ME
সাবজেক্ট রিভিউ ::
আচ্ছা, Fast and Furious মুভি সিরিজটা প্রায় সবারই খুব পছন্দের, তাইনা! সাঁই সাঁই করে ছুটে চলা সুপার কারগুলো😍 দেখে কারো কারো মনে স্বপ্ন জাগতো, একদিন আমিও এমন গাড়ি চালাব! শুধু চালাবই না, নিজে বানিয়ে তারপর চালাব!
অথবা গেইম অফ থ্রন্স, পুরো ভাইরাল টিভি সিরিজ! স্টার্টিং এই যে সমতল মাটি থেকে দাঁতকাটা চাকা উঠে ঘোরা, একটার সাথে আরেকটা চাকা লেগে লেগে ঘুরতে থাকা, দেখেছ নিশ্চয়ই!
মুভি/সিরিজ এর রিভিউ নিয়ে বকবক করবো না কিন্ত!
অনেকেই আন্দাজ করতে পারছো, যেহেতু পোস্ট টা এডমিশন গ্রুপের, তাই আমি কোনো সাব্জেক্ট নিয়েই হয়ত কথা বলতে চাচ্ছি!
হ্যাঁ, সাব্জেক্টটি হল মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং! এটার শুরু সেইই আদিম আমল থেকে, যখন মানুষ কোনোকিছু বানিয়ে ব্যাবহার করতে শুরু করলো, শক্তির ট্রান্সফার ঘটিয়ে সভ্যতার বিবর্তন ঘটানো শুরু করলো!
অনেক পরিচয় পর্ব তো হলো, এখন নাহয় বিষয়টিতে আসলে কি, কেমন, কি জিনিস পড়ানো হয় সেগুলো একটু বলি!তোমরা যেহেতু এখনো ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিষয়ে তেমন কোনো ধারণা রাখো না, তাই তোমাদের জন্য সহজ ভাষায় বলছি!
চার বছরে তোমাকে অনেকগুলো কোর্সই করতে হবে, নন ডিপার্টমেন্টাল হলো ইলেক্ট্রিক্যাল, সিএসই, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গনিত, মানবিক ,আর বাকিগুলো মেকানিকালের অধিভুক্ত।
ফিজিক্সে পড়তে হবে বিভিন্ন বস্তুর গঠন, প্রধানত ক্রিস্টাল/স্ফটিক এর খুঁটিনাটি, বিভিন্ন ধর্ম-আচরন আর মডার্ন ফিজিক্স, যেটা তোমরা ইন্টারে কিছুটা পড়ে আসছিলা, ৮ম-৯ম অধ্যায়!
কেমিস্ট্রিতে পড়তে হবে জৈব যৌগ 😛, না না ভয় পাওয়ার কিছু নেই,কিছু ব্যাসিক জিনিসপত্র আর পলিমার-প্লাস্টিক-রবার-সিমেন্ট-কাঁচ-সিরামিক এসব! খুব ডিটেইলসে না!
এবার আসি ম্যাথে! 😁 ইন্টিগ্রেশন আর ডিফারেন্সিয়েশন সহ এর উচ্চতর শাখা-প্রশাখা অনেক অনেক অন্নেক গভীরে গিয়ে পড়াবে, ইন্টারে তোমরা তার ১০% টপিকও পড়োনি!ম্যাথের পরিধি ব্যাপক ইঞ্জিনিয়ারিং এ! 😉
মানবিক বিভাগ শুনে হয়তো তোমরা কিছুটা অবাক হচ্ছো! খালি ইঞ্জিনিয়ার হলেই হবে, সোসাইটিতে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে তোমাকে কিভাবে ডিল করতে হবে সেটা জানতে হবে না?!!😎 এখানে পড়বে ইংলিশ, অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান, সোশিওলোজি, এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স ইত্যাদি।
ইলেক্ট্রিক্যাল এ বিভিন্ন ধরণের সার্কিট , মেশিনারিজ যেমন জেনারেটর, মোটর, ট্রান্সফর্মার, ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদি পড়ানো হবে।
সিএসই তে পড়বা ব্যাসিক কিছু প্রোগ্রামিং, আর Computer Aided Drawing(CAD).
এই ছিল মোটামুটি সহজ ভাষায় নন ডিপার্টমেন্টাল গুলো! এবার আসি মেকানিক্যালের গুলোয়!
কোনো একটা নির্দিষ্ট জিনিস বানাতে কত প্রকার প্রসেস আছে, মেশিন ব্যাবহার করা হয় সেগুলোর ডিটেইল পাবা ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেসে। এরপর আছে থার্মাল ইঞ্জিনিয়ারিং, যেখানে তুমি তাপশক্তির উৎপাদন, প্রক্রিয়া, মুলনীতিসমুহ, যন্ত্রপাতিসহ বিশদ জানতে পারবে।
এরপরেই পাবা মেকানিক্যালের কোর পার্ট, মেকানিক্স!💗 ইন্টারে ম্যাথে সেকেন্ড পেপারে স্থিতিবিদ্যা আর গতিবিদ্যা পড়েছিলে না?!! সেগুলোই বিভিন্ন ধরণের ক্ষেত্রবিশেষে যেমন ফ্লুইড, সলিড, সারফেইস ইত্যাদিতে কিভাবে কাজ করে, সেসব বিষয়ে বিস্তারিত পড়বে! আর কিছু বললে বুঝবা না, তাই বলছি না!
এছাড়া পাবা থার্মোডায়নামিক্স, হিট ট্রান্সফার, মেশিন ডিজাইনিং সহ আরো অনেক কিছু! এবং আবার বলছি, প্রতিটা জিনিসই কিন্ত অনেক গভীরে গিয়ে পড়ানো হবে!
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ভাই এতকিছু দেখলাম, কই আমার গাড়ি-ইন্ডাস্ট্রির ব্যাপারে তো কিছু দেখলাম না!
আসলে তোমাকে এখানে ব্যাসিক ধারনা দিয়ে দেওয়া হবে সবকিছুর, যাতে ভবিষ্যতে তুমি তোমার পছন্দমতো জায়গায় শিফট করে তারপর সেদিকে অগ্রসর হতে পারো! তবে হ্যাঁ, অটোমোবাইলসের উপর অপশনাল কোর্স আছে। আর তোমাদের ফ্যাসিনেশনের যেই সমস্ত সেক্টরগুলো মেকানিকালের সাথে জড়িত, সেগুলোর সুত্রপাত কেবল এখান থেকে হবে। আস্তে আস্তে তোমরা তোমাদের স্বপ্নের জায়গায় পৌছবে।
জবের ব্যাপারে কথা বলতে গেলে বিদেশে যে অনেক ডিমান্ড সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না, দেশে গভর্নমেন্ট জবগুলো কিছুটা কম হলেও প্রাইভেট সেক্টরে কিন্ত প্রচুর সুযোগ আছে!এবং দিন দিন বাড়ছেই! সমস্ত ইন্ডাস্ট্রি, পাওয়ার প্ল্যান্ট গুলাতে সবচেয়ে বেশি চাহিদা।
আর যেহেতু এটা মাদার সাব্জেক্ট, তাই এটা থেকে বের হবার পর তুমি মেকানিকালের অধিভুক্ত সেক্টরগুলো যেমন আইপিই, লেদার, টেক্সটাইল এও সুইচ করতে পারবে, নন মেজর ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে।
পরিশেষে একটা কথাই বলবো, ইঞ্জিনিয়ারিং এর কোনো সাব্জেক্টই সহজ না, অনেক পরিশ্রম করতে হবে... তবে ভালবাসতে পারলে ঠিকই সুন্দরমতো মানিয়ে নেওয়া যায়।
যদি মনে হয় তুমি মেকানিকালকে আপন করে নিতে পারবে, মেকানিকালের দুনিয়ায় তোমাকে স্বাগতম, হবু মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার!
অথবা গেইম অফ থ্রন্স, পুরো ভাইরাল টিভি সিরিজ! স্টার্টিং এই যে সমতল মাটি থেকে দাঁতকাটা চাকা উঠে ঘোরা, একটার সাথে আরেকটা চাকা লেগে লেগে ঘুরতে থাকা, দেখেছ নিশ্চয়ই!
মুভি/সিরিজ এর রিভিউ নিয়ে বকবক করবো না কিন্ত!
অনেকেই আন্দাজ করতে পারছো, যেহেতু পোস্ট টা এডমিশন গ্রুপের, তাই আমি কোনো সাব্জেক্ট নিয়েই হয়ত কথা বলতে চাচ্ছি!
হ্যাঁ, সাব্জেক্টটি হল মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং! এটার শুরু সেইই আদিম আমল থেকে, যখন মানুষ কোনোকিছু বানিয়ে ব্যাবহার করতে শুরু করলো, শক্তির ট্রান্সফার ঘটিয়ে সভ্যতার বিবর্তন ঘটানো শুরু করলো!
অনেক পরিচয় পর্ব তো হলো, এখন নাহয় বিষয়টিতে আসলে কি, কেমন, কি জিনিস পড়ানো হয় সেগুলো একটু বলি!তোমরা যেহেতু এখনো ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিষয়ে তেমন কোনো ধারণা রাখো না, তাই তোমাদের জন্য সহজ ভাষায় বলছি!
চার বছরে তোমাকে অনেকগুলো কোর্সই করতে হবে, নন ডিপার্টমেন্টাল হলো ইলেক্ট্রিক্যাল, সিএসই, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গনিত, মানবিক ,আর বাকিগুলো মেকানিকালের অধিভুক্ত।
ফিজিক্সে পড়তে হবে বিভিন্ন বস্তুর গঠন, প্রধানত ক্রিস্টাল/স্ফটিক এর খুঁটিনাটি, বিভিন্ন ধর্ম-আচরন আর মডার্ন ফিজিক্স, যেটা তোমরা ইন্টারে কিছুটা পড়ে আসছিলা, ৮ম-৯ম অধ্যায়!
কেমিস্ট্রিতে পড়তে হবে জৈব যৌগ 😛, না না ভয় পাওয়ার কিছু নেই,কিছু ব্যাসিক জিনিসপত্র আর পলিমার-প্লাস্টিক-রবার-সিমেন্ট-কাঁচ-সিরামিক এসব! খুব ডিটেইলসে না!
এবার আসি ম্যাথে! 😁 ইন্টিগ্রেশন আর ডিফারেন্সিয়েশন সহ এর উচ্চতর শাখা-প্রশাখা অনেক অনেক অন্নেক গভীরে গিয়ে পড়াবে, ইন্টারে তোমরা তার ১০% টপিকও পড়োনি!ম্যাথের পরিধি ব্যাপক ইঞ্জিনিয়ারিং এ! 😉
মানবিক বিভাগ শুনে হয়তো তোমরা কিছুটা অবাক হচ্ছো! খালি ইঞ্জিনিয়ার হলেই হবে, সোসাইটিতে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে তোমাকে কিভাবে ডিল করতে হবে সেটা জানতে হবে না?!!😎 এখানে পড়বে ইংলিশ, অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান, সোশিওলোজি, এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স ইত্যাদি।
ইলেক্ট্রিক্যাল এ বিভিন্ন ধরণের সার্কিট , মেশিনারিজ যেমন জেনারেটর, মোটর, ট্রান্সফর্মার, ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদি পড়ানো হবে।
সিএসই তে পড়বা ব্যাসিক কিছু প্রোগ্রামিং, আর Computer Aided Drawing(CAD).
এই ছিল মোটামুটি সহজ ভাষায় নন ডিপার্টমেন্টাল গুলো! এবার আসি মেকানিক্যালের গুলোয়!
কোনো একটা নির্দিষ্ট জিনিস বানাতে কত প্রকার প্রসেস আছে, মেশিন ব্যাবহার করা হয় সেগুলোর ডিটেইল পাবা ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেসে। এরপর আছে থার্মাল ইঞ্জিনিয়ারিং, যেখানে তুমি তাপশক্তির উৎপাদন, প্রক্রিয়া, মুলনীতিসমুহ, যন্ত্রপাতিসহ বিশদ জানতে পারবে।
এরপরেই পাবা মেকানিক্যালের কোর পার্ট, মেকানিক্স!💗 ইন্টারে ম্যাথে সেকেন্ড পেপারে স্থিতিবিদ্যা আর গতিবিদ্যা পড়েছিলে না?!! সেগুলোই বিভিন্ন ধরণের ক্ষেত্রবিশেষে যেমন ফ্লুইড, সলিড, সারফেইস ইত্যাদিতে কিভাবে কাজ করে, সেসব বিষয়ে বিস্তারিত পড়বে! আর কিছু বললে বুঝবা না, তাই বলছি না!
এছাড়া পাবা থার্মোডায়নামিক্স, হিট ট্রান্সফার, মেশিন ডিজাইনিং সহ আরো অনেক কিছু! এবং আবার বলছি, প্রতিটা জিনিসই কিন্ত অনেক গভীরে গিয়ে পড়ানো হবে!
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ভাই এতকিছু দেখলাম, কই আমার গাড়ি-ইন্ডাস্ট্রির ব্যাপারে তো কিছু দেখলাম না!
আসলে তোমাকে এখানে ব্যাসিক ধারনা দিয়ে দেওয়া হবে সবকিছুর, যাতে ভবিষ্যতে তুমি তোমার পছন্দমতো জায়গায় শিফট করে তারপর সেদিকে অগ্রসর হতে পারো! তবে হ্যাঁ, অটোমোবাইলসের উপর অপশনাল কোর্স আছে। আর তোমাদের ফ্যাসিনেশনের যেই সমস্ত সেক্টরগুলো মেকানিকালের সাথে জড়িত, সেগুলোর সুত্রপাত কেবল এখান থেকে হবে। আস্তে আস্তে তোমরা তোমাদের স্বপ্নের জায়গায় পৌছবে।
জবের ব্যাপারে কথা বলতে গেলে বিদেশে যে অনেক ডিমান্ড সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না, দেশে গভর্নমেন্ট জবগুলো কিছুটা কম হলেও প্রাইভেট সেক্টরে কিন্ত প্রচুর সুযোগ আছে!এবং দিন দিন বাড়ছেই! সমস্ত ইন্ডাস্ট্রি, পাওয়ার প্ল্যান্ট গুলাতে সবচেয়ে বেশি চাহিদা।
আর যেহেতু এটা মাদার সাব্জেক্ট, তাই এটা থেকে বের হবার পর তুমি মেকানিকালের অধিভুক্ত সেক্টরগুলো যেমন আইপিই, লেদার, টেক্সটাইল এও সুইচ করতে পারবে, নন মেজর ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে।
পরিশেষে একটা কথাই বলবো, ইঞ্জিনিয়ারিং এর কোনো সাব্জেক্টই সহজ না, অনেক পরিশ্রম করতে হবে... তবে ভালবাসতে পারলে ঠিকই সুন্দরমতো মানিয়ে নেওয়া যায়।
যদি মনে হয় তুমি মেকানিকালকে আপন করে নিতে পারবে, মেকানিকালের দুনিয়ায় তোমাকে স্বাগতম, হবু মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার!
Samiul Alam Pranto
ME
batch 2k16
KUET.
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন