের বেশ কিছু ইউনিভার্সিটিতে চালু হওয়া প্রকৌশল বিদ্যার একটি শাখা।এদেশে তুলানামুলক নতুন হলেও উন্নত বিশ্বে এর কয়েক দশক পার হয়ে গেছে। BME কি?বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ কি?দেশ বিদেশে চাকরি ও গবেষণার সুযোগ ইত্যাদি কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হল।
#BME কি?
বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং হল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সেই শাখা যেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং জ্ঞান প্রয়োগ করে মেডিক্যাল সাইন্সয়ের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হয়।বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমেই মেডিকেল সাইন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং এর মধ্যে যে বিস্তর ফারাক তা দূর করেছে।বলা হয়ে থাকে যেখানে ডাক্তারদের সামর্থ্য শেষ সেখানেই বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ শুরু। বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারদের ছাড়া কখনোই চিকিৎসা বাবস্থার উন্নয়ন সম্ভব নয়।কেন নয়?পড়তে থাকুন...
#বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ কি?/বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারদের ক্ষেত্র কি কি?
অনেকের ভুল ধারণা আছে যে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ হল শুধু চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত যন্ত্রের ব্যবহার ও তার রক্ষণাবেক্ষণ। কিন্তু এটি হল খুব ক্ষুদ্র একটি ক্ষেত্র। কিন্তু সত্যিকার অর্থে এটি বিস্তৃত একটি শাখা।জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে হিউম্যান রোবটিক্স, সবই বায়োমেডিকেলের অংশ।বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারদের মূল লক্ষ্য হল চিকিৎসা বিজ্ঞান কে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।চিকিৎসা ক্ষেত্রে যে সকল যন্ত্র-সরঞ্জাম দরকার হয় ওই সব যন্ত্রসমূহের আরও উন্নতি সাধন ও তৈরি করা থেকে শুরু করে মানব জীবনে যে প্রতিবন্ধকতা আছে, তা দূর করে তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে নিয়ে আসা। যেমন ECG, X Ray,MRI,CT, PET, SPECT থেকে শুরু করে ড্রাগ ডেলিভারী,কৃত্রিম হৃদপিণ্ড, পেসমেকার, কৃত্রিম বৃক্ক, কৃত্রিম লেন্স,artificial organ উদ্ভাবন সহ কোন দৌড়বিদ কিভাবে দৌড়ালে সবচেয়ে দ্রুত দৌড়াতে পারবেন বা ইনসুলিন কিভাবে আরও উন্নত করা যায় এরকম হাজারো সমস্যার উন্নত সমাধান দিয়ে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং আমাদের জীবনকে করেছে আরও উন্নত। সহজ ভাষায় বলতে গেলে ডাক্তারের হাতে থাকা ইনজেকশন বা গলায় থাকা স্টেথোস্কোপও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ার এর অবদান। বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিস্তৃত শাখার কয়েকটার নাম দেয়া হল যেগুলোর ওপর পরে Higher studies করা যাবেঃ
• Neuro-Engineering • Tissue & Regenerative Engineering • Bio-instrumentation • Bioinformatics • Bio-mechanics • Bio-material • Biomedical optics • Bio-signal • Biotechnology • Clinical Engineering • Medical device/equipment • Medical imaging.•Pharmaceutical eng. • Rehabilitation eng. • System psychology • Bio-acoustics• Biochemical eng • Biosystem eng • Genetic eng • Food and Biological Process Engineering • Microbiological eng • Safety Engineering • Systems biology • Synthetic biology etc etc
এছাড়াও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের উদাহরন কার্ডিয়াক পেসমেকার, রক্ত অক্সিজেনেটর, রোগীদের নিরীক্ষণ থেরাপিউটিক ব্যবহারের জন্য ডিজাইন মেশিন ও ডিভাইস। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর ভিত্তি করে ক্লিনিকাল সিদ্ধান্ত গ্রহণের কৌশল, বিভিন্ন ইমেজিং পদ্ধতিতে ডিজাইন, উন্নয়ন এবং গবেষণা,নিউরোমডুলেশন ডিভাইস,বোন রিপ্লেসমেন্ট, এমনকি স্টেম সেল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মত কাজ ও হচ্ছে হরহামেশাই।
#চাকরির বাজার কেমন?
বাংলাদেশে সাবজেক্টটা নতুন হওয়ায় এটার চাকরীর বাজার এখনও অন্যান্য সাবজেক্টের মতো অতটা বেশী না। অনেক ভালো ভালো হাসপাতালে এখন অনেক ভালো বেতনে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেয়া হয়।দেশে অনেক কম্পানি আছে যারা মেডিকেল ইকুইপমেন্ট নিয়ে কাজ করে করে।আর বিভিন্ন ভার্সিটিতে শিক্ষক হয়ার সুযোগ।
#বিসিএসঃ
এই সাবজেক্ট খোলার উদ্যেশ্য ছিল সরকারী হাসপাতালের দামী মেডিকেল যন্ত্রগুলো রক্ষনাবেক্ষন ও মেইনটেনেন্স।তাই সব সরকারী হাসপাতালে সরকারী জবের অপশন থাকবে এবং ইঞ্জিনিয়ারের স্কেলেই বেতব হবে। সরকারের এই বিষয়ে বিল পাশ হবে বলে শোনা যাচ্ছে।এতটুকু বলা যায়, BUET,KUET,MIST এর উপরমহল থেকে অনেক তোড়জোড় চালাচ্ছে।বর্তমানে শুধুমাত্র সরকারী ভাবে ৩০০০+ বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন।ইতিমধ্যে সরকারীভাবে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হচ্ছে।
#বিদেশেঃ
US Money news এর তথ্য অনুযায়ী ২০১৬ তে যুক্তরাষ্ট্রে যে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে ৫ম বেস্ট ইঞ্জিনিয়ারিং যাদের job growth ২৩% যা অন্যান্য যে কোন চাকরীর থেকে বেশি।এছাড়াও Germany,Canada, United Kingdom সহ অনেক দেশে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারদের অনেক চাহিদা রয়েছে।
তবে, শর্ত প্রযোজ্য। যথাযথ যোগ্য হলেই তোমাকে আমেরিকা বা অন্যান্যরা চাকরি দেবে।
#এই সাবজেক্টে পড়ে গবেষণার সুযোগ কতটা?
এই সাবজেক্টে গবেষণার অনেক বেশী সুযোগ আছে। হয়তো তুমি ক্যান্সার বা কোন ভাইরাস নিয়ে গবেষণাও করতে পারবে। হয়তো বা মানবদেহের জন্য যুগান্তকারী কিছু বানিয়েও ফেলতে পারবে। আরো অনেক মেডিকেল ইকুইপমেন্ট আছে যেগুলো আরও আপগ্রেড করা একজন বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারেরই কাজ। আপনার জন্য গবেষণার হাজারটা রাস্তা খোলা আছে এখানে।আর উপরে উল্লেখ করা সেক্টরগুলোতে এই গবেষণার অফুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে।সবচেয়ে বেশি স্কলারশিপ এখন এই ফিল্ডেই দেওয়া হচ্ছে এবং ফান্ডিংও ভাল (যদিও সেটা GRE, IELTS, TOEFL এর স্কোরের উপর নির্ভর করে অনেকটা)। অনেকেই ইলেক্ট্রিকাল, মেকানিকেল পরে এ সাবজেক্টে স্কলারশিপ পেয়ে বাইরে যাচ্ছেন।তবে দেশে গবেষণার সুযোগ কম।
#বায়োমেডিকেলে এ কি কি পড়তে হয়?
Basic Engineering এর course করতে হবে;অনান্য engineering department এর মত math এর course থাকবে;medical part এর Human anatomy and physiology পড়তে হয়।তবে মেডিকেল এর মত ওতোটা বিস্তারিত ভাবে পড়ানো হয়না।আর biochemistry,cell biology, bioelectricity, medical imaging, bioinformatics, clinical & hospital management, এর মত বেশ কিছু course পড়ানো হয় যা ভার্সিটি ওয়াইজ ভিন্ন হয়।KUET BME এর course list এই লিঙ্ক এ পাওয়া যাবে (https://tinyurl.com/y6wm493f)
বাংলাদেশে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এর যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সালে KUET এর postgraduate এর মধ্যদিয়ে এরপর ২০০৮ সালে Dhaka Univeristy তে postgradate খোলা হয় Biomedical Physics & Technology Department এ।
অতঃপর ২০১৪ সালে KUET ও MIST তে ও ২০১৫ সালে BUET,২০১৬ সালে JUST এবং ২০১৭ সালে Iislamic Univeristy তে Undergraduate খোলা হয়েছে।আর বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে Gono University তে এই সাবজেক্টটা পড়ানো হয়।
শেষ কথা,বাংলাদেশে স্কোপ কম কিন্তু আছে আর বাইরে অনেক বেশি।তোমার যদি মানবদেহের সম্পর্কে জানতে ভাল লাগে আবার ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও আগ্রহ থাকে তবে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং হবে তোমার জন্য যথাযথ। ভালোবাসা থেকে পড়লে তোমাকে কেউ আটকে রাখতে পারবে না;তোমার সাফল্য অবশ্যম্ভাবী।
শুভকামনা রইল ভবিষ্যতে সকল বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের।
---Written by KUET_BMEian

শনিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৮

Subject Review: TEXTILE ENGINEERING

Subject Review: TEXTILE ENGINEERING
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংঃ দ্যা মোস্ট আন্ডাররেটেড সাবজেক্ট এবং কুয়েটের জাদু
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগটি শুনলেই আমাদের মাথায় প্রথম যা আসে তা হল জামা-কাপড় কাটাকুটির ব্যাপার আর মনেহয় এইটা আবার ইঞ্জিনিয়ারিং কি? বেশিরভাগের নাক সিটকানো তো আছেই। আশা করি পরবর্তী কয়েক মিনিটে তোমাদের অনেক ভুল ধারণা ভেঙ্গে দিতে পারব, এই বিভাগ কি আর কেনই এর দরকার, কারখানা ছাড়া আর কোন চাকরি কি পাওয়া যায় অথবা এর কি আদৌ কোন উচ্চশিক্ষার সুযোগ আছে এইসব নানা প্রশ্নের উত্তর তোমাদের সামনে তুলে ধরতে চেষ্টা করব।
আগে আমরা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর পরিচিত রূপটা নিয়েই আলোচনা করি। প্রথমত সবাই মনে করে এটা কাপড়-চোপড়ের ইঞ্জিনিয়ারিং। হ্যা অবশ্যই এই বিষয়ে কাপড় নিয়ে আলোচনা করা হয় কিন্তু ইঞ্জিনিয়াররা পুরো প্রডাকশন সিস্টেমটা নিয়ন্ত্রণ করেন, কাপড় কাটা বা সেলাই করার সাথে তারা যুক্ত না। এছাড়া এই ইন্ডাস্ট্রি রিলেটেড যে কাজগুলো আছে তার অন্যতম একটি হল মারচেন্ডাইজিং। এই কাজটি খুবই ইন্টারেস্টিং। এখানে বহু দেশের বহু সংস্কৃতির মানুষের সাথে যোগাযোগ হবে, এমনকি চাকরীর খাতিরে অনেক দেশ ভ্রমণের সুযোগ পাওয়া যাবে। এর সাথে উদ্যোক্তা হবারও বেশ ভাল সুযোগ থাকবে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে জব করলে। আর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম কয়েক বছর হয়ত খুব কঠিনই, কিন্তু পরিশ্রম করতে পারলে এখানেই সবচেয়ে দ্রুত উন্নতি করা যায়। আর সত্যি বলতে উন্নতি করতে হলে সব ইঞ্জিনিয়ারদেরই প্রথমে খুব কষ্ট করতে হয়। এছাড়া বলতে পারি, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারেরা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেক্টরে কাজ করে, সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করে। বাংলাদেশ থেকে প্রোডাক্ট নিতে না পারলে বেশিরভাগ বড় ব্র্যান্ডের(রিবক, নাইকি, ডি এন্ড জি, ভারসেচ, লিভাইস এমনকি ইউএস আর্মি এর ক্যামোফ্লেজ ড্রেস) ব্যবসাই হুমকির মুখে পড়বে। এতটা দাপটের সেক্টরে কাজ করার সুযোগ, তাও আবার দেশে বসে সিক্স ডিজিটের স্যালারিসহ কাজের সুযোগ এই সেক্টরের বাইরে খুব কম মানুষই পায়।
অনেক তো বলা হল তোমাদের জানা ব্যাপার নিয়ে। এখন আসো একটু জানার চেষ্টা করি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং আসলে কি? নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটি, ইউএসএ, যাকে কিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার স্বর্গ বলা হয় তারা তাদের ওয়েবসাইটে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংকে তারা ব্যাখ্যা করেছে এভাবে-Who is a Textile Engineer?
A textile engineer is someone who…
• Develops a nano-composite material for deep space exploration
• Integrates a worldwide distribution program, eliminating a company’s reliance on regional stockpiles
• Develops new biocompatible materials for artificial organs, blood vessels, tendons, or ligaments
• Designs a product that grants more independence to those with disabilities
…to make a difference.
অর্থাৎ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারকে মহাকাশ গবেষণার জন্য ন্যানো-কম্পোজিট নিয়ে কাজ করতে হয়(বাংলাদেশ থেকেই অনেক টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার নাসায় কর্মরত আছেন )। কাজ করতে হয় বায়োকম্পাটিবল প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট নিয়ে, বর্তমানে অনেক ইমপ্ল্যান্টস, টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃত্রিম ধমনী, লিগামেন্টস তৈরি ও উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারেরা। এই বিষয়টি অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। বিশ্বাস নাহলে ঘুরে দেখে আসতে পারো জাপানের SHINSHU UNIVERSITY এর ওয়েবসাইট থেকে। এই বিশ্ববিদ্যালয় টেক্সটাইল গবেষনায় এশিয়ায় পায়োনিয়ার বলা যায় যাদের মেডিকেল সায়েন্স বিভাগ টেক্সটাইল সায়েন্স ফ্যাকাল্টির অধীনে। এখানে অনেক ইমপ্ল্যান্টস, বায়ো কম্পাটিবল প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করা হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন হাই পারফরমেন্স ফাইবার যেমন গ্লাস, এরামিড, কার্বন ফাইবার যেগুলো মেটালের ব্যবহার অনেক কমিয়ে দিচ্ছে তা নিয়ে জানা যাবে এই বিষয়ে পড়লে। আরেকটি বিষয় হল ই-টেক্সটাইল/স্মার্ট টেক্সটাইল। এটি বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় একটি বিষয়। এতে পরিধানযোগ্য ইলেকট্রনিক পণ্য বা wearable technologies নিয়ে কাজ করা হয়। এই বিষয়ে Youtube এ e-textile লিখে সার্চ দিয়ে ভিডিওগুলো দেখতে পারো। আমি নিশ্চিত এই ভিডিওগুলো দেখা শুরু করলে আর বাকি সব কাজ রেখে এই ব্যাপারগুলো নিয়েই ঘাটাঘাটি করতে ইচ্ছে করবে। এর বাইরে প্রোডাকশন প্ল্যানিং নিয়ে তো কাজ করতে হয়ই। আর এখানেই খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জাদু। এটি বাংলাদেশের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার নবীনতম সদস্য। এর কারিকুলাম প্রণয়নের সময় বিবেচনা করা হয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে জবের জন্য আদর্শ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার গড়ে তোলা আর উন্নত রাষ্ট্রে গবেষণার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার গড়ে তোলা। অন্য যেকোন জায়গায় গবেষণার ব্যাপারটা বেশ কম গুরুত্ব পেলেও এখানে এটাই Top Priority. ইন্ডাস্ট্রি রিলেটেড সব বিষয়গুলোর পাশাপাশি টেকনিক্যাল টেক্সটাইল, হাই পারফরমেন্স ফাইবার, প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর মত বিষয়গুলো এখানে বেশ গুরুত্বসহকারে ও বিস্তৃতভাবে পড়ানো হয়, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এখানে মেকানিক্যালের বেশ বড় কোর্স আছে। সাথে বেসিক ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিএসই এর কিছু কোর্স পড়ানো হয়। আর অনেকের প্রশ্ন থাকে বুটেক্সের মত এখানে বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয় কিনা। অবশ্যই হয়, তবে তা ফাইনাল ইয়ারে। থার্ড ইয়ার পর্যন্ত সবাই একসাথেই পড়বে, একই সিলাবাসে। ফাইনাল ইয়ারে যেকোন এক বিষয়ে স্পেশালাইজেশন করতে হবে।
তো আমরা বুঝতেই পারছি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে উচ্চশিক্ষার বেশ ভাল সুযোগ আছে ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স(নর্থ আমেরিকা বিশেষত ইউএসএতে,আর ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইউকেতেও এই বিভাগের অধীনেই টেক্সটাইল গবেষণা হয়), পলিমার সায়েন্স(ইউরোপ), স্মার্ট টেক্সটাইল অথবা টেকনিক্যাল টেক্সটাইল, ফ্যাশন অথবা ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল/প্রোডাকশন ইঞ্জনিয়ারিং, বায়োমেডিক্যাল, ন্যানোটেক এমনকি ন্যানোমেডিসিন নিয়ে। এই বিষয়গুলো নিয়ে কিন্তু খুব কম সংখ্যক বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরাই উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায়। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগকে নিচের কয়েকটি লাইনে পুরোপুরি ব্যাখ্যা করা যায়।
1.Mechanical Engineering
(A) Machinery design and construction
(B) Pneumatics
(C) Material resistance
(D) Assembly structure
2.Chemical Engineering
(A) Thermodynamics, unit operations
(B) Heat and mass transfer
(C) Sustainability of materials
(D) Environmental production
3.Materials Engineering
(A) Material structure and properties
(B) Polymer science
(C) Transformation of materials
(D) Nanotechnologies
4.Economics and Marketing
(A) Fashion and product vision
(B) natural material sources and commerce
আশা করি আমি তোমাদের একটা শক্ত ধারণা দিতে পেরেছি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে। একটা ব্যাপার মাথায় রেখো, এত বড় একটা সেক্টর হলেও এই বিষয়ে পড়াশুনার সুযোগ কিন্তু খুব সীমিত। তাই এখানে প্রতিযোগিতাও বেশ কম, গবেষণা, জব দুই ক্ষেত্রেই। কেউ যদি দ্বিধায় থাকো টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়া উচিৎ হবে কিনা, তাদের বলি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে আর যাই হোক ঠকবে না, আর কুয়েট টেক্সটাইলে অসাধারণ অভিজ্ঞতার গ্যারান্টি আমি তোমাদের দিয়ে রাখছি। তোমাদের জন্য শুভকামনা।
মো. মেহদী হাসান পাপন
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ২কে১৪
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা।

সাব্জেক্ট রিভিউ:-বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট Building Engineering and Construction Management(BECM)

সাব্জেক্ট রিভিউ:-বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট
Building Engineering and Construction Management(BECM)
এটা কোনো সাবজেক্ট রিভিউ না। KUET বাংলাদেশের ৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটির একটি। প্রতি বছর ১০০০০+ শিক্ষার্থী পরস্পর এর সাথে প্রতিযোগিতা করে এর সদস্য হওয়ার জন্য। প্রথমত ইহাই একমাত্র পাবলিক ভার্সিটি যেখান থেকে ৪ বছরের আগেই ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বের হওয়া সম্ভব। কুয়েট যেমন এই দিক থেকে পরিচিত ঠিক আরো একভাবে পরিচিত। এবং তা হলো ভিন্ন প্রকারের সাবজেক্ট এর জন্য। এখানে এমন অনেক সাবজেক্ট পাবা যা তোমার কানে প্রথম শোনা। কিন্তু তাই বলে কি চাকরির অভাব? মোটেই না। কুয়েট এই দিক থেকেও এগিয়ে। তুমিও এই সকল সাবজেক্ট পড়ে এগিয়ে থাকতে পারো। ঠিক এমন প্রকারের সাবজেক্ট BECM. নামটা শুনতেই এর প্রতি একটা ইন্টারেস্ট হয় আসলে এটা কি 😆CSE/EEE এই নামগুলো শুনলেই চিনে ফেলা যায়।কিন্তু BECM? 😱 এরকম আকর্ষণ তৈরি করাই এই nick name এর মাহাত্ম্য 😍 সিভিল আমরা সবাই শুনেছি😊 আর্কিটেকচার আমাদের পরিচিত 😊 ম্যানেজমেন্ট অবশ্যই অপরিচিত নয়।😊 তাহলে এগুলো বলার মানে কি? হ্যা তোমার মনে নিশ্চয় চলে আসছে BECM এ কি হতে পারে। সোজাকথা এই ৩ সাবজেক্ট নিয়েই BECM(Building Engineering and Construction Management). এত বড় নাম উচ্চারণ করতেই বুকটা কেপে উঠে। এই সাবজেক্ট এ তুমি এই ৩ সাবজেক্ট এরই মজা পাবা। সিভিল দের সাথে তোমার ডিফারেন্স কোথায়?। সিভিলে ট্রান্সপোর্টেশন পড়ানো হয় আর আমাদের এর বদলে কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট পড়ানো হয়। যেহেতু এই ৩ টিই তুমি এই সাবজেক্ট এ পাবা তাহলে বুঝতেই পারছো চাকরির বাজারে তুমি কেমন মূল্য পাবে।এখানে তুমি নিজেই নিজের সাথে প্রতিযোগিতা করবে।😍এই সাবজেক্ট প্রথম চালু হয়েছিলো কুয়েট এ। তাই এই সাবজেক্ট এর জন্য কুয়েট অনেক এক্সপার্ট। এর প্রয়োজনীয়তা চিন্তা করে গত বছর RUET এ খোলা হয়েছিলো এই ডিপার্টমেন্ট।
এখন আসা যাক BECM এর কথা। BECM এর কাজ সম্পূর্ণ building সংক্রান্ত। কিন্তু স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারদেরসাথে বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারদের পার্থক্য কোথায়?BECM এর দুটি পার্ট - বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কন্সট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট।বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং শুধু স্ট্রাকচারাল ডিজাইনই নয়, সেই সাথে সাথে বিল্ডিং এর সকল সিস্টেম ডিজাইন (ইলেক্ট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল ও প্লামবিং ডিজাইন) করে যা কিনা স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারের আওতাভুক্ত নয়।অন্য পার্ট হলো কন্সট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট, যা কিনা শুধুমাত্র BECM এই পড়ানো হবে। একজন বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ার যেমন ইঞ্জিনিয়ার, তেমনি একটা কন্সট্রাকসন প্রজেক্টের Project Manager ও হতে পারবে।# BECM এর স্টুডেন্টরা কি আর্কিটেক্ট এর কাজ করতে পারবে?- আসলে Architecture একটি বড় বিষয় । BECM এ আর্কিটেকচার এর বেশ কিছু কোর্স আছে, কিন্তু এ কয়েকটি কোর্স করে কখনোই একজন আর্কিটেক্ট এর সমমানের হওয়া সম্ভব নয়।তবে কেনো এ কোর্সগুলো করানো হয়? যাতে একজন বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ার একটি আর্কিটেকচারাল ডিজাইনের স্ট্রাকচারাল ভুলগুলো ধরতে পারে সহজেই।সেই সাথে যেন সে নিজেও বিল্ডিং ডিজানের সময় আর্কিটেকচারালভিউ চিন্তা করতে পারে এবং ক্রিয়েটিভ কিছু বানাতে পারে। বিল্ডিং মাত্রই চারকোণা একটা বস্তু নয়, বরং বিল্ডিং বিভিন্ন শেপের হতে পারে। ক্রিয়েটিভ চিন্তাকে জাগ্রত করতেই এ কোর্সগুলো ।
<what can u learn;;;;;;Building and Town Planning,Building Construction Materials,Concrete Technology,Construction and Project Management,Construction methods and equipment,Construction planning and control,Creativity and Innovation,Earthquake Engineering,Foundation Engineering,Functional efficiency of buildings,Geology and Geotechnical Engineering,ICT Tools and SecurityModern, construction material,Structural systems and design etc ....many things
তোমরা যারা এই বিষয়ে পড়তে যাবা বা পড়তে চাচ্ছো সবাই একটা কথা মনে রাখবা এখানে পড়তে হলে অনেক খাটতে হবে।নতুন কিছু করার ইচ্ছা থাকতে হবে।ভালো কিছু পেতে হলে কষ্ট তো একটু করতেই হয় 😊 The importance of construction manager লিখে সার্চ দিলে গুগলে CM এর প্রয়োজনীয়তা পেয়ে যাবা। Construction Management এ তিনটি জিনিস থাকে।
১.Risk Management
২.Construction law
৩.project management
সাথে ত আছেই construction engineering এর বিশাল ক্ষেএ। 1st world এর সবগুলি দেশসহ সবখানেই আছে construction engineering and management নিয়ে কাজ করার অনেক সুযোগ। সবগুলো টপ University তে রয়েছে এই নিয়ে পড়ার অনেক সুযোগ।
Building Engineering এর মধ্যে রয়েছে
1.Architectural Design and interior and exterior desinging of a building
2.Foundation Engineering
3.Structural Engineering
4.Geotechnical and Environmental engineering.
5.Landscape designing
6.3D max Graphics Designing
7.BIM
তাহলে এখন কি করবো? কিছু করার দরকার নেই শুধু চিন্তা করে দেখো এই সাবজেক্ট কত মজার😍 অতএব আমাদের এই ভিন্ন মজার দুনিয়ায় তোমাকে welcome.কোনো প্রকার চিন্তা ছাড়াই আসতে পারো BECM এ।
Shahriar Fahmied
#BECM_2k16
#KUET

সাব্জেক্ট রিভিউ : ইলেকট্রনিকস & কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ECE)

সাব্জেক্ট রিভিউ : ইলেকট্রনিকস & কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ECE)
অনেকের কাছে ইসিই একটু অপরিচিত বা নতুন মনে হলেও বাংলাদেশে সাব্জেক্ট অনেক আগে থেকেই আছে। ইলেক্ট্রিক্যাল ফ্যাকাল্টির অন্যতম একটি সাব্জেক্ট বিএসসি(ইঞ্জিনিয়ারিং ইসিই) কুয়েট এ যাত্রা শুরু করে ২০০১ এ। দেশের অন্য জায়গায় যেমন রুয়েট বা চুয়েট এ ইসিই ইলেকট্রনিকস & টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ETE) নামে চালু আছে এবং ঢাবিতে পূর্বে ফলিত পদার্থবিজ্ঞান নামের বিষয় এর সিলেবাস কুয়েট এর ইসিইর সিলেবাসের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।এছাড়া খুবি তে এবং কিছু কিছু প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ইসিই বা টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এ আলাদাভাবে বিএসসি করার সুযোগ আছে।
এবার আসা যাক এখানে কি কি পড়াশোনা হয়?কুয়েট ইসিই ব্যাপক বিস্তৃত সাব্জেক্ট।
এখানকার পড়ার পরে ইলেক্ট্রিক্যাল ফ্যাকাল্টির যেকোনো সাব্জেক্টে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব।আলোচনার সুবিদার্থে আমি ৩ টা ভাগে ভাগ করবো।১.ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ২.কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ৩.কম্পিউটার প্রোগ্রামিং।শুরেতেই আসি ইলেকট্রনিকস নিয়ে কি কি পড়াশোনা হয় এখানে।সেমিকন্ডাক্টর ম্যাটেরিয়াল এর বিভিন্ন গুনাবলি তাদের ভিতরে ইলেকট্রনের মুভমেন্ট কীভাবে হয়;ডায়োড,ট্রানজিটররের বেসিক ক্যারেক্টারগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা যেমন রেক্টিফিকেশন,এম্পলিফিকেশন;বিভিন্ন ধরনের লজিক গেট নিয়ে বিস্তর আলোচনা,মাইক্রোপ্রসেসর এর গঠন,ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড নিয়ে বিস্তারিত পড়াশোনা,মাইক্রোওয়েভ ইঞ্জিনিয়ারিং,বিভিন্ন ধরনের সিগন্যাল প্রসেসিং যেটা বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মূলমন্ত্র,VLSI ডিজাইন,ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইলেকট্রনিকস ইত্যাদি।কমিউনিউনিকেশন এর কথা বললে এনালগ,ডিজিটাল,ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন,এন্টেনা,স্যাটেলাইট ইঞ্জিনিয়ারিং অপটিক্যাল ফাইবার টেকনোলজি ,টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এসব হাই প্রোফাইল সাব্জেক্ট নিয়ে পড়াশোনা চলে সারাদিন এখানে।সাথে বেসিক প্রোগ্রামিং C,C++,নিউমেরিক্যাল এনালাইসিস,ইইন্টারনেট প্রোগ্রামিং,ইন্টারনেটের আদ্যোপান্ত নিয়ে পড়াশোনা করানো হয় এখানে।এর পাশাপাশি ফিজিক্স,ম্যাথ,কেমিষ্ট্রি,হিউমেনিটিস এর কিছু কোর্স আছে এখানে।যাদের সার্কিট এনালাইসিস ভালো লাগে,ইলেকট্রনিক পড়ার মাঝে মজা খুজে পাও,ICT বই এর প্রতিটা অধ্যায় যাদের টানে,যারা ইন্টারনেট নিয়ে গবেষণা করতে ভালবাসো,কিভাবে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুলভ মুল্যে সবার কাছে দেয়া যায়, এসব নিয়ে ভাবতে ভালো লাগে এবং যারা কম্পিউটারের মাদারবোর্ড এর দিকে তাকিয়ে ভাবো যে তুমি যদি মাদারবোর্ড বানাতে পারতে,ডিজাইন করতে পারতে এসব এর তাহলে কেমন হতো? এসব চিন্তা যদি কারো মাথায় আসে তাহলে নির্ভয়ে চলে আসো ইসিই ডিপার্টমেন্ট এ। নিজে হাতে কলমে সবসময় ওইসব কাজ করবে তখন!
এবার আসি ইসিই তে পড়ার পর কি করবো? শুরেতেই হায়ার স্টাডিজের কথা বলি।
ইসিই এমন একটা সাব্জেক্ট যেখানে পড়ে ইলেক্ট্রিক্যাল ফ্যাকাল্টির যেকোনো সাব্জেক্টের দিকে সুইচ করা সম্ভব। কেউ যদি চাও প্রোগ্রামিং এ ক্যারিয়ার গড়বা,তাহলে সেটা যেমন সম্ভব ঠিক তেমনি কেউ বায়োমেডিক্যাল এর দিকে যেতে চাইলে তাও সম্ভব।এছাড়া,এমবেডেড ইলেকট্রনিকস সিস্টেমের উপরে মাস্টার্স করাও যাবে। ইন্টেল,মাইক্রোসফট এর মত কোম্পানিতে জবও আমাদের পাওয়া সম্ভব। বিদেশে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি তে ইসিই থেকে পড়া স্টুডেন্টদের হিউজ চাহিদা আছে।নিসন্দেহে বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য জেতে চাইলে ইসিই একটি ব্যাপক বিস্তৃত সাব্জেক্ট।দেশে আমাদের জব করার মূল জায়গা হলো বিভিন্ন টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি যেমন;রবি।এখানে আলাদাভাবে টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার চাওয়া হয় যেদিক থেকে আমরা এগিয়ে থাকবো।আরও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক কোম্পানি যেমন;হয়াওয়ে,স্যামসাং এগুলোতে ইঞ্জিনিয়ারিং হিসেবে ইসিই দের ভালো কদর আছে। আরও বললে বিভিন্ন ব্রডব্যান্ড কোম্পানি তে আলদা ভাবে সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আমাদের কদর আছে।এছাড়া সফটওয়্যার ফিল্ডে সুইচ করে দেশের যেকোনো সফটওয়্যার ফার্মে যাওয়াটা আমাদের জন্য অনেকটাই ইজি।সরকারী জব তুলনামূলক কম কিন্তু ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এ আমাদের জব করার সুযোগ রয়েছে।এছাড়া বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিচিং প্রফেশন এ যেতে চাইলে ইসিই অন্যতম ভালো বিষয়।সর্বোপরি, ভবিষ্যত এর কথা চিন্তা করলে ইসিই দেশ,বিদেশ উভয় জায়গায় প্রেক্ষিতে একটি সম্ভাবনাময় সাব্জেক্ট।
-রাফি,ইসিই 2k17

সাবজেক্ট রিভিউ! * Industrial & Production Engineering *

সাবজেক্ট রিভিউ!
* Industrial & Production Engineering *
প্রথমেই বলে রাখি, এই রিভিউটা সম্পূর্ণ আমার জানা শোনা নিয়ে লেখা, কোনো বাড়িয়ে বলা নেই এখানে! তাই বস্তাপচা রিভিউগুলোর চেয়ে একটু কম চাকচিক্যময় হলেও বাস্তবতার সাথে ভালো পরিচয় করাবে আশা করি!
***
IPE সাবজেক্ট একটি নতুন সাবজেক্ট, কম্পারেটিভলি (EEE, ME, CE এর চেয়ে!)। এটি মেকানিকাল ফ্যাকাল্টির একটা স্পেশালাইজড সাইড!
ওয়েট ওয়েট! খটকা লাগছে? এখন সবাই ভেবে বসতেছো যে, মেকানিকাল তো বড় (মাদার সাবজেক্ট), আইপিই তো তাইলে এটার বাচ্চা! সো এটা পড়ে লাভ নাই!
সমস্যা এইখানে আমাদের! চিনি শুধু ৩ টা নাম! ইলেক্ট্রিকাল, সিভিল আর মেকানিকাল! আর কিছু তো আমাদের কানেই আসেনা! ইদানীং একটু আধটু কম্পিউটার নিয়ে হালকা পাতলা আসে!
একটা কথা বলে রাখি, মন দিয়ে শুনো ভাইয়া আপুরা,, "স্পেশালাইজড" সাবজেক্ট একটা স্পেসিফিক বিষয় নিয়ে ডিল করে, তাই এটা সবসময় আলাদা গুরুত্ব বহন করে, নিজেরাই বুঝবে যখন পড়বে। তাই গতবাধা কথা থেকে বের হয়ে আসতে হবে!
***
এখন আসি এত বড় করে দেখানো "আইপিই" তে আসলে কি কি পড়ানো হয়?
ওয়েট!
যে যেখানে বসে আছো! নড়বানা! চুপ করে বসে চারিদিকে তাকাও!
কি দেখছো?
- তোমার পরনে জামা? পায়ে জুতা? উপরে ফ্যান? পাশে পড়ার টেবিল? টেবিলের উপরে ম্যাটাডোর এর কলম? সামনে ইউনিলিভারের প্রোডাক্ট?!
এইতো?
এখন বলছি, এইসব কিছুতে একজন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার এর ইনভলমেন্ট আছে! (তার মানে এটা বলছি না যে তারা এটা বানিয়েছে! বুঝো ভালোমতো!)
- Manufacturing Process
- Operations Management
- Operations Research
- Quality Management
- Marketing Management
- Suppy Chain Management
মানে কি দাড়াচ্ছে?
- মানে হলো একটা প্রোডাক্ট এর ইনপুট থেকে প্রোসেসিং হয়ে আউটপুট বের হবার পরে তার কোয়ালিটি নিশ্চিত করে তা মানুষকে জানানো, তারপরে তা মানুষের কাছে পৌছানো! টোটাল এই কাজটা "আইপিই" করে থাকে!
এই কোর কোর্স গুলো ছাড়াও আরো অনেক বিষয়ে এখানে পড়ানো হয়!
***
আরেকটা জরুরি কথা!
- তুমি যে সাবজেক্ট এই পড়ো না ক্যানো, প্রথম দুই বছরে অন্যান্য সাবজেক্ট র সম্পর্কএ বেসিক(Basic) পার্টগুলো পড়ানো হয়। এটা যেকোনো সাবজেক্ট এই!
আমাদের ক্ষেত্রে যেমন-
* CSE (2 Courses)
* EEE (2 Courses)
* ME + CE (Mechanics)
অর্থাৎ তুমি "আইপিই" তে পড়ছো মানে এই না যে, তুমি অন্য সাবজেক্ট নিয়ে পুরোপুরি আনাড়ি থাকবা! বেসিক টা তুমি জানতে পারবে ভালোভাবেই!
***
হ্যা! বিশেষ বিজ্ঞপ্তি!
ডিজাইনার দের জন্য ও এই ডিপার্টমেন্ট পিছিয়ে নেই! ডিজাইনার হতে চাইলে শিখতে পারবে সহজেই, কারন এ নিয়েও কোর্স আছে!
- AutoCad
- Solidworks
***
এতখন কথা হলো অনলি "আইপিই" নিয়ে! এখন কথা হবে কুয়েট "আইপিই" নিয়ে!
একটা কমন প্রশ্ন- কুয়েটে " IPE না হয়ে IEM কেনো? "
- সিম্পল উত্তর : কারন এই সাবজেক্টে Management নিয়েও অনেক জোর দেয় হয়! (ইতিমধ্যে এগুলা উপরে দেখানো কোর কোর্স গুলোর মাঝেই দেখেছো!)
তাই কুয়েটে "Industrial Enginnering & Management" নামে এটি পরিচিত! তবে ভয় পেয়ো না,, এর মানে এই না যে, অন্য ভার্সিটির IPE আর কুয়েটের IEM ভিন্ন! MIND IT!
***
Higher Study???
- অনেক ভালো চান্স আছে! আমাদের কুয়েটের অনেক ভাই আপুরা এখন বাইরে পড়াশোনা করছেন! USA তে আমাদের কুয়েটিয়ান "আইপিই" দের অভাব নেই! তাই আরো পড়াশোনা করতে চাইলে কুয়েট "আইপিই" অনেক ভালো অপশন!
স্ট্রং এলামনাই প্যানেল হচ্ছে আমাদের!
***
এতখন কথার পরেতো বুঝতেই পারছো একি সাথে "ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট" - এই ইউনিকনেস নিয়েই "আইপিই" র জন্ম!
এখন তোমাদের এক্সপেক্টেড প্রশ্নের উত্তর দিয়ে শেষ করছি!
১. ভাইয়া, চাকরীর বাজার ক্যামন???
-- আপাতত পড়াশোনা করো, চাকরী নিয়ে পরে ভাবা যাবে!
তবুও বলে যাই,, দেশের WALTON, NESTLE সহ মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, Pran RFL Group, Furniture Industry, Garments সহ বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি তে জব আছে! সো টেনশন নেই!
ঠিকমত পড়াশোনা করে নিজেকে এস্টাবলিশ করার দিকে নিয়ে যাও, চাকরীর অভাব হবে না আশা করি "আইপিই" তে!
২. চাকরী তে বেতন?
-- ভাইয়ারা, বাবার কাছে টাকা চাইলেও ধাপে ধাপে মাসে মাসে এমাউণ্ট বাড়াতে হয়, একবারে ধুপ করে অনেক চাওয়া যায়না!
এখানেও সেইম! এভারেজ রেঞ্জ ই থাকবে! গ্রাডুয়ালি পেমেন্ট বাড়বে সিউর! তবে হ্যা, ইন্সিউর করছি যে, চাকরি পাওয়া নিয়ে ঝামেলা হবেনা!
কি মনে হচ্ছে? কোর সাবজেক্ট না বলে বেতন কম পাবা? অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট এর তুলনায় ইনকাম কম হবে?!
না ভাইয়া, আপু! অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট এর সাথে তুলনা করলে সবগুলোতেই সেইম বেতন এর রেঞ্জ ই থাকে! ডিফার করেনা!
তবে একটা স্পেশালাইজড এডভান্টেজ পাবা এখানে, সেটা হলো ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাথে ম্যানেজ করার ক্যাপাবিলিটি, যেটা তোমাকে বেটার জব পেতে অনেক বেশি সহায়তা করবে!
আর তুমি যদি কোনো সেক্টরে স্পেশাল হও (যেমন ডিজাইনার), তো তোমার বেতন স্পেশাল হবে! এটা আসলে প্রতিটা ডিপার্টমেন্ট এর জন্যেই প্রযোজ্য!
***
আশা করি ভালোমতো চিন্তা করে একুরেট সিদ্ধান্ত টাই নিতে পারবে!
শুভ কামনা!
***
Raihan Ahmed Joy
4th Year
Industrial Engineering & Management
KUET.

Subject Review: #Industrial_and_Production_Engineering (IPE)

Subject Review: #Industrial_and_Production_Engineering (IPE)
[ IPE কে কুয়েটে #IEM (Industrial Engineering & Management) বলা হয় ]
.
.
বাংলায় শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল । কারো যদি আইপিই সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা না থাকে লেখাটা মূলত তাদের জন্য। ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড প্রোডাকশন ইন্জিনিয়ারিং শুনার সাথে সাথেই অনেকে বলে ফেলবে, ও আচ্ছা ইন্ডাস্ট্রিতে জব করবে কিন্তু কথাটি সম্পূর্ণ ঠিক নয়। আইপিই সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা দিতে এবং আইপিই সম্পর্কে রটিত ভুল ধারণা গুলো দূর করতে এই পোস্টটি লেখা।
.
.
আইপিই হল ইঞ্জিনিয়ারিং আর ম্যানেজমেন্ট এর সমন্বয়- এক কথায় ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট, যা বর্তমানে বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ারিং জগতে এক আলোচিত সাবজেক্ট। আইপিই বুয়েটের অন্যতম জনপ্রিয় একটি বিভাগ এবং অন্যান্য সাবজেক্টকে অতিক্রম করে কুয়েট, রুয়েট, শাবিপ্রবি, যবিপ্রবিসহ অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি গুলোতেও প্রথম সারির সাবজেক্ট হিসেবে অবস্থান করছে।
.
.
ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বা শিল্প ও উৎপাদনপ্রকৌশল এমন একটি প্রকৌশল শাখা, যা পণ্য সেবা ও কাজের মানোন্নয়ন, পণ্যউৎপাদন, উৎপাদন খরচ কমানো, পরিকল্পনা প্রণয়ন, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, যন্ত্রপাতি ও সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকরণ নিয়ে কাজ করে।
আইপিই এর সাথে দুটি বিষয় জড়িত । একটি হল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অপরটি প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং।
.
.
ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং এ মূলত যে কাজগুল করা হয় তা হল অপটিমাইজেশনাল । আইপিই পড়তে আসলেই যে শব্দটা সবচেয়ে বেশি শুনতে হবে তা হচ্ছে অপটিমাইজেশন। খুব ছোট্ট এই শব্দটার যে কত বড় ক্ষমতা তা তোমরা তখনি বুঝতে পারবে যখন সুযোগ হবে প্র্যাকটিকালি কোন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার। সীমিত রিসোর্স ব্যাবহার করে সর্বচ্চ আউটপুট দেয়াই হল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং , এটা হতে পারে ম্যাথমেটিকাল ক্যালকুলেশন , লজিকাল ক্যালকুলেশন বা অন্য কোন উপায়ে । আইপিই’র ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল’ যে অংশটা রয়েছে তার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে এসব রিসোর্সের(জনবল,অর্থ, ম্যাশিন) সর্বোত্তম ব্যবহার। এইসব রিসোর্স যোগাড় করাটা কিন্তু চাট্টিখানি কথা না। তবে এগুলো যোগাড় করাটা যতটা কঠিন তারচেয়ে আরো কঠিন হচ্ছে এগুলো ম্যানেজ করা। এখানেই জাদুকরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় আইপিই। একটা ফ্যাক্টরিতে ঠিক কি পরিমাণ ওয়ার্কার থাকলে কাজ পারফেক্ট হবে, কোন একটা প্রোজেক্টে কাকে কি দায়িত্ব দিতে হবে, ঠিক কিভাবে প্ল্যান করলে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রজেক্ট নামানো যাবে, যদি প্ল্যানিং এ কোন চেঞ্জ আসে তখনই বা কি হবে, Factory Layout কি রকম হলে প্রোডাক্টিভিটি আগের থেকে বাড়বে, ঠিক কি পরিমাণ প্রোডাক্ট মজুদ (Inventory) থাকলে সেটা মার্কেট ডিমান্ডকে কভার করে ফেলতে পারবে, প্রোডাকশনের টার্গেটই বা কত হওয়া উচিৎ এই সব কিছুরই ম্যাথমেটিকাল মডেলিং নিয়ে আইপিই তে তুমি পড়বে, লাস্ট ইয়ারে এসে রিসার্চ করবে।
.
.
প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ান হয় প্রোডাকশন রিলেটেড জিনিসগুলো । একটা প্রোডাক্ট বানাতে যে কাঁচামাল লাগে তা থেকে শুরু করে একদম ক্রেতার হাতে তুলে দেওয়া পর্যন্ত সব ধাপগুলোর ম্যানেজমেন্ট তুমি এখানেই শিখবে। যেমনঃ একটা চামড়া যার দাম ১৫০০৳-২০০০৳ কিন্তু তা থেকে তৈরি জুতার দাম ৪০০০৳-৫০০০৳। তার মানে এই চামড়া থেকে ফাইনাল প্রোডাক্ট তৈরি করতে মাঝে যে ধাপগুলো আছে তাতে কিছু কিছু মূল্য যোগ হচ্ছে। খুব সহজ কথায় কাঁচামাল থেকে ফাইনাল প্রোডাক্টে আসা পর্যন্ত মাঝখানে যে ধাপগুলো এগুলো হল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ার এর কাজ । এছাড়াও প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ান হবে অপারেশন্স ম্যানেজমেন্ট যা তোমাকে প্রোডাকশন সিস্টেম নিয়ে জানতে তোমাকে সাহায্য করবে।
.
.
যাদের প্রোগ্রামিং ভালো লাগে, কম্পিউটার নিয়ে পড়ে থাকতে ভালো লাগে, নতুন নতুন সফটওয়্যার সম্পর্কে জানতে ভালো লাগে তাদের জন্যও আইপিই বেশ মজার একটা বিষয়। রিসার্চের কাজ করতে গেলেই টের পাবে কত কত সফটওয়্যার ও প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ(জাভা,সি,সি++,শার্প) সম্পর্কে তোমার শেখা হয়ে যাচ্ছে! ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িংয়ে তোমাকে দক্ষ করে তুলবে সলিড ওয়ার্ক্স, অটোক্যাড ও কাটিয়ার কোর্সগুলো।
যাদের মেশিন ভালোলাগে, ম্যাকানিজম ভালো লাগে, একটা জিনিস কিভাবে বানায় তা নিয়ে জানার আগ্রহ রয়েছে তাদের তৃষ্ণা মেটাবে ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেস, ম্যাশিন টুলসের মতো কোর্সগুলো। আইপিই’র প্রোডাকশন সাইডটা পুরোপুরি কোর ফ্যাক্টরির ইঞ্জিনিয়ারিং এর জগতে তোমাকে নিয়ে যাবে। গাড়ির ইঞ্জিন ব্লক থেকে শুরু করে অ্যারোপ্লেনের নোজ পর্যন্ত সবকিছু বানানোর প্রসেস এখানে জানতে পারবে তুমি।
মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর পাওয়ারপ্লান্ট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অটোমোবাইলইঞ্জিনিয়ারিং বাদে সব সাবজেক্টই আইপিইতে পড়ান হয়; কিন্তু কিছু কিছু সাবজেক্ট যেমন heat, mechanics, fluid, thermal এগুলো কিছুটা সংক্ষিপ্ত আকারে পড়ি। আরবাকি গুলোর সিলেবাসের আকার তাদের মতই যেহেতু সেগুলোর ক্রেডিট সমান। আবার Manufacturing Process, Product Design, Cam & Robotics, Probability & Statistics এগুলো আইপিতে ডিটেইলসে পড়ানো হয়। অন্যদিকে BBA’র core course গুলোর বেশিরভাগই আমরা পড়ি।
.
.
ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ইন্জিনিয়ারিংএ সাবজেক্ট হিসেবে ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেস, প্রোডাক্ট ডিজাইন এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, অপারেশন রিসার্চ, CAD, CAM, ইঞ্জিনিয়ারিং ইকোনোমিক্স, ইঞ্জিনিয়ারিং স্ট্যাটিসটিক্স, ইন্ডাসট্রিয়াল ম্যানেজমেন্ট, অপারেশন্স ম্যানেজমেন্ট, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক্স, থার্মোডায়নামিক্স,অর্গানাইজেশনাল বিহেভিয়ার, হিউম্যান ফ্যাক্টর ইঙ্গিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়ালসিম্যুলেশন, ফ্লুইড মেকানিকস, মেশিন টুলস, মেশিন ডিজাইন, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, Fundamentals of Electric Circuit Analysis, Electrical Machines, C Programming, Numerical Analysis সহ আরও অনেক বিষয় পড়ানো হয়।
.
.
একটা বিশাল বড় ইন্ডাস্ট্রিকে সফলতা এনে দেয়ার জন্য শুধু মাত্র একটি দুটি জিনিস গুরুত্বপূর্ন তা নয়। বরং সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থেকে শুরু করে, কর্মকর্তা কর্মচারীদের সুযোগ সুবিধা, কর্মক্ষেত্রে তাদের অবদান এবং তাদের বিনোদন সব কিছুই অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত একটি সফল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে দাঁড় করানোর জন্য। একটা প্রতিষ্ঠানের সাফল্য ব্যর্থতা সব কিছুর মাপকাঠি হয়ে দাঁড়ায় তার সামগ্রিক কর্মকাণ্ডের উপর। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া সাফল্য অর্জন অনেক কঠিন। আর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে প্রয়োজন বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে সম্যক ধারনা। যেমন মানুষের মনস্তত্ত্ব, সময়ের প্রভাব ইত্যাদি। একজন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারকে শুধু মাত্র পন্যের মান নিয়ে চিন্তা করলে হচ্ছে না বরং পুরো প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক অবস্থা, সেখানে কর্মচারীদের মধ্যকার অবস্থা সব কিছু নিয়ে কাজ করতে হয় তাকে।
.
.
ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানেজমেন্ট এর কম্বিনেশন একসাথে থাকায় আইপিই গ্রাজুয়েটদের চাকুরির ক্ষেত্রের পরিধি বিশাল।
ইন্ড্রাসটিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রধান প্রধান কর্মক্ষেত্রগুলো হল : Manufacturing Sectors, Production Sectors, Apparel Sectors, Service Sectors, Management Sectors, Business Sectors, Safety Sectors, Maintenance Sectors, Energy Sectors, Medical Sectors, Supply Chain Sectors, Textile Sectors.এ ছাড়াও আরও অনেক ক্ষেত্রে ইন্ড্রাসটিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারা চাকরী করে থাকে।
বিভিন্ন কম্পানি বুঝতে পেরেছে তাদের ইন্ড্রাসটিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ার দরকার। বিভিন্ন বড় বড় কম্পানিগুলোতে এখন IP বা IE নামে আলাদা একটা সেক্টর আছে । যেখানে তারা শুধু ইন্ড্রাসটিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারদের ই রিক্রুট করছে । যে সেক্টরগুলো আগে অন্য ইঞ্জিনিয়ারা চালাত এখন শুধুমাত্র ইন্ড্রাসটিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারাই চালায় । এসব বড় বড় কম্পানিতে প্রচুর চাকরী আছে। তোমরা চাকরী করবে British American Tobacco, Banglalink, Nestle Bangladesh, Grameenphone, Pepsico, Chevron Bangladesh, Lafarge Surmam, Unilever, Marico, Oxylane, PRAN-RFL Group, BeximcoPharma, ACI, SINGER, Square, Walton, Asian Paints, Berger, Kohinoor Chemicals, Partex, Otobi, Rahimafrooz, DBL Group, HATIL, Bangladesh Oxygen Corporate, Navana Group,AKIJ GROUP,ABUL KHAIR GROUP, BSRM, SQUIRE, PHP, DBBL, Viyellatex, Yahoo!, Intel, Google সহ বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল, দেশি ও বিদেশি কোম্পানীতে।
এ বছর থেকে বিভিন্ন পাওয়ার প্ল্যান্ট এও আইপিই এর জন্য আলাদা ডিপার্টমেন্ট খোলা হয়েছে যেখানে তারা শুধু আইপিই ইঞ্জিনিয়ার ই নিচ্ছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশ আর্মিতে ও এ বছর থেকে আলাদা ভাবে আইপিই ইঞ্জিনিয়ার নেওয়া শুরু করেছে।
এছাড়াও রয়েছে টেক্সটাইল ,গার্মেন্টস অ্যারোনটিকেল সেক্টরে অফুরন্ত সুযোগ। পরিসখ্যানে দেখা গেছে ,বাংলাদেশে প্রায় ৫৫০০ টেক্সটাইল কোম্পানী আছে। যার মধ্যে এখনো প্রায় ৪০০০ এর উপরে টেক্সটাইল কোম্পানীগুলোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইন্জিনিয়ার দরকার। শুধুমাত্র একটা IE (Industrial Engineer) এর অভাবে কোম্পানীগুলো অন্যান্য কোম্পানীর থেকে কম করে হলেও 10% কম লভ্যাংশ পাচ্ছে। তাই গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার আগেই ইন্ডাস্ট্রিগুলো জবের অফার করে থাকে।
.
.
আইপিই থেকে পরে ভাল চাকরী পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক অনেক বেশি ।কারণ আমাদের দেশের প্রথম সারির এসব কম্পানি ও প্রাইভেট অর্গানাইজেশনগুলো বিদেশ থেকে বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, মালোশিয়া ও ফিলিপাইন থেকে তাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইন্জিনিয়ারের চাহিদা মেটাচ্ছে এর প্রধান কারন আমাদের দেশের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারের অভাব ।
.
.
আইপিই থেকে গ্রাজুয়েশান কমপ্লিট করে পি এইচ ডি-র জন্য অ্যাব্রড যাওয়াও তুলনামূলক সহজ। আইপিই থেকে তোমরা পাচ্ছো প্রোডাক্ট ডিজাইন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবটিক্স ,ক্যাড, ক্যাম সহ আরও আনেক বিষয় নিয়ে হায়ার স্টাডিজ এর সুযোগ। তুমি তোমার দক্ষতা ও পছন্দ অনুযায়ী যেকোনটি বেছে নিতে পারো। তোমরা MSc/PHD করার সুযোগ পাবে নামকরা সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেমনঃ Georgia Institute of Technology; Vanderbilt University; Florida State University; University of British Columbia; Arizona State University; University of Michigan, Ann Arbor; Monash University; University of New South Wales; West Virginia University; University of Queensland; IIT; North Dakota State University; University of Alberta; Mississippi State University; State University of New York; National University of Singapore; McGill University, Canada; University of Texas, Arlington সহ আরো অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে।
.
.
তুমি কোন ডিপার্টমেন্টে পড়বে সেটা তোমাকেই ঠিক করতে হবে কেননা পড়বে তুমি নিজেই। সাবজেক্ট চয়েজ অনেক চিন্তা-ভাবনা করে নিতে হয়। বর্তমান সময়ে কিছু ভালো সাবজেক্ট আছে যেগুলো থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী পাশ করে বের হয়। ফলে সাবজেক্ট অনেক ভালো হওয়ার পরেও তীব্র প্রতিযোগিতা ও অনেক বেশি সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী হওয়ার জন্য ঐ ফিল্ডে চাকরি পাওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে যায়। চাকরির বাজারে এই সাবজেক্ট গুলোর প্রতিযোগিতা অনেক অনেক বেশি। তাই এই সাবজেক্ট গুলো থেকে পাশ করে বের হয়ে ভালো চাকরি পেতে হলে অনেক অনেক দক্ষ হতে হবে, শুধু পাশ করলেই হবে না। অপরদিকে, এমন কিছু সাবজেক্ট আছে যেগুলোর ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা খুবই কম কিন্তু চাকরির বাজারে ডিমান্ড বেশ ভালোই। এগুলো থেকে পাশ করে বের হওয়ার পরে চাকরি পাওয়াটা তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ কারণ আর কিছুই নই প্রতিযোগিতা অনেক কম। এমনই একটি সাবজেক্ট হল আইপিই। আইপিই তে পড়লে তুমি চাকুরীকে নয় চাকুরী তোমাকে খুঁজবে। ক্যারিওর নিয়ে চিন্তিতদের আইপিই ইচ্ছাধীন নয়, আইপিই হয় তাদের প্যাশন। যেসকল শিক্ষার্থীদের গতানুগতিক সাবজেক্ট পরিহার করে ব্যতিক্রমী সাবজেক্ট নিয়ে পড়ার তীব্র ইচ্ছা,তাদের স্বাগত জানাই আইপিই পরিবারে।জীবনে সফলতার জন্য অনেক সময় ঝুঁকি নেয়ার প্রয়োজন হয়।হোক না সেটা নতুন সাবজেক্ট আইপিই নিয়ে পড়ার ঝুঁকি!
.
.
আইপিই’র সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিকটা হচ্ছে এটাই যে আইপিই তোমাকে শেখাবে কিভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করতে হয়। বেশিরভাগ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র্যাজুয়েটদের একটা কমন সমস্যা থেকে যায় যা হচ্ছে তারা অনেক কিছু জানলেও দেখা যায় তা দশজনের সামনে বলে উঠতে পারেনা, হয়তো ঐ দশজনের চেয়ে সে কিছুমাত্র কম না বরং বেশিই জানে কিন্তু প্রকাশ করতে পারে তার সামান্যটুকুই। আইপিই এক্ষেত্রেই অন্যদের থেকে ব্যতিক্রম। আইপিই তোমাকে শিখিয়ে দেবে কিভাবে দশজনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে নিজের কথাটুকু বলতে হয়। কিভাবে অন্যদেরকে বিশ্বাস করিয়ে ফেলানো যায় যে তোমাকেই তাদের দরকার, তুমিই পারবে!
.
.
অনেকে বলে থাকেন শিল্পও উৎপাদনপ্রকৌশল যতটা না প্রকৌশল তার চেয়ে বেশি ব্যবস্থাপনা। কথাটা অনেকাংশে সত্যি, কারণ শিল্পও উৎপাদন প্রকৌশলীকে প্রযুক্তির পাশাপাশি ব্যবসার পরিকল্পনা, ভোক্তার চাহিদা ও সন্তুষ্টি, বিপণন প্রক্রিয়া বিবেচনায় নিতে হয় আর একাডেমিক কারিকুলামও সেভাবে সাজানো। অন্যদিকে একটি পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ার উন্নতিরকোনো সীমা নেই। সময় ও টেকনোলজি পরিবর্তনের সাথে সাথে উৎপাদন প্রক্রিয়ারপরিবর্তন করতে হয় কারণ প্রতিটি ইন্ডাস্ট্রির চেষ্টা থাকে পরিবর্তিত পণ্যসবার আগে বাজারজাত করা। এই উদ্যোগ থেকেই ইন্ডাস্ট্রিতে ইনোভেশন হয় যারনেতৃত্বে থাকে শিল্প প্রকৌশলী।
.
.
মেয়েদের পড়ার জন্য আইপিই অনেক সুন্দর একটি বিষয় । অনেক মেয়েই মনে করে থাকে আইপিই জব সেক্টর ফেস করা তাদের পক্ষে একটু কষ্টকর। কিন্তু দেখা গেছে অনেক ক্ষেত্রে মেয়েরাই বেশী এগিয়ে। আইপি ইঞ্জিনিয়ারদের অধিকাংশ কাজ কাগজ-কলম ও কম্পিউটার এ। এজন্য আইপিই মেয়েদের জন্য একটি যুগপযোগী সাবজেক্ট । নিজের সুন্দর ও উজ্জ্বল ভবিষ্যত রচনায় আইপিই হতে পারে তোমাদের সহায়ক।
বর্তমান সময়ে প্রকৌশল শিক্ষার প্রভাব পৌঁছে গেছে সারা বিশ্বে। আমাদের দেশও এই বলয়ের বাইরে নয়। আর অসংখ্য প্রকৌশল শিক্ষার ভেতরেও কিছুটা ভিন্ন ধরনের প্রকৌশল শিক্ষা এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং। নেতৃত্বগুন, সাবলীল চিন্তাভাবনা আর সৃষ্টিশীল মনোভাব এ পেশায় একজন মানুষকে এনে দিতে পারে অবারিত উন্নতি। আর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারদের ক্যারিয়ার উদাহরন হিসাবে টিকে আছে আকর্ষনীয় জীবনের।
.
.
বর্তমানে বাংলাদেশে বুয়েট, রুয়েট, কুয়েট, সাস্ট, যবিপ্রবি, আহসানুল্লাহ ও বিএইউএসটি তে আইপিই পড়ানো হয়ে থাকে।
সিট সংখ্যাঃ BUET-50,KUET-60,RUET-60,SUST-50,
DUET-30,JUST-35,AUST-100,MIST-50,
NITER-70,BAUST-50
Credit: BAUST (IPE Department)
Courtesy:Saiful Islam Sir
Assistant Professor
Department of Industrial Engineering & Management
Khulna University of Engineering & Technology(KUET)

সাব্জেক্ট রিভিউঃ Mechanical Engineering (যন্ত্রকৌশল)

সাব্জেক্ট রিভিউঃ Mechanical Engineering (যন্ত্রকৌশল)
.
একবার ভেবে দেখেছ কি, ইঞ্জিনিয়ার শব্দটির উৎপত্তি হল কিভাবে? হুম ঠিক ধরেছ, ইঞ্জিন থেকে; আর এই ইঞ্জিন সম্পর্কিত বিষয়গুলো যে প্রধানত মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এই পড়ানো হয় সেটা নিশ্চই বলার অপেক্ষা রাখেনা! পৃথিবীর প্রথম ইঞ্জিনিয়ারও কিন্তু একজন মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার!(ওনার পরিচয় খোঁজার দায়িত্ব তোমাদের উপরই দিলাম)..যেহেতু ইঞ্জিনিয়ারিং এর উৎপত্তিই ঘটেছে এখান থেকে, তাই সাধারণত মাদার এবং অনেক ক্ষেত্রে ফাদার অফ ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে মেকানিকাল কেই বোঝানো হয়।
.
এবার কিছু প্রশ্নের উত্তর দাওঃ
১) তোমার ইঞ্জিনিয়ার হবার স্বপ্ন কি ছোটবেলার সেইসব খেলনা গাড়ি,প্লেন ইত্যাদি নিয়ে গুঁতোগুঁতি থেকে এসেছে?
২) তোমার কি যে কোন যন্ত্রপাতি দেখলেই সেটি খুলে ভেতরের রহস্য উদঘাটনের প্রবল ইচ্ছা জাগে?(পুনরায় লাগাতে পারবে কিনা সেটা পরের বিষয়)
৩)তোমার কি সবকিছু বুঝে বুঝে পড়ার অভ্যাস? অথবা না বুঝে ঢালাও মুখস্ত একদমি সহ্য করতে পারনা?
.
এই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর হ্যা বোধক হলে তোমাকে যন্ত্রকৌশল দুনিয়ায় স্বাগতম! এখানেই শেখানো হয় কিভাবে মটরগাড়ি, প্লেন, রকেট সহ যেকোনো অটোমোবাইল তৈরি এবং ডেভেলপ করতে হয়! অনেকের নাসা সম্পর্কে কৌতুহলের শেষ নেই, একবার কি ভেবে দেখেছ এইসব রকেট অথবা যেকোনো মহাকাশযান তৈরির পেছনে প্রধানত কোন ইঞ্জিনিয়াররা জরিয়ে আছে? হ্যা, এক্ষেত্রেও মেকানিকাল! অর্থাৎ তুমি ছোটবেলা থেকে যেসকল আকাশজয়ের স্বপ্ন লালন করে আছ, যন্ত্রকৌশলী হয়ে সেগুলোর খুব কাছে চলে যেতে পারো!!
.
অনেক স্বপ্ন হলো এবার বাস্তবতায় ফিরে আসি, যন্ত্রকৌশল নাম দেখে শুধু যন্ত্র নিয়েই পড়ে থাকবে এমনটি যারা ভেবে রেখেছ অথবা তোমার প্রিয় সেই গণিত, পদার্থবিজ্ঞান অথবা রসায়ন কে বিদায় দিয়ে যেকোন একটি বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে হবে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভূল,আর বিষয়টি যখন যন্ত্রকৌশল তখন এই ধারণা অনেকটা হাস্যকর! কারণ এসকল বিষয়য়ের সাথে যন্ত্রকৌশল ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। একটু ক্যালকুলেশনের ভুল বিশাল কোন বিমান যেমন ভূপাতিত করতে পারে, তেমনি কয়েক মিলি সেকেন্ডের ব্যবধান যেকোন রেসিং কার অথবা রকেটের জন্য বিশাল ব্যার্থতা ডেকে আনতে পারে।
.
অন্যদিকে যন্ত্রকৌশলে আসবে অথচ গণনাযন্ত্র (কম্পিউটার) বিষয়ে বিস্তারিত জানবেনা তা কি করে হয়! হ্যা, এখানে মেজর কোর্স হিসেবেই প্রোগ্রামিং শেখানো হয়!
এছাড়াও মেজর হিসেবে মেশিন ডিজাইনিং এর জন্য অটোক্যাড, সলিডওয়ার্কস এর মত বাঘা বাঘা সফটওয়্যার শেখানো হয়, সাথে কোডব্লক্স, ম্যাটল্যাব ইত্যাদি এনালিটিকাল সফটওয়্যার তো রয়েছেই!! অন্যদিকে মাইনোর হিসেবে থাকবে ইলেক্ট্রিক্যাল সার্কিট সলভিং। যেখানে তোমাকে যেকোনো জটিলতর সার্কিটের সরলতম সমাধান কিভাবে করতে হয় তা শেখানো হয়। এছাড়াও ইলেকট্রনিকস এর আরও অনেক কিছুই শেখানো হয়, যেগুলো এখানে লিখে শেষ করা যাবেনা!
এবার আসি ড্রয়িং নিয়ে, মেশিন নিয়ে পড়বে অথচ মেশিন ডিজাইন করবেনা তা কি করে হয়? হ্যা, একজন আর্কিটেক্ট এর মত তোমাকেও ড্রইং বিষয়ে জ্ঞানার্জন করতে হবে!
শুধু সাদা কাগজে আকাআকি করেই ক্ষান্ত হওয়া যাবেনা! সেটি আবার 2D/3D মডেল হিসেবে কম্পিউটারে গ্রাফিকাল আউটপুট আনতে হবে। ধর, একটি ট্রাক্টর এর বিভিন্ন অংশকে 3D মডেলিং করে পরবর্তিতে সবগুলো অংশ একত্রিত করে কম্পিউটারে জীবন্ত করে তুললে, কি মজা তাই না?.. এজন্য কিছু উচ্চ পর্যায়ের সফটওয়্যারের ব্যবহার শেখানো হবে, পূর্বেই উল্লেখ করেছি জন্য আর সেদিকে যাচ্ছিনা।
.
অন্যদিকে বিভিন্ন ওয়ার্কশপ তোমাকে হাতেকলমে দক্ষ করে তুলবে। শেখাবে, কিভাবে গলিত লোহা থেকে ইঞ্জিন স্ট্রাকচার তৈরি(কাস্টিং) করতে হয়! শেখাবে, জটিল কিছু মেশিন কিভাবে কন্ট্রোল করতে হয়, যেগুলো কত দামী হতে পারে হয়ত আন্দাজই করতে পারবেনা।এছাড়াও আরও অনেক কিছুই ওয়ার্কশপ থেকে জানতে পারবে।
.
অনেকেই এতক্ষণ একটি বিষয় নিশ্চই মিস করছিলে?.. রোবটিক্স!! ঠিক ধরেছি তো? সাস্টে পড়বে অথচ রোবটিক্স জানবেনা তা কি করে হয়? তুমি যদি রোবটিক্স কে শুধু সিএসই অথবা ইইই রিলেটেড মনে করে থাক এখনি সেটি ভুলে যাও! বরং রোবট তৈরিতে যেসব দক্ষতার প্রয়োজন তা তুমি মেকানিকালেই শিখে যাবে! পূর্বেই কোডিং এবং ইলেকট্রিকাল সার্কিট এর ব্যাপারে বলেছি; সাথে যুক্ত হবে ডিজাইনিং, ব্যালেন্সিং এবং অবশ্যই ক্রিয়েটিভিটি যেটা মেকানিকাল এর প্রাণ। ভবিষ্যতে রোবট বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবট অথবা এই রিলেটেড যেকোনো কিছু নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে ম্যাকানিকালই তোমাকে পথ দেখাতে পারে! অন্যদিকে বর্তমানের অতি জনপ্রিয় বায়োমেডিকালও কিন্তু মেকানিকাল এবং ইইই এর কম্বিনেশন থেকেই উৎপত্তি ঘটেছে! তাই ভবিষ্যতে সহজেই বায়োমেডিকাল নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে গবেষক হয়ে উঠতে পারবে।
.
কি অবাক হচ্ছো? এতকিছু কিভাবে একটি ডিসিপ্লিনের আওতাভুক্ত হতে পারে! হ্যা,
মেকানিকালই হচ্ছে সবচেয়ে বহুমুখি ইঞ্জিনিয়ারিং সাব্জেক্ট, যেটি থেকে তুমি পরবর্তীতে এই রিলেটেড যেকোন পছন্দসই ক্ষেত্রে সুইচ করে ফেলতে পার! মেকানিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং অন্যতম বললে কম বলা হয়, অন্যতম এবং একমাত্র আদিম মৌলিক বিষয়। তুমি একটু লক্ষ করলেই দেখবে, সকল ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে মেকানিকালের ছোঁয়া রয়েছে। এর শাখা প্রশাখা বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
.
যেহেতু সেক্টরটা একটু বড়, তো সিলেবাসটাও একটু বড় হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে এমন না যে খুব কঠিন। সবই সহজ, শুধু ইচ্ছাটা থাকতে হয় আরকি। আর ঐ হিসাব করলে তোমাকে ৫ মিনিট বেশি শ্রম দিতে
হবে পড়ায়। এতটুকু পারবে না??
.
আর, চাকরি?
শোন, যে বলবে মেকানিকেল এর চাকরি নাই। তাদের জন্য সমবেদনা। বোকার স্বর্গে বাস করে তারা। এত বিস্তরভাবে
চাকরির সুযোগ আর কোন ডিপার্টমেন্ট এ পসিবল না... একটা সহজ হিসাব দেই। ২০০৯ সালের হিসাব মতে USA তে প্রায় ১৬ লক্ষ প্রকৌশলী কর্মরত আছেন। তার মধ্যে ২৩৯০০০ অর্থাৎ ১৫% যন্ত্রপ্রকৌশলী।
এটাই দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ বিভাগ। ২০০৯ অনুযায়ী প্রতি দশকে ৬% হারে যন্ত্রপ্রকৌশলীদের কর্মসংস্থান বাড়ছে। স্নাতক ডিগ্রির পরই প্রাথমিক বেতন বছরে ৫৮৮০০ মার্কিন ডলার। গড় বেতন বছরে ৭৪০০০ মার্কিন ডলার, সর্বোচ্চ ৮৬০০০ সর্বনিম্ন ৬৩০০০ মার্কিন ডলার বছরে।
আর, ২০০৯ সালের হিসাব এটা। এখন ২০১৮,,, তোমরা বের হবে ২০২২ সালে!! তো একটু চিন্তা করে দেখো।
দেশে এখনই চাকরির অভাব নাই। বাজার ঘুরে আসতে পার। পেপারে দেখতে পার।
সবগুলো তে যন্ত্রকৌশল পাবে। EEE/ME, ME/IPE,CSE/ME, CE/ME. এরকম লেখা দেখতে পাবে।
আর ME based চাকরি তো আছেই। দেখে নিও। চাকরির অভাব নাই ঠিক আছে,
কিন্তু ভাল কিছু লুফে নিতে হলে কষ্ট করতেই হবে, তুমি যেটাতেই পড় না কেন!
মিডল ইস্ট, আমেরিকাতে যন্ত্রকৌশল মানেই সোনায় সোহাগা। ধরো তেলের খনিতে কোনভাবে ঢুকতে পারলে তো টাকার বিছানায় ঘুমোতে পারবে। তবে সবকিছুর উপরে তোমাকে যোগ্য হতে হবে। আর উচ্চশিক্ষার স্কলারশিপ এই সেক্টরে সবচেয়ে বেশি, কারন টপিক বেশি মানে অপর্চুনিটি বেশি!
আর দেশে মাত্র কয়েক জায়গায় যন্ত্রকৌশল পড়ানো হয়। এর কারন একজন যন্ত্রকৌশল ছাত্রের পিছনে প্রচুর টাকা ঢালতে হয়, বিস্তর ফিল্ডওয়ার্ক করতে হয় যার যোগান এই দেশে অনেক কষ্টকর। ছাত্র কম তো প্রতিযোগীও কম। ভেবে দেখতে পার। এটা এডভান্টেজ!
.
আরও বিস্তারিত ভাবে বললেঃ Mechanical Engineer দের জন্য দেশে এবং দেশের বাইরে বিস্তৃত কর্মক্ষেত্র পড়ে থাকা সত্ত্বেও অনেকের একটা ভ্রান্ত ধারণা থাকে যে, দেশে নাকি মেকানিক্যাল এর চাকরি নাই। শোনা কথায় কান না দিয়ে একবার bdjobs এ ঢুঁ মেরে আসো প্লিজ। তারপরও একটু বলে রাখা ভাল, Mechanical এর সবগুলো সাব- ডিসিপ্লিন এর জব সেক্টর নিয়ে বললে শেষ করা যাবে না। শুধুমাত্র HVAC সেক্টর নিয়ে যদি বলি, তবে বাংলাদেশে যেসব তোমার জন্য রয়েছে-
- WALTON Hi- Tech Industries LTD.
- PRAN RFL LTD.
- British American Tobaco Bangladesh
- Chevron Bangladesh
- HVAC Systems LTD.
- AMAZE Corporation LTD.
- OBSIDIAN
- Landmark Bangladesh LTD
- United Summit Coastal Oil
- Bright Green Energy Foudation
- The AIRCONS LTD.
- E- Cool Resources LTD
- New G Boiler LTD
- Swiftex Situation
- Transpower Engineering Corporation
- Crossing Point Limited
- Ecobit Limited
- EMACO Engineering of Technology
এরকম অসংখ্য প্রাইভেট কোম্পানি। যদি সরকারি চাকরি করার ইচ্ছা থাকে, তাও করতে পারো মেকানিক্যাল পড়ে।
তোমার জন্য রয়েছে-
- BCS (Technical+General )
- BAPEX
- Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission (BTRC)
-Bangladesh Power Devolopment Board (BPDB)
- Bangladesh Rural Electrification Board (REB)
- Power Grid Company of Bangladesh Limited (PGCB)
- Electricity Generation Company of Bangladesh (EGCB)
- Petro-Bangla
এরকম অসংখ্য জায়গায় লোভনীয় বেতনে চাকুরী করার সুযোগ। এছাড়াও 'বস্ত্র' রপ্তানিতে পৃথিবীর প্রায় শীর্ষ অবস্থানে থাকা আমাদের এই বাংলাদেশে রয়েছে অসংখ্য টেক্সটাইল কোম্পানি, যেগুলোতে প্রতিবছর প্রায় কয়েকহাজার Mechanical Engineer নিয়োগ করা হয়ে থাকে। স্মার্ট স্যালারীতে Textile sector এ ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে Mechanical Engineering পড়ে তুমি জয়েন করতে পারো-
- DBL group
- Noman group
- NASSA group
- Beximco Textile
- Square Textile
- Sinha group
- Thermax group
- Viyellatex group
- Knit Concern group
- Sunman group
- Tanz Apparels
- East Bengal International
- One Tex BD Limited
এরকম অসংখ্য National, Multinational & International কোম্পানিতে। মেকানিক্যাল ইঞ্জিয়ারদের জব স্যালারীর ব্যাপারে ধারণা দেওয়ার জন্য (money.usnews) এর তথ্যটুকু তুলে ধরা যেতে পারে-
BLS (Bureau of Labour Statistics) এর তথ্যমতে ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী, একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এর গড় বেতন $83,590. একইসাথে ওইবছর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের সর্বোচ্চ বেতন ছিল $128,430 এবং সর্বনিম্ন বেতন $53,640.
.
***আর আমাদের দেশে একটা বড় misconception হচ্ছে, মেয়েরা নাকি Mechanical পড়তে পারে না! অথচ USA এর বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে Mechanical Faculty তে মেয়েদের পারসেন্টেজ প্রায় ৩৫-৪০%, যা ২০২০ সালের দিকে ৪৫-৪৬% -য়ে গিয়ে ঠেকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে পূর্বের রেকর্ড অনুযায়ী। এর প্রধাণ কারন Mechanical এ Research সেক্টর সবচেয়ে বেশি।***
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, Mechanical Engineering এমন একটা সাবজেক্ট যেটা পড়ে তুমি চাইলে CSE, EEE, IPE, Chemical, Civil, Petroleum Engineering রিলেটেড অনেক জবও করতে পারবে। কারণ মেকানিক্যাল এ তুমি পাচ্ছো নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর ওপর রিসার্চ এবং হায়ার স্টাডিজ এর সুযোগ-
- Acoustical engineering
- Aerospace engineering
- Automotive engineering
- Biomechanics
- Biomedical engineering
- Computational fluid dynamics
- Fluid dynamics
- Finite element analysis
- Friction stir welding (FSW)
- Green and Sustainable Technologies
- HVAC
- Heat transfer
- Industrial gas
- Industrial engineering
- Mass transfer
- Materials science
- Manufacturing process
- Mechatronics
- Metallurgy
- Microfluidics
- Marine engineering
- Nanotechnology
- Natural gas processing
- Nuclear reprocessing
- Neuclear engineering
- Ocean Engineering
- Oil exploration
- Oil refinery
- Power generation
- Process control
- Process design
- Process development
- Process engineering
- Production engineering
- Renewable energy
- Safety engineering
- Semiconductor device fabrication
- Syngas production
- Textile engineering
- Thermodynamics
- Transport phenomena
- Unit operations
- Water technology
.
এত ভাল কিছু শুনে আবার নিজের ছোটবেলার স্বপ্নকে মেকানিকেল এ কনভার্ট করিও না। যাদের এটাতে প্যাশন নাই তাদের এই সাব্জেক্ট নেয়ার কোন দরকার নেই। বিপদে পড়বা। কেউ তোমায় টেনে তুলবে না!
মনকে জিজ্ঞাসা কর তুমি কি চাও?
যন্ত্রকৌশল তোমার প্যাশন হলে তোমাকে এই যন্ত্রনাকৌশলে স্বাগতম। তবে একটা কথা, সবার দেখাদেখি সাব্জেক্ট নিও না। তোমার যেটা মন চায় সেটা নিবে। একটা খুব খারাপ ইস্যু লক্ষ্য করা যায়, সিরিয়াল অনুযায়ী সাব্জেক্ট নিচ্ছে কিছু না জেনেই,না বুঝেই। সবাই নিচ্ছে তাই সেও নিচ্ছে। আজব দুনিয়া!! টাকা তোমার পেছনে ঘুরবে নাকি তুমিই টাকার পেছনে ঘুরবা। সিদ্ধান্ত তোমার।
এগিয়ে যাও। সবার জন্য শুভকামনা।
.
Tahmid
(MEE,SUST

সাবজেক্ট রিভিউ – Civil Engineering (CE)

সাবজেক্ট রিভিউ – Civil Engineering (CE)
 
পৃথিবীর প্রাচীনতম ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে গেলে যে বিষয়টি মানুষের মাথায় খেলা করে তা হলো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বা পুরকৌশল। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সভ্যতার শুরু থেকেই বিস্তার লাভ করে আসছে। বাংলাদেশের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের ছোঁয়া লাগেনি। অন্যতম প্রাচীন, বৃহত্তম এবং সকল প্রকৌশল জ্ঞানের সমন্বয় এই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং। 
 
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজঃ সুউচ্চ ভবন, হাইওয়ে,ব্রীজ,পানি প্রকল্প, পাওয়ার প্লান্ট ইত্যাদি পরিকল্পনা, ডিজাইন, গঠন এবং রক্ষনাবেক্ষন করার কাজ করের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। সিভিল ইঞ্জিনিয়ার জরিপের কাজ করে থাকে, প্রযুক্তিগত প্রতিবেদন দেয়, এমনকি প্রকল্প ব্যবস্হাপক এর কাজও করে থাকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। 
 
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের পরিসরঃযেহেতু সময়ের সাথে সাথে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর পরিসর বাড়ছে তাই এর অনেক শাখা বের হয়েছে। এদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হল-১) মৃত্তিকা প্রকৌশল২) স্ট্রাকচারাল প্রকৌশল৩) পরিবহন প্রকৌশল৪) পানি সম্পদ প্রকৌশল৫) পরিবেশ প্রকৌশল
 
কাজের ক্ষেত্র –অনেকে ভাবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ে ভালো সেলারি পাওয়া যাবেনা,অবশ্যই পাওয়া যাবে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি চাকুরির ক্ষেত্র যে সিভিলেই,সেটা এখন আর কারো অজানা নয়। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করার পর আপনাকে ২/১ বছর কষ্ট করতে হতে পারে,কারন যেকোনো ভালো চাকুরির জন্য প্রয়োজন বাস্তব অভিজ্ঞতা।অভিজ্ঞতাটুকু হয়ে গেলে আপনার উন্নতি আর কেউ ধরে রাখতে পারবেনা। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজের ক্ষেত্রগুলো হল-১) সড়ক ও জনপদ২) গণপূর্ত বিভাগ৩) রিয়েল এস্টেট কোম্পানি৪) নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ৫) পরিবেশ নিয়ে কর্মরত বিভিন্য মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি৬) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, ইত্যাদি।
 
শুধুমাত্র দেশে নয়, দেশের বাহিরেও রয়েছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের অধিক চাহিদা। আমেরিকার ৬নম্বর সেরা চাকুরি হল সিভিল। আমেরিকাতে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের মাসিক বেতন নুন্যতম ৮০,০০০ ডলার থেকে ১২০,০০০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। সময়ের সাথে সাথে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর গুরুত্ত্ব বাড়ছে। বর্তমানে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ নিয়েও কাজ করে। তারা আগুনে ক্ষয় ক্ষতি যেন কম হয় সেই বিষয়েও কাজ করে। পুরাতন মিশর এর পিরামিড বা রাস্তা নির্মাণে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর ভূমিকা উল্ল্যেখযোগ্য অবদান ছিল। পানি বাতাস এবং মাটি পরিশোধনের বিভিন্য উপায় নিয়েও তারা সজাগ। 
 
পরিশেষে বলতে চাই, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সিভিল পরবেন কিনা তা নিয়ে দ্বিধায় আছেন তাদেরকে বলবো চোখ বন্ধ করে আমাদের জগতে চলে আসুন, কথা দিচ্ছি বিশ্বকে সুন্দর করে গড়তে আপনি সক্ষম হবেন ই। 
 
লিখেছেনঃ মোঃ তানভীর আহমেদ
শিক্ষার্থী, পুর ও পরিবেশ কৌশল বিভাগশাবিপ্রবি, সিলেট।

ME সাবজেক্ট রিভিউ ::

ME
সাবজেক্ট রিভিউ ::
আচ্ছা, Fast and Furious মুভি সিরিজটা প্রায় সবারই খুব পছন্দের, তাইনা! সাঁই সাঁই করে ছুটে চলা সুপার কারগুলো😍 দেখে কারো কারো মনে স্বপ্ন জাগতো, একদিন আমিও এমন গাড়ি চালাব! শুধু চালাবই না, নিজে বানিয়ে তারপর চালাব!
অথবা গেইম অফ থ্রন্স, পুরো ভাইরাল টিভি সিরিজ! স্টার্টিং এই যে সমতল মাটি থেকে দাঁতকাটা চাকা উঠে ঘোরা, একটার সাথে আরেকটা চাকা লেগে লেগে ঘুরতে থাকা, দেখেছ নিশ্চয়ই!
মুভি/সিরিজ এর রিভিউ নিয়ে বকবক করবো না কিন্ত!
অনেকেই আন্দাজ করতে পারছো, যেহেতু পোস্ট টা এডমিশন গ্রুপের, তাই আমি কোনো সাব্জেক্ট নিয়েই হয়ত কথা বলতে চাচ্ছি!
হ্যাঁ, সাব্জেক্টটি হল মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং! এটার শুরু সেইই আদিম আমল থেকে, যখন মানুষ কোনোকিছু বানিয়ে ব্যাবহার করতে শুরু করলো, শক্তির ট্রান্সফার ঘটিয়ে সভ্যতার বিবর্তন ঘটানো শুরু করলো!
অনেক পরিচয় পর্ব তো হলো, এখন নাহয় বিষয়টিতে আসলে কি, কেমন, কি জিনিস পড়ানো হয় সেগুলো একটু বলি!তোমরা যেহেতু এখনো ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিষয়ে তেমন কোনো ধারণা রাখো না, তাই তোমাদের জন্য সহজ ভাষায় বলছি!
চার বছরে তোমাকে অনেকগুলো কোর্সই করতে হবে, নন ডিপার্টমেন্টাল হলো ইলেক্ট্রিক্যাল, সিএসই, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গনিত, মানবিক ,আর বাকিগুলো মেকানিকালের অধিভুক্ত।
ফিজিক্সে পড়তে হবে বিভিন্ন বস্তুর গঠন, প্রধানত ক্রিস্টাল/স্ফটিক এর খুঁটিনাটি, বিভিন্ন ধর্ম-আচরন আর মডার্ন ফিজিক্স, যেটা তোমরা ইন্টারে কিছুটা পড়ে আসছিলা, ৮ম-৯ম অধ্যায়!
কেমিস্ট্রিতে পড়তে হবে জৈব যৌগ 😛, না না ভয় পাওয়ার কিছু নেই,কিছু ব্যাসিক জিনিসপত্র আর পলিমার-প্লাস্টিক-রবার-সিমেন্ট-কাঁচ-সিরামিক এসব! খুব ডিটেইলসে না!
এবার আসি ম্যাথে! 😁 ইন্টিগ্রেশন আর ডিফারেন্সিয়েশন সহ এর উচ্চতর শাখা-প্রশাখা অনেক অনেক অন্নেক গভীরে গিয়ে পড়াবে, ইন্টারে তোমরা তার ১০% টপিকও পড়োনি!ম্যাথের পরিধি ব্যাপক ইঞ্জিনিয়ারিং এ! 😉
মানবিক বিভাগ শুনে হয়তো তোমরা কিছুটা অবাক হচ্ছো! খালি ইঞ্জিনিয়ার হলেই হবে, সোসাইটিতে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে তোমাকে কিভাবে ডিল করতে হবে সেটা জানতে হবে না?!!😎 এখানে পড়বে ইংলিশ, অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান, সোশিওলোজি, এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স ইত্যাদি।
ইলেক্ট্রিক্যাল এ বিভিন্ন ধরণের সার্কিট , মেশিনারিজ যেমন জেনারেটর, মোটর, ট্রান্সফর্মার, ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদি পড়ানো হবে।
সিএসই তে পড়বা ব্যাসিক কিছু প্রোগ্রামিং, আর Computer Aided Drawing(CAD).
এই ছিল মোটামুটি সহজ ভাষায় নন ডিপার্টমেন্টাল গুলো! এবার আসি মেকানিক্যালের গুলোয়!
কোনো একটা নির্দিষ্ট জিনিস বানাতে কত প্রকার প্রসেস আছে, মেশিন ব্যাবহার করা হয় সেগুলোর ডিটেইল পাবা ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেসে। এরপর আছে থার্মাল ইঞ্জিনিয়ারিং, যেখানে তুমি তাপশক্তির উৎপাদন, প্রক্রিয়া, মুলনীতিসমুহ, যন্ত্রপাতিসহ বিশদ জানতে পারবে।
এরপরেই পাবা মেকানিক্যালের কোর পার্ট, মেকানিক্স!💗 ইন্টারে ম্যাথে সেকেন্ড পেপারে স্থিতিবিদ্যা আর গতিবিদ্যা পড়েছিলে না?!! সেগুলোই বিভিন্ন ধরণের ক্ষেত্রবিশেষে যেমন ফ্লুইড, সলিড, সারফেইস ইত্যাদিতে কিভাবে কাজ করে, সেসব বিষয়ে বিস্তারিত পড়বে! আর কিছু বললে বুঝবা না, তাই বলছি না!
এছাড়া পাবা থার্মোডায়নামিক্স, হিট ট্রান্সফার, মেশিন ডিজাইনিং সহ আরো অনেক কিছু! এবং আবার বলছি, প্রতিটা জিনিসই কিন্ত অনেক গভীরে গিয়ে পড়ানো হবে!
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ভাই এতকিছু দেখলাম, কই আমার গাড়ি-ইন্ডাস্ট্রির ব্যাপারে তো কিছু দেখলাম না!
আসলে তোমাকে এখানে ব্যাসিক ধারনা দিয়ে দেওয়া হবে সবকিছুর, যাতে ভবিষ্যতে তুমি তোমার পছন্দমতো জায়গায় শিফট করে তারপর সেদিকে অগ্রসর হতে পারো! তবে হ্যাঁ, অটোমোবাইলসের উপর অপশনাল কোর্স আছে। আর তোমাদের ফ্যাসিনেশনের যেই সমস্ত সেক্টরগুলো মেকানিকালের সাথে জড়িত, সেগুলোর সুত্রপাত কেবল এখান থেকে হবে। আস্তে আস্তে তোমরা তোমাদের স্বপ্নের জায়গায় পৌছবে।
জবের ব্যাপারে কথা বলতে গেলে বিদেশে যে অনেক ডিমান্ড সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না, দেশে গভর্নমেন্ট জবগুলো কিছুটা কম হলেও প্রাইভেট সেক্টরে কিন্ত প্রচুর সুযোগ আছে!এবং দিন দিন বাড়ছেই! সমস্ত ইন্ডাস্ট্রি, পাওয়ার প্ল্যান্ট গুলাতে সবচেয়ে বেশি চাহিদা।
আর যেহেতু এটা মাদার সাব্জেক্ট, তাই এটা থেকে বের হবার পর তুমি মেকানিকালের অধিভুক্ত সেক্টরগুলো যেমন আইপিই, লেদার, টেক্সটাইল এও সুইচ করতে পারবে, নন মেজর ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে।
পরিশেষে একটা কথাই বলবো, ইঞ্জিনিয়ারিং এর কোনো সাব্জেক্টই সহজ না, অনেক পরিশ্রম করতে হবে...  তবে ভালবাসতে পারলে ঠিকই সুন্দরমতো মানিয়ে নেওয়া যায়।
যদি মনে হয় তুমি মেকানিকালকে আপন করে নিতে পারবে, মেকানিকালের দুনিয়ায় তোমাকে স্বাগতম, হবু মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার!

Samiul Alam Pranto
ME
batch 2k16
KUET.

Subscribe For Free Updates!

We'll not spam mate! We promise.