Subject Review: TEXTILE ENGINEERING
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংঃ দ্যা মোস্ট আন্ডাররেটেড সাবজেক্ট এবং কুয়েটের জাদু
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগটি শুনলেই আমাদের মাথায় প্রথম যা আসে তা হল জামা-কাপড় কাটাকুটির ব্যাপার আর মনেহয় এইটা আবার ইঞ্জিনিয়ারিং কি? বেশিরভাগের নাক সিটকানো তো আছেই। আশা করি পরবর্তী কয়েক মিনিটে তোমাদের অনেক ভুল ধারণা ভেঙ্গে দিতে পারব, এই বিভাগ কি আর কেনই এর দরকার, কারখানা ছাড়া আর কোন চাকরি কি পাওয়া যায় অথবা এর কি আদৌ কোন উচ্চশিক্ষার সুযোগ আছে এইসব নানা প্রশ্নের উত্তর তোমাদের সামনে তুলে ধরতে চেষ্টা করব।
আগে আমরা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর পরিচিত রূপটা নিয়েই আলোচনা করি। প্রথমত সবাই মনে করে এটা কাপড়-চোপড়ের ইঞ্জিনিয়ারিং। হ্যা অবশ্যই এই বিষয়ে কাপড় নিয়ে আলোচনা করা হয় কিন্তু ইঞ্জিনিয়াররা পুরো প্রডাকশন সিস্টেমটা নিয়ন্ত্রণ করেন, কাপড় কাটা বা সেলাই করার সাথে তারা যুক্ত না। এছাড়া এই ইন্ডাস্ট্রি রিলেটেড যে কাজগুলো আছে তার অন্যতম একটি হল মারচেন্ডাইজিং। এই কাজটি খুবই ইন্টারেস্টিং। এখানে বহু দেশের বহু সংস্কৃতির মানুষের সাথে যোগাযোগ হবে, এমনকি চাকরীর খাতিরে অনেক দেশ ভ্রমণের সুযোগ পাওয়া যাবে। এর সাথে উদ্যোক্তা হবারও বেশ ভাল সুযোগ থাকবে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে জব করলে। আর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম কয়েক বছর হয়ত খুব কঠিনই, কিন্তু পরিশ্রম করতে পারলে এখানেই সবচেয়ে দ্রুত উন্নতি করা যায়। আর সত্যি বলতে উন্নতি করতে হলে সব ইঞ্জিনিয়ারদেরই প্রথমে খুব কষ্ট করতে হয়। এছাড়া বলতে পারি, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারেরা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেক্টরে কাজ করে, সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করে। বাংলাদেশ থেকে প্রোডাক্ট নিতে না পারলে বেশিরভাগ বড় ব্র্যান্ডের(রিবক, নাইকি, ডি এন্ড জি, ভারসেচ, লিভাইস এমনকি ইউএস আর্মি এর ক্যামোফ্লেজ ড্রেস) ব্যবসাই হুমকির মুখে পড়বে। এতটা দাপটের সেক্টরে কাজ করার সুযোগ, তাও আবার দেশে বসে সিক্স ডিজিটের স্যালারিসহ কাজের সুযোগ এই সেক্টরের বাইরে খুব কম মানুষই পায়।
অনেক তো বলা হল তোমাদের জানা ব্যাপার নিয়ে। এখন আসো একটু জানার চেষ্টা করি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং আসলে কি? নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটি, ইউএসএ, যাকে কিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার স্বর্গ বলা হয় তারা তাদের ওয়েবসাইটে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংকে তারা ব্যাখ্যা করেছে এভাবে-Who is a Textile Engineer?
A textile engineer is someone who…
• Develops a nano-composite material for deep space exploration
• Integrates a worldwide distribution program, eliminating a company’s reliance on regional stockpiles
• Develops new biocompatible materials for artificial organs, blood vessels, tendons, or ligaments
• Designs a product that grants more independence to those with disabilities
…to make a difference.
অর্থাৎ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারকে মহাকাশ গবেষণার জন্য ন্যানো-কম্পোজিট নিয়ে কাজ করতে হয়(বাংলাদেশ থেকেই অনেক টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার নাসায় কর্মরত আছেন )। কাজ করতে হয় বায়োকম্পাটিবল প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট নিয়ে, বর্তমানে অনেক ইমপ্ল্যান্টস, টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃত্রিম ধমনী, লিগামেন্টস তৈরি ও উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারেরা। এই বিষয়টি অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। বিশ্বাস নাহলে ঘুরে দেখে আসতে পারো জাপানের SHINSHU UNIVERSITY এর ওয়েবসাইট থেকে। এই বিশ্ববিদ্যালয় টেক্সটাইল গবেষনায় এশিয়ায় পায়োনিয়ার বলা যায় যাদের মেডিকেল সায়েন্স বিভাগ টেক্সটাইল সায়েন্স ফ্যাকাল্টির অধীনে। এখানে অনেক ইমপ্ল্যান্টস, বায়ো কম্পাটিবল প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করা হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন হাই পারফরমেন্স ফাইবার যেমন গ্লাস, এরামিড, কার্বন ফাইবার যেগুলো মেটালের ব্যবহার অনেক কমিয়ে দিচ্ছে তা নিয়ে জানা যাবে এই বিষয়ে পড়লে। আরেকটি বিষয় হল ই-টেক্সটাইল/স্মার্ট টেক্সটাইল। এটি বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় একটি বিষয়। এতে পরিধানযোগ্য ইলেকট্রনিক পণ্য বা wearable technologies নিয়ে কাজ করা হয়। এই বিষয়ে Youtube এ e-textile লিখে সার্চ দিয়ে ভিডিওগুলো দেখতে পারো। আমি নিশ্চিত এই ভিডিওগুলো দেখা শুরু করলে আর বাকি সব কাজ রেখে এই ব্যাপারগুলো নিয়েই ঘাটাঘাটি করতে ইচ্ছে করবে। এর বাইরে প্রোডাকশন প্ল্যানিং নিয়ে তো কাজ করতে হয়ই। আর এখানেই খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জাদু। এটি বাংলাদেশের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার নবীনতম সদস্য। এর কারিকুলাম প্রণয়নের সময় বিবেচনা করা হয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে জবের জন্য আদর্শ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার গড়ে তোলা আর উন্নত রাষ্ট্রে গবেষণার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার গড়ে তোলা। অন্য যেকোন জায়গায় গবেষণার ব্যাপারটা বেশ কম গুরুত্ব পেলেও এখানে এটাই Top Priority. ইন্ডাস্ট্রি রিলেটেড সব বিষয়গুলোর পাশাপাশি টেকনিক্যাল টেক্সটাইল, হাই পারফরমেন্স ফাইবার, প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর মত বিষয়গুলো এখানে বেশ গুরুত্বসহকারে ও বিস্তৃতভাবে পড়ানো হয়, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এখানে মেকানিক্যালের বেশ বড় কোর্স আছে। সাথে বেসিক ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিএসই এর কিছু কোর্স পড়ানো হয়। আর অনেকের প্রশ্ন থাকে বুটেক্সের মত এখানে বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয় কিনা। অবশ্যই হয়, তবে তা ফাইনাল ইয়ারে। থার্ড ইয়ার পর্যন্ত সবাই একসাথেই পড়বে, একই সিলাবাসে। ফাইনাল ইয়ারে যেকোন এক বিষয়ে স্পেশালাইজেশন করতে হবে।
তো আমরা বুঝতেই পারছি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে উচ্চশিক্ষার বেশ ভাল সুযোগ আছে ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স(নর্থ আমেরিকা বিশেষত ইউএসএতে,আর ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইউকেতেও এই বিভাগের অধীনেই টেক্সটাইল গবেষণা হয়), পলিমার সায়েন্স(ইউরোপ), স্মার্ট টেক্সটাইল অথবা টেকনিক্যাল টেক্সটাইল, ফ্যাশন অথবা ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল/প্রোডাকশন ইঞ্জনিয়ারিং, বায়োমেডিক্যাল, ন্যানোটেক এমনকি ন্যানোমেডিসিন নিয়ে। এই বিষয়গুলো নিয়ে কিন্তু খুব কম সংখ্যক বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরাই উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায়। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগকে নিচের কয়েকটি লাইনে পুরোপুরি ব্যাখ্যা করা যায়।
1.Mechanical Engineering
(A) Machinery design and construction
(B) Pneumatics
(C) Material resistance
(D) Assembly structure
2.Chemical Engineering
(A) Thermodynamics, unit operations
(B) Heat and mass transfer
(C) Sustainability of materials
(D) Environmental production
3.Materials Engineering
(A) Material structure and properties
(B) Polymer science
(C) Transformation of materials
(D) Nanotechnologies
4.Economics and Marketing
(A) Fashion and product vision
(B) natural material sources and commerce
আশা করি আমি তোমাদের একটা শক্ত ধারণা দিতে পেরেছি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে। একটা ব্যাপার মাথায় রেখো, এত বড় একটা সেক্টর হলেও এই বিষয়ে পড়াশুনার সুযোগ কিন্তু খুব সীমিত। তাই এখানে প্রতিযোগিতাও বেশ কম, গবেষণা, জব দুই ক্ষেত্রেই। কেউ যদি দ্বিধায় থাকো টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়া উচিৎ হবে কিনা, তাদের বলি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে আর যাই হোক ঠকবে না, আর কুয়েট টেক্সটাইলে অসাধারণ অভিজ্ঞতার গ্যারান্টি আমি তোমাদের দিয়ে রাখছি। তোমাদের জন্য শুভকামনা।
মো. মেহদী হাসান পাপন
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ২কে১৪
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংঃ দ্যা মোস্ট আন্ডাররেটেড সাবজেক্ট এবং কুয়েটের জাদু
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগটি শুনলেই আমাদের মাথায় প্রথম যা আসে তা হল জামা-কাপড় কাটাকুটির ব্যাপার আর মনেহয় এইটা আবার ইঞ্জিনিয়ারিং কি? বেশিরভাগের নাক সিটকানো তো আছেই। আশা করি পরবর্তী কয়েক মিনিটে তোমাদের অনেক ভুল ধারণা ভেঙ্গে দিতে পারব, এই বিভাগ কি আর কেনই এর দরকার, কারখানা ছাড়া আর কোন চাকরি কি পাওয়া যায় অথবা এর কি আদৌ কোন উচ্চশিক্ষার সুযোগ আছে এইসব নানা প্রশ্নের উত্তর তোমাদের সামনে তুলে ধরতে চেষ্টা করব।
আগে আমরা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর পরিচিত রূপটা নিয়েই আলোচনা করি। প্রথমত সবাই মনে করে এটা কাপড়-চোপড়ের ইঞ্জিনিয়ারিং। হ্যা অবশ্যই এই বিষয়ে কাপড় নিয়ে আলোচনা করা হয় কিন্তু ইঞ্জিনিয়াররা পুরো প্রডাকশন সিস্টেমটা নিয়ন্ত্রণ করেন, কাপড় কাটা বা সেলাই করার সাথে তারা যুক্ত না। এছাড়া এই ইন্ডাস্ট্রি রিলেটেড যে কাজগুলো আছে তার অন্যতম একটি হল মারচেন্ডাইজিং। এই কাজটি খুবই ইন্টারেস্টিং। এখানে বহু দেশের বহু সংস্কৃতির মানুষের সাথে যোগাযোগ হবে, এমনকি চাকরীর খাতিরে অনেক দেশ ভ্রমণের সুযোগ পাওয়া যাবে। এর সাথে উদ্যোক্তা হবারও বেশ ভাল সুযোগ থাকবে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে জব করলে। আর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম কয়েক বছর হয়ত খুব কঠিনই, কিন্তু পরিশ্রম করতে পারলে এখানেই সবচেয়ে দ্রুত উন্নতি করা যায়। আর সত্যি বলতে উন্নতি করতে হলে সব ইঞ্জিনিয়ারদেরই প্রথমে খুব কষ্ট করতে হয়। এছাড়া বলতে পারি, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারেরা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেক্টরে কাজ করে, সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করে। বাংলাদেশ থেকে প্রোডাক্ট নিতে না পারলে বেশিরভাগ বড় ব্র্যান্ডের(রিবক, নাইকি, ডি এন্ড জি, ভারসেচ, লিভাইস এমনকি ইউএস আর্মি এর ক্যামোফ্লেজ ড্রেস) ব্যবসাই হুমকির মুখে পড়বে। এতটা দাপটের সেক্টরে কাজ করার সুযোগ, তাও আবার দেশে বসে সিক্স ডিজিটের স্যালারিসহ কাজের সুযোগ এই সেক্টরের বাইরে খুব কম মানুষই পায়।
অনেক তো বলা হল তোমাদের জানা ব্যাপার নিয়ে। এখন আসো একটু জানার চেষ্টা করি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং আসলে কি? নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটি, ইউএসএ, যাকে কিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার স্বর্গ বলা হয় তারা তাদের ওয়েবসাইটে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংকে তারা ব্যাখ্যা করেছে এভাবে-Who is a Textile Engineer?
A textile engineer is someone who…
• Develops a nano-composite material for deep space exploration
• Integrates a worldwide distribution program, eliminating a company’s reliance on regional stockpiles
• Develops new biocompatible materials for artificial organs, blood vessels, tendons, or ligaments
• Designs a product that grants more independence to those with disabilities
…to make a difference.
অর্থাৎ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারকে মহাকাশ গবেষণার জন্য ন্যানো-কম্পোজিট নিয়ে কাজ করতে হয়(বাংলাদেশ থেকেই অনেক টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার নাসায় কর্মরত আছেন )। কাজ করতে হয় বায়োকম্পাটিবল প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট নিয়ে, বর্তমানে অনেক ইমপ্ল্যান্টস, টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃত্রিম ধমনী, লিগামেন্টস তৈরি ও উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারেরা। এই বিষয়টি অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। বিশ্বাস নাহলে ঘুরে দেখে আসতে পারো জাপানের SHINSHU UNIVERSITY এর ওয়েবসাইট থেকে। এই বিশ্ববিদ্যালয় টেক্সটাইল গবেষনায় এশিয়ায় পায়োনিয়ার বলা যায় যাদের মেডিকেল সায়েন্স বিভাগ টেক্সটাইল সায়েন্স ফ্যাকাল্টির অধীনে। এখানে অনেক ইমপ্ল্যান্টস, বায়ো কম্পাটিবল প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করা হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন হাই পারফরমেন্স ফাইবার যেমন গ্লাস, এরামিড, কার্বন ফাইবার যেগুলো মেটালের ব্যবহার অনেক কমিয়ে দিচ্ছে তা নিয়ে জানা যাবে এই বিষয়ে পড়লে। আরেকটি বিষয় হল ই-টেক্সটাইল/স্মার্ট টেক্সটাইল। এটি বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় একটি বিষয়। এতে পরিধানযোগ্য ইলেকট্রনিক পণ্য বা wearable technologies নিয়ে কাজ করা হয়। এই বিষয়ে Youtube এ e-textile লিখে সার্চ দিয়ে ভিডিওগুলো দেখতে পারো। আমি নিশ্চিত এই ভিডিওগুলো দেখা শুরু করলে আর বাকি সব কাজ রেখে এই ব্যাপারগুলো নিয়েই ঘাটাঘাটি করতে ইচ্ছে করবে। এর বাইরে প্রোডাকশন প্ল্যানিং নিয়ে তো কাজ করতে হয়ই। আর এখানেই খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জাদু। এটি বাংলাদেশের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার নবীনতম সদস্য। এর কারিকুলাম প্রণয়নের সময় বিবেচনা করা হয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে জবের জন্য আদর্শ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার গড়ে তোলা আর উন্নত রাষ্ট্রে গবেষণার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার গড়ে তোলা। অন্য যেকোন জায়গায় গবেষণার ব্যাপারটা বেশ কম গুরুত্ব পেলেও এখানে এটাই Top Priority. ইন্ডাস্ট্রি রিলেটেড সব বিষয়গুলোর পাশাপাশি টেকনিক্যাল টেক্সটাইল, হাই পারফরমেন্স ফাইবার, প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর মত বিষয়গুলো এখানে বেশ গুরুত্বসহকারে ও বিস্তৃতভাবে পড়ানো হয়, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এখানে মেকানিক্যালের বেশ বড় কোর্স আছে। সাথে বেসিক ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিএসই এর কিছু কোর্স পড়ানো হয়। আর অনেকের প্রশ্ন থাকে বুটেক্সের মত এখানে বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয় কিনা। অবশ্যই হয়, তবে তা ফাইনাল ইয়ারে। থার্ড ইয়ার পর্যন্ত সবাই একসাথেই পড়বে, একই সিলাবাসে। ফাইনাল ইয়ারে যেকোন এক বিষয়ে স্পেশালাইজেশন করতে হবে।
তো আমরা বুঝতেই পারছি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে উচ্চশিক্ষার বেশ ভাল সুযোগ আছে ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স(নর্থ আমেরিকা বিশেষত ইউএসএতে,আর ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইউকেতেও এই বিভাগের অধীনেই টেক্সটাইল গবেষণা হয়), পলিমার সায়েন্স(ইউরোপ), স্মার্ট টেক্সটাইল অথবা টেকনিক্যাল টেক্সটাইল, ফ্যাশন অথবা ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল/প্রোডাকশন ইঞ্জনিয়ারিং, বায়োমেডিক্যাল, ন্যানোটেক এমনকি ন্যানোমেডিসিন নিয়ে। এই বিষয়গুলো নিয়ে কিন্তু খুব কম সংখ্যক বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরাই উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায়। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগকে নিচের কয়েকটি লাইনে পুরোপুরি ব্যাখ্যা করা যায়।
1.Mechanical Engineering
(A) Machinery design and construction
(B) Pneumatics
(C) Material resistance
(D) Assembly structure
2.Chemical Engineering
(A) Thermodynamics, unit operations
(B) Heat and mass transfer
(C) Sustainability of materials
(D) Environmental production
3.Materials Engineering
(A) Material structure and properties
(B) Polymer science
(C) Transformation of materials
(D) Nanotechnologies
4.Economics and Marketing
(A) Fashion and product vision
(B) natural material sources and commerce
আশা করি আমি তোমাদের একটা শক্ত ধারণা দিতে পেরেছি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে। একটা ব্যাপার মাথায় রেখো, এত বড় একটা সেক্টর হলেও এই বিষয়ে পড়াশুনার সুযোগ কিন্তু খুব সীমিত। তাই এখানে প্রতিযোগিতাও বেশ কম, গবেষণা, জব দুই ক্ষেত্রেই। কেউ যদি দ্বিধায় থাকো টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়া উচিৎ হবে কিনা, তাদের বলি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে আর যাই হোক ঠকবে না, আর কুয়েট টেক্সটাইলে অসাধারণ অভিজ্ঞতার গ্যারান্টি আমি তোমাদের দিয়ে রাখছি। তোমাদের জন্য শুভকামনা।
মো. মেহদী হাসান পাপন
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ২কে১৪
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা।
AGREED
উত্তরমুছুন