মঙ্গলবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৮

Agricultural University যখন স্বপ্নের নতুন ঠিকানা

Agricultural University যখন স্বপ্নের নতুন ঠিকানা

##সময় নষ্ট করে হলেও পুরোটা পড়ো।একটু হলেও কাজে দিবে।(Repeat post)
মেডিকেল, ঢাবি সব পরীক্ষাতো মোটামুটি শেষ।ইতোমধ্যে অনেকেই তারকাদের কাতারে নিজের নাম লিখাতে সক্ষম হয়েছো তাদের জন্য প্রথমেই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।আসলে এইচ.এস.সি এক্সাম শেষে সবারই মূল লক্ষ্য থাকে ইঞ্জিনিয়ারিং/মেডিকেলে ভর্তি হওয়া।কমপক্ষে ঢাবির নিচেতো আর না।এগুলোতে না হলে যেন লাইফ শেষ।সত্যিই কি তাই??????????????? এসবের বাইরেও যে সুন্দর একটা ভবিষ্যৎ আছে সেটা অনেকেরি অজানা।আসলে সত্যিকথা বলতে কি..তোমাদের স্টেজটাতে যখন ছিলাম তখন বিষয়টা আমারও অজানাই ছিলো।এর জন্য দায়ী আমাদের সমাজ ব্যবস্থা, দায়ী সুশিক্ষিত লোকের সংকট।
আমাদের গ্রামীণ সমাজে কৃষির প্রতি একটা নেগেটিভ ধারনা আছে এটা অস্বীকার করার কিছু নেই।কিন্তু সত্যিই কি শিক্ষিত সমাজও বিষয়টাকে খারাপ চোখে দেখে???উত্তরটা নিজেই মিলিয়ে নিবে,তবেই অন্তত ভালোবাসা কিছুটা বাড়বে।কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করতেই অনেক হাই জি.পি.এ দরকার হয়।তারপরও কি বলবে যে কৃষিতে খারাপরা পড়ে?????আসলে এই খারাপ ধারনাটা মাথায় আসার মূল কারন আমাদের নবম-দশম শ্রেণীর কৃষি শিক্ষা বিষয়টা।ওই কৃষিটা মূলত নেয় তুলনামূলক কম মেধাবীরা।আর সেই থেকেই কৃষির প্রতি এবং তারই ধারাবাহিকতায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি নেগেটিভ মনোভাবের শুরু।
কিন্তু ভাই, সেই কৃষি আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতো এক জিনিস না।আর সেটা যদি হয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে তবেতো প্রশ্নই আসেনা।
আজ দেশের অবস্থা খুব বেশি ভালোনা।মনে করিওনা যে মেডিকেলে চান্স পেলেই তুমি সরকারি ডাক্তার হবা মাস্ট। ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে বেকার ঘুরে বেড়ানোর সংখ্যাটাও ছোট খাটো নয়।অথচ সেই অবহেলিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটদের একটাবার খোঁজ নিয়ে দেখোতো, তারা কে কোথায়।
হ্যা, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে ইঞ্জিনিয়ার,হিউম্যান ডাক্তার (এনিমেল পারবে) আর লয়ার হওয়া পসিবল না।যাদের প্যাশন এই তিনটার যেকোনোটা তাদের জন্য ভিন্ন কথা।এই তিনটা ছাড়া আর কি হতে পারবেনা এরা???বাকি সবকিছুর দ্বারই খোলা এদের জন্য।সকল সরকারী চাকুরীতে আবেদনের যোগ্যতার পাশাপাশি এদের জন্য রয়েছে বি.সি.এস টেকনিক্যাল ক্যাডারের বিশেষ সুবিধা।তারমানে বি.সি.এস এ একটু ভালো করলেই এদের ক্যাডার পাবার সম্ভাবনা ৮০% নিশ্চিত। যেখানে সাধারনদের বসে বসে মুড়ি খাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকেনা।এর চেয়ে বড় আর কি সুযোগ চাই????????
পাশাপাশি এদের জন্য বিদেশী স্কলারশিপ পাবার সম্ভাবনাও অন্যদের তুলনায় বেশ কয়েকগুণ বেশি।এতকিছুর পরও কি বলবে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালোরা পড়েনা???যুগ যত উন্নত হচ্ছে মানুষের চিন্তা ধারাতেও ততই পরিবর্তন আসছে।এখন মানুষ সবকিছুই বুঝতে শিখেছে।তাই সেই অবহেলাটাই দিনে দিনে ভালোবাসায় রুপান্তরিত হচ্ছে।
আর ভার্সিটি লাইফের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে সুন্দর + যোগ্যতা সম্পন্ন একটা জুটি খুঁজে পাওয়া। এখানে পড়তে পারলে আশাকরি সেটা অসম্ভব কিছু হবেনা। তুমি এগ্রিকালচারালে পড়ে মেডিকেলের মেয়ের সাথে রিলেশন করতেই পারো।সবার কাছে এগ্রিকালচারালের ডিমান্ড না জানা থাকলেও যারা হায়ার লেভেলে পড়াশোনা করে তাদের কাছে এটা ঠিকই স্বপ্নের আরেক নাম।
যাইহোক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ সুবিধা বর্ননা করে শেষ করা সম্ভব নয়।যার দরকার পড়বে প্রয়োজন মাফিক নেটে সার্চ দিয়ে জেনে নিবে।আর যারা এটাকে অবহেলা করে তাদের করতে দাও।তর্কে জড়ানোর দরকার নেই।শুধু মনে রাখবে স্কিল্ড পার্সন এটা নিয়ে কথা তুলবেনা।এখন ভর্তি বিষয়ে কিছু ধারনা দিতে চেষ্টা করি......
মেডিক্যাল আর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রস্তুতি সেইম কথা।তাই যারা মেডিকেলের প্রস্তুতি নেয় তাঁদের জন্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতির ৮০-৮৫% কমপ্লিট হয়ে যায়।শুধু আলাদাভাবে ম্যাথটা করলেই প্রস্তুতি ১০০% কমপ্লিট। তাইবলে যারা ইঞ্জিনিয়ারিং করছো তাদেরও ভয়ের কিছু নেই(আমি নিজেও ইঞ্জিনিয়ারিং ই করেছিলাম)।শুধু জি.কে এর ১০ নম্বরের জন্য আলাদাভাবে একটু জি.কে টা পড়বে।আর সেই সাথে বিগত সালের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নব্যাংক অবশ্যই পড়বে।ম্যাথ নিয়ে টেনশনের কিছু নেই।সহজ এবং মুখেমুখে করা যায় এমন সূত্র সংবলিত ম্যাথগুলোই বেশি আসে।ম্যাথ প্লাস বইটা ফলো করতে পারো।
ফিজিক্স,কেমিস্ট্রি তেও সেইম।বড় কোনো ম্যাথ দিবেনা।ক্যালকুলেটর ছাড়াই করা যায় এমন কিছুই দিবে।আর সবচেয়ে বড় কথা....সবকিছুর জন্যই প্রশ্নব্যাংক পড়বে।ওটা থেকে দারুণ কমন পড়ে।হুবুহু না কমন পেলেও টপিক সেইম থাকে প্রায় ৭০-৮০% প্রশ্নের।তাই বুঝেশুনে প্রশ্নব্যাংটা সলভ করলে আর কে ঠেকায়????
বাংলাদেশে মোট ৫ টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যাদের সবকটিই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।
১। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)/( BAU) :
ময়মনসিংহে অবস্থিত।
আবেদন যোগ্যতাঃ
** এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রাপ্ত জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল 9.০০ (৪র্থ বিষয় ছাড়া), আলাদা আলাদা জিপিএ ৩.৫০ থাকা আবশ্যক।
** এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় অবশ্যই পদার্থ, রসায়ন, জীব ও গণিত বিষয়গুলো থাকতে হবে।
** এইচএসসি পরীক্ষায় পদার্থ, রসায়ন, জীব, গণিতে ও ইংরেজী বিষয়ে প্রাপ্ত জিপিএ ন্যূনতম ৩.০০ করে থাকতে হবে।
আসন সংখ্যাঃ
► ভেটেরিনারি অনুষদ: ১৯১
► কৃষি অনুষদ: ৪০২
► পশুপালন অনুষদ: ১৯১
► কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ স.বি.:১৩৩
► কৃষি প্রকৌশল অনুষদ
(i) এগ্রিকালচার ইঞ্জিনিয়ারিং: ১০০
(ii) ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং: ৫০
► মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ: ১৩৩
মানবন্টনঃ
* পদার্থ ২৫
* রসায়ন ২৫
* জীব ২৫
* গণিত ২৫
জিপিএ গণনা ও অন্যান্য তথ্যঃ
✪ এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-কে ৮ দ্বারা এবং এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-কে ১২ দ্বারা গুণ করা হবে। অর্থাৎ, জিপিএ'র উপর ১০০ নম্বর বরাদ্দ থাকবে। মোট ২০০ (১০০+১০০) নম্বরের ভিত্তিতে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ন করা হবে।
✪ লিখিত (MCQ) পরীক্ষায় প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ নম্বর করে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য (০.২৫) নম্বর করে কর্তন করা হবে।
✪ ভর্তি পরীক্ষায় মোট নম্বরের ৩০% নম্বর পেতে হবে। অন্যথা অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হবে।
NB:জিপিএ -৫.০০ না থাকলে এপ্লাই করার দরকার নাই।
২। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)/(SAU).
রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত।
আবেদন যোগ্যতাঃ
** এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রাপ্ত জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ৭.৫০ (৪র্থ বিষয় ছাড়া) এবং আলাদা আলাদা জিপিএ ৩.০০ থাকা আবশ্যক।
** এইচএসসি'র পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান বিষয়ে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে।
** এসএসসি ও এইচএসসি উভয়ের ইংরেজী বিষয়ে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে।
আসন সংখ্যাঃ৬২৫+.....
► কৃষি অনুষদ- ৩৫০
► এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারী মেডিসিন অনুষদ- ১০০
► এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট- ১২০। মাৎস্য বিজ্ঞান -৫০
মানবন্টনঃ
ভর্তি পরীক্ষায় পদার্থ-২০, রসায়ন_২০, জীববিজ্ঞান-২০ ও গণিত-২০,ইংরেজি-১০ ও সা.জ্ঞান-১০। বিষয়াবলী থেকে মোট ১০০ টি MCQ প্রশ্ন থাকবে।
জিপিএ গণনা ও অন্যান্য তথ্যঃ
✎ ঠিক আগেরটার মতই।
✎ ভর্তি পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর, মোবাইল ও ঘড়ি সহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
✎ সেকেন্ড টাইম ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে।
৩।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি)/(BSMRAU)
অবস্থান:-গাজীপুর
আবেদনের যোগ্যতা:-
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (SSC) অথবা সমমানের এবং উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (HSC) বা সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে ৩.৫০ জিপিএসহ উভয় পরীক্ষার জিপিএর যোগফল ৭.৫০ থাকতে হবে।অবশ্যই বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ন হতে হবে।
পরীক্ষার মানবন্টন:
জীব (২০), রসায়ন (২০), পদার্থ (২০), গণিত (১৫), ইংরেজি (১৫) ও সাধারণ জ্ঞান (১০)
অন্যান্য তথ্য:
→ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে।
→কোনো নেগেটিভ মার্কিং নেই।
→পাশ মার্ক ৪০
আসন সংখ্যা --৩০০
>ভেটেরিনারী মেডিসিন -:৫০
>কৃষি -:১৫০
>ফিশারিস -:৫০
>কৃষি অর্থনীতি -:৫০
#G.P.A এর উপর মার্কস আগের মতই।
৪। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি)/ (SAU)
অবস্থান:-সিলেট
আবেদনের যোগতা:-
SSC ন্যূনতম GPA- 3.0
HSC ন্যূনতম GPA- 3.0
SSC এবং HSC ন্যূনতম GPA- 6.5
(ssc) এবং (HSC) পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিদ্যা ও গণিত ( এসএসসি'র ক্ষেত্রে সাধারণ
গণিত ) বিষয়ে প্রত্যেকটিতে আলাদাভাবে ন্যুনতম গ্রেড পয়েন্ট ৩.০ এবং ইংরেজী তে ২.০ থাকতে হবে।
আসন সংখ্যা:- মোট = ৩৭৪
>ভেটেরিনারী (৮৮)
>কৃষি (৭৭)
>কৃষি অর্থনীতি (৫৫)
>মৎস্য (৬৬)
>কৃষি প্রকৌশল (৫৫)
>বায়োটেকনোলজী (৩৩)
পরীক্ষার মানবন্টন:
পদার্থবিদ্যা ২০ নম্বর, রসায়ন ২০ নম্বর, গণিত ২০ নম্বর, উদ্ভিদবিদ্যা ১৫ নম্বর, প্রাণিবিদ্যা ১৫ নম্বর, ইংরেজী ১০ নম্বর।
অন্যান্য তথ্য:
→পরীক্ষার হলে মোবাইল-ফোন এবং কোন ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে আনা যাবে না।
→ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে
→কোনো নেগেটিভ মার্কিং নেই
→পাশ নাম্বার ৪০
#G.P.A এর উপর মার্কস আগের মতই।
৫।চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়
আবেদন যোগ্যতাঃ
** বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ৬.৫০ (৪র্থ বিষয় ব্যতীত) এবং প্রত্যেকটিতে আলাদা আলাদা জিপিএ ৩.০০ থাকা আবশ্যক।
** এসএসসি ও এইচএসসি লেভেলে পদার্থ, রসায়ন, গণিত (এসএসসির ক্ষেত্রে সাধারন গণিত) ও জীববিজ্ঞান বিষয়গুলো থাকতে হবে।
** এইচএসসি'র পদার্থ, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান ও ইংরেজী বিষয়গুলো-তে প্রাপ্ত জিপিএ ন্যূনতম ২.০০ থাকা আবশ্যক।
আসন সংখ্যা :-
► ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন:=৮৫
► বিএস.সি ইন ফুড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি:=৭০
► বিএস.সি ইন ফিসারিজ:=৫৫
[সর্বমোট আসন সংখ্যা ২১০ টি।]
মানবন্টনঃ
* পদার্থ ২০
* রসায়ন ২০
* গণিত ২০
* জীববিজ্ঞান ৩০
* ইংরেজী ১০
#G.P.A এর উপর মার্কস আগের মতই।
যাইহোক,সময় এখন ডিসিশন নেবার। লাইফ কোনদিকে নিয়ে যাবে সেটা তোমাকেই ভাবতে হবে।পড়াশোনা না করলে তোমার দুটোতেই গোল্ডেন নাকি আরো বেশিকিছু সেসব কোনো কাজে আসবেনা।ভার্সিটি /মেডিকেল /কৃষি/ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রস্তুতি আলাদা আলাদা কিছু নয়।একটা আরেকটার পরিপূরক। যারা এগুলোকে আলাদা করে দেখে তাদের মূল উদ্দেশ্য ব্যাবসা।তবে ইঞ্জিনিয়ারিংটা লিখিত এটুকুই আলাদা।আর কোনো ফারাক নেই এদের মাঝে।তাই যে যেটাই কোচিং করে থাকোনা কেনো তাতে কোনো সমস্যা নাই।সব তোমার নিজের কাছেই।এখনও এইসবের এক্সামে লেট আছে।সময়টা কাজে লাগাও।আর একটা কথা এগ্রিকালচারালে চান্স পেতে স্পেশাল কোনো বই নেই।মূল বই পড়ো।
সুন্দর ক্যাম্পাসগুলি মুখোরিত হোক তোমাদের পদচারণায়.......
সবার সুপ্ত প্রতিভাগুলো জেগে উঠুক।আর সেইসব
প্রতিভাবানদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবো আমরা, গড়ে তুলবো লাল সবুজের আধুনিক বাংলাদেশ.........
সেই শুভকামনায়....
MD Rasel Parvez
Veterinarian
SAU

রবিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৮

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(চুয়েট/সি ইউ ই টি) চুয়েট ভর্তি পরীক্ষা

২ নভেম্বর চুয়েট ভর্তি পরীক্ষা ২০১৮ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।চুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে এমন অনুজদের জন্যই আজকের লিখা।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(চুয়েট/সি ইউ ই টি) বাংলাদেশের প্রথম সারির প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে অন্যতম।১০ টি ডিপার্টমেন্ট এবং ৫ টি ফ্যাকাল্টির সমন্বয়ে আমাদের এই প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়(বিস্তারিত সার্কুলারে)।
এবার আসি পরীক্ষা সম্পর্কিত কিছু কথায়।কত নাম্বারের পরীক্ষা,কত সময়ের,বিষয় কি কি থাকবে এসব ব্যাপার চুয়েট ভর্তি পরীক্ষার অফিশিয়াল সার্কুলার থেকে দেখে নিবে।
পরীক্ষার এখনো ১৫ দিনের মতো বাকি বিভিন্ন জায়গায় জার্নির সময় বাদ দিয়ে।এই ১৫ দিন কিভাবে সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগানো যায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকাটা খুবই জরুরি।এক্ষেত্রে গদবাধা পড়া না পড়ে একটু টেকনিকালি আগালে ভালো আউটপুট পাবে আশা করি।এক্ষেত্রে চুয়েট ভর্তি পরীক্ষার আগে মাঝের এই সময়টাতে বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষা আছে।ক্ষেত্রবিশেষে সবার ক্ষেত্রেই সময় আরো কমে আসবে।এমন অবস্থায় কেউ যদি চিন্তা করে থাকো যে প্রথম থেকে সব পড়া আবার পড়ে যাবে তাহলে তা ভুল।বরং সম্ভব না এক কথায়।কিছু টপিক এতো কমন থাকে যে সেগুলো প্রাকটিস করতে করতে তোমাদের সবারই প্রায় মুখস্ত।এরকম টপিকগুলো থেকে চুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় অবশ্যই প্রশ্ন থাকবে।যেহেতু ইঞ্জিনিয়ারিং গুলোর মধ্যে চুয়েটের পরীক্ষা সবার শেষে সেক্ষত্রে এই কমন বিষয় গুলোর অভিজ্ঞতা অন্যান্য পরীক্ষা থেকে নিয়ে চুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় এপ্লাই করার একটা ভালো সুযোগ থাকছে তোমাদের সামনে।এখন ঝামেলা হলো ওইসব প্রশ্ন নিয়ে যেগুলো সচরাচর তোমরা ফেইস করো না।এক্ষেত্রে তোমাদের একমাত্র হেল্পিং হ্যান্ড হতে পারে চুয়েট ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ব্যাংক।অবশ্যই এই প্রশ্ন ব্যাংক ভালো করে সলভ করে পরীক্ষার হলে ঢোকা উচিত তোমাদের।এর মাধ্যমে বিগত বছেরে আসা প্রশ্নগুলোর প্যাটার্ন সম্পর্কে ভালো ধারনা পাবে যা পরীক্ষার হলে যে কোন সিচুয়েশন ফেইস করতে কার্যকরি ভূমিকা রাখবে।পাশাপাশি যেসব টপিক থেকে বিগত বছরগুলোয় প্রশ্ন হয়েছে সেসব টপিকগুলোর মধ্যে যদি কোনটায় সমস্যা বা কনফিউশন থেকে থাকে তা অবশ্যই ক্লিয়ার করে নিবা।
আমি বলছি না এই প্রিপারেশন তোমাকে চান্স পাইয়ে দিবে,কিন্তু এই ধাপে প্রিপারেশন নিলে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও বাড়বে।
অনেকের প্রশ্ন থাকে ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটিগুলায় বইয়ের বাহির থেকে প্রশ্ন হয় কি না।
আমার উত্তর হবে:হয় না বললেই চলে,কিন্তু হলেও ৫% এর বেশি না।এখন দেখো এই ৫% ছাড়া বাকি ৯৫% যদি কেউ সঠিক করে আন্সার করতে পারে সে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হবে। :v
তবুও পরীক্ষার্থীদের মাঝে একটা প্রবনতা দেখা যায় যে কোয়শ্চেন পেপারকে দোষারোপ করার।
সুতরাং বইয়ের বাহির থেকে প্রশ্ন হয় তাই পরীক্ষা খারাপ হয়েছে এরুপ অযুহাত ভিত্তিহীন।
একটা ব্যাপার সহজ করে বললে বলা যায়,
যে প্রশ্নটা কেউ পারলো না,সেটা তুমি না পারলে কোন পার্থক্য হবে না।কিন্তু বই থেকে আসা সোজা একটা প্রশ্ন যেটা সবাই পারলো কিন্তু তুমি পারলা না তাহলে তুমি হাজার হাজার জনের পিছে চলে গেলা।সুতরাং সহজ প্রশ্নগুলোর প্রতি ফোকাস করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
চুয়েট ভর্তি পরীক্ষার প্রিপারেশন নিয়ে অনেক প্যানপ্যান করলাম। এবার আসি চুয়েট ক্যাম্পাস নিয়ে।
চুয়েট ক্যাম্পাস হল ১৭১ একর জায়গার উপর এক টুকরো সবুজ স্বর্গ।
সবুজ স্বর্গ কেনো বলছি তা পরীক্ষা দিতে আসলেই বুঝবে।আমাদের ক্যাম্পাসে আছে ৬ টি হল,দুইটি প্রশাসনিক ভবন,দুইটি লাইব্রেরি বিল্ডিং,৬ টি একাডেমিক ভবন,তিনটি ক্যান্টিন,একটি সুদৃশ্য লেক,সেন্ট্রাল মসজিদ,সেন্ট্রাল ফিল্ড,শিক্ষকদের আবাসিক এরিয়া,বাস্কেটবল গ্রাউন্ড,অডিটোরিয়াম,ক্যাফেটেরিয়া(under construction) এবং কিছু পুকুর।আর যেটার কথা না বললেই নয় তা হলো প্রচুর গাছপালা।এই অনিন্দ্যসুন্দর সবুজ স্বর্গই আমাদের ক্যাম্পাসকে অনন্য করে তুলেছে অন্য সব ক্যাম্পাস থেকে।বৃষ্টির দিনে ক্যাম্পাস হয়ে উঠে সবচেয়ে সুন্দর।
ভিজা পিচঢালা রাস্তা,সবুজের সমারোহে পরিপূর্ণ গাছপালা,কাঠবিড়ালি, পাখির ডাক,কাঠগোলাপ,হাসনাহেনার গন্ধ তোমার ক্যাম্পাস লাইফকে উপহার দিবে বিশেষ কিছু।সবুজের মাঝে রঙিন ফুলগুলোর কম্বিনেশন তোমার কাছে পৌছে দিবে চূড়ান্ত ভালোলাগার স্পর্শ।
চুয়েট সম্পূর্ণ একটা প্রাণবন্ত ক্যাম্পাস।এখানে আছে কিছু দেশসেরা সাংস্কৃতিক সংগঠন।যাদের কর্মকান্ডে মুখর থাকে ক্যাম্পাসের প্রতিটি কোণা।যদি সংস্কৃতি মনা হয়ে থাকো তবে তো কথাই নেই!তোমার স্টেজ পারফরমেন্সে মাতবে সম্পূর্ন চুয়েট।আরো আছে ফটোগ্রাফিক সোসাইটি,ফিল্ম সোসাইটি,জার্নালিজম সোসাইটি,ডিবেটিং সোসাইটি,ক্যারিয়ার ক্লাব,স্পোর্টস ক্লাব,রবোটিক্স সহ বড় বড় সব ক্লাব এবং ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন।নিজেদের প্রকাশ করার একটা বড় প্ল্যাটফরম হলো চুয়েট।বিভিন্ন ভার্সিটির সাথে দেশের এবং দেশের বাহিরের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিযোগিতায় চুয়েটকে রিপ্রেজেন্ট করতে পারো তুমিও।
কথায় আছে "১২ মাসে ১৩ পার্বন"।
আমাদের ক্যাম্পাসের ক্ষেত্রে বলা যায় " ১২ মাসে ১৩ প্রোগ্রাম" :v
প্রচুর পরিমাণ কালচারাল প্রোগ্রাম হয় এখানে।যেমন আছে ডিপার্টমেন্টাল প্রগ্রাম তেমনি আছে সংগঠন ভিত্তিক প্রোগ্রাম।সবচেয়ে সেরা আকর্ষন হচ্ছে চুয়েট rag programme।আর যারা কনসার্ট পছন্দ করো অথবা মেটাল লাভার তাদেরকে ওয়েলকাম।টানা ১৮ ঘন্টার কনসার্ট অন্য কোন ক্যাম্পাসে পাবে না।😉
বাংলাদেশের এমন কোন শীর্ষ ব্যান্ড নাই যারা চুয়েটে পারফর্ম করতে আসে নাই।
সবশষে আসি ক্যাম্পাসের সম্পর্কগুলোর কথা।
আমাদের প্রতিটা ডিপার্টমেন্টের প্রতিটা টিচার যথেষ্ট হেল্পফুল এবং ফ্রেন্ডলি।সিনিয়র-জুনিয়র সম্পর্ক এই ক্যাম্পাসের মূল সৌন্দর্য্য।
জুনিয়র রা যেমন সম্মান করে তেমনি ক্যাম্পাসের যে কোন সমস্যায় স্নেহ দিয়ে আগলে রাখে সিনিয়ররা।
চুয়েটে চলে ব্রাদারহুড।
পরিশেষে,অনুজ তোমাদের অপেক্ষায় ক্যাম্পাস।
নিজেদের মেধা,পরিশ্রম আর দক্ষতা দিয়ে অর্জন করে নাও চুয়েটকে।
একটা কথা মনে রাখবে,
যারা হয়তোবা ট্যালেন্ট তারা বুয়েট,রুয়েট, কুয়েটে ভর্তি হয়ে যাবে,
কিন্তু চুয়েট পরীক্ষা শেষে হওয়ায় চুয়েটে তারাই চান্স পাবে যাদের ট্যালেন্টের পাশাপাশি মনোবল এবং মানসিক শক্তি প্রো লেভেলের।
শুভ কামনা রইলো।
দেখা হচ্ছে প্রাণের ক্যাম্পাস চুয়েটে।
যে কোন জিজ্ঞাসা বা সমস্যা থাকলে জানাতে পারো।চেষ্টা করবো সাহায্য করার।
Ridwan Karim Khan
Department of civil engineering
CUET

শনিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৮

বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রস্তুতিতে শেষ ১০ দিনের এন্টিবায়োটিক।

শেষ ১০ দিনের এন্টিবায়োটিক।
🤒🤒🤒🤒🤒🤒🤒🤒🤒
______________________
প্রথমেই বলে রাখি এই পোষ্ট তাদের জন্য যারা দিনের পর দিন, রাতের পর রাত জেগে প্রচুর পড়াশোনা করেছে।অথবা যাদের প্রস্তুতি মোটামুটি ৫০%-৬৫% তাদের জন্য।একেবারে নতুন করে শুরু করবে এমন কারো জন্য আজকের পোষ্ট না।
.
সবার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নেয়া যাক।

ভাল প্রস্তুতি ও পজিটিভ লক্ষণ সমূহঃ
________________________________
অনেকেই আছে যারা সারাবছর প্রচুর পড়াশোনা করেছো।কষ্ট করেছো।শ্রম দিয়েছো শুধু একটি সীটের আশায়।
আসলেই কি তুমি ঠিক পথে আছো?
দেখে নেয়া যাক তুমি কোন পথে আছো।
ভাল প্রস্তুতির লক্ষণসমূহ নিচে দিলাম। মিলিয়ে নাওঃ
👇
১। এখন যতই পরীক্ষা এগিয়ে আসবে ততই মনে হবে পড়া ভুলে যাচ্ছো।
.
২। যতই পড়ো না কেন কিছুই মনে থাকছে না।
.
৩। সব পড়াই নতুন নতুন লাগছে।নতুন নতুন ভয় মনে জাগছে।
.
৪। সবকিছু ই এলোমেলো লাগছে। মনের ভিতরে কিছুটা অশান্তি কাজ করবে।
.
৫। কোনটা কখন পড়বে নিজের সাথেই দ্বন্দ্ব হচ্ছে।
.
৬। মাঝে মাঝে হতাশ লাগছে। এতো পড়লাম চান্স হবে তো?
.
৭। মাঝে মাঝে টেনশন হবে যদি ১/২ নাম্বারের জন্য চান্স ছুটে যায়!!!!!
.
৮। এতো পড়ার পরেও মনে হবে কোনকিছু বাদ যাইনি তো? সবসময় অস্থিরতা কাজ করবে।
.
৯। মাঝে মাঝে পড়তেই ইচ্ছা করবেনা।কিন্তু চান্স না পাবার ভয়ে আবার ঠিক ই বই টা হাতে তুলে নিচ্ছো।
.
১০। যারা আসলেই চান্স পাবে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিট,সীট,পরীক্ষা পদ্ধতি,মার্কস ডিস্ট্রিবিউশন,সময় ইত্যাদি সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা থাকবে।
.
১১। অযথা বাইরে বা অনলাইনে সময় নষ্ট করবেনা।
১২। মাঝে মাঝেই ঘুমের ঘরে স্বপ্নে দেখতে পাবে→
👇
*পরীক্ষার হলে দেরি করে আসছো।😮
.
* তোমাকে কেউ পেছন থেকে তাড়া করছে আর তুমি জানপ্রান নিয়ে ছুটে পালাচ্ছো। আকাশ দিয়ে উড়ে উড়ে যাচ্ছো।পালানোর চেষ্টা করছো। একটুর জন্য সে তোমাকে ধরতে পারেনি।😂
.
*পরীক্ষা দিতে যাবার সময় রাস্তায় কেউ তাড়া করছে অথবা কেউ আটকে রাখছে তোমাকে এক্সাম দিতে দিবেনা তাই।
.
* সবাই উত্তর করছে কিন্তু তুমি ই কিছু উত্তর দিতে পারছো না। সবচেয়ে তুমি ই পরীক্ষা খারাপ দিছো।
.
* হয়তো পরীক্ষার গেটে তুমি আটকা পড়ে গেছো।গেটম্যান তোমাকে ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছেনা।
.
*যে কোন কারণেই হোক শিক্ষক তোমার খাতা কেড়ে নিচ্ছে। তুমি হাজার কান্নাকাটি করার পরেও খাতা ফেরত পাচ্ছো না।
.
*পরীক্ষা দিতে যাবার আগে এডমিট বা রেজিস্ট্রেশন কার্ড খুজে পাচ্ছো না।
.
* হয়তো পরীক্ষার হলে ঢুকছো কিন্তু রাস্তায় এডমিট হারাই ফেলছো।আবার এডমিট আনতে পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে দৌড়াচ্ছো😂😂😂
.
*পরীক্ষার হলে আসছো হঠাৎ মনে পড়ছে, এই যাহ্ আমি তো কলম,এডমিট কার্ড কিছুই আনিনি কি করে পরীক্ষা দিব?এখন তো আমার সব শেষ! 😀😀
.
* পরীক্ষার রেজাল্ট দিছে।সবাই চান্স পেয়েছে শুধু তুমি ই পাওনি। অথবা রেজাল্টে তোমার নাম ই নেই🤣
.
*তুমি যে গাড়িতে করে পরীক্ষা দিতে আসছো স্বপ্নে দেখবে হয়তো সে গাড়ির ড্রাইভার রাস্তা ভুল করে অন্য রাস্তায় নিয়ে গেছে। গাড়ি আসতে আসতে পরীক্ষা শেষ!!!!😅

★উপরোক্ত স্বপ্নগুলো খুব স্বাভাবিকভাবেই অনেকেই দেখে থাকো।ভয় পাবার কিছু নাই। তারমানে তুমি সঠিক পথেই আছো।তোমার প্রস্তুতি বা সবকিছু ঠিক আছে।এটা হয় অতিরিক্ত টেনশনের কারণে।মাথায় চাপ বেশি পড়লে।এগুলো পজিটিভ সাইন।
বিঃদ্রঃ ঘুমের ঘরে কে কে এমন স্বপ্ন দেখেছো কমেন্টে জানাতে ভুল করো না যেন।

এবার দেখা যাক কারা কারা সঠিক পথে নাই। মানে প্রস্তুতিতে ঘাটতি আছেঃ
অনেকেই আছে সারাবছর পড়াশোনা না করে এদিক ওদিক, বিভিন্ন কারণে, অনলাইন বা প্রেম পিরিততে সময় নষ্ট করছো। শেষ সময়ে এসে মনে খুব ইচ্ছা জাগছে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে। ইচ্ছাটা প্রবল থেকে প্রবলতর হচ্ছে। কিন্তু হাতে তো সময় কম। এতো পড়ুয়ার ভিড়ে চান্স পাওয়া তো সহজ কথা না! তবুও অল্প পড়ে ঝড়ে বগ পড়ার মত হয় তাদের ভাগ্য আসলেই ভাল।
যাইহোক,মিলিয়ে নাও নিচের লক্ষণগুলো তোমার মাঝে আছে কি না। থাকলে দ্রুত দূর করার চেষ্টা করো।হাতে সময় কম।
একনজরে দেখে নেই আসলে প্রস্তুতি ঘাটতির লক্ষণ গুলো কি কিঃ
👇
১। কোন সাবজেক্ট ই ঠিকমত কমপ্লিট না হওয়া।
.
২। মনের ভিতরে দূর্বলতা যাবেনা।
.
৩। বাইরে বা অনলাইনে অযথা সময় নষ্ট করবে।
.
৪। কোনটা রেখে কোনটা পড়বে বুঝতে পারবেনা। হতাশায় ডুবে থাকবে।
.
৫। শেষ সময়ে এসে পরীক্ষার সিলেবাস,সীট,পরীক্ষা পদ্ধতি এসব বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা থাকবোনা। একে ওকে জিজ্ঞেস করে বেড়াবে।
.
৬। চান্স পাবার শর্টকাট টেকনিক এসব জানতে বা খুজতেই সময় কাটবে বা নষ্ট হবে। সত্যি বলতে কি সফলতার কোন শর্টকাট নাই।অন্তত ৩০-২৫ দিন তো জানপ্রাণ দিয়ে পড়তেই হবে চান্স পতে হলে।
.
৭। পড়তে বসলে কিছুই পড়তে ইচ্ছা করবেনা কেননা তার কোন সিলেবাস ই ঠিকমত শেষ হয়নি।কি পড়বে আর কি বাদ দিবে সেটাই বুঝতে পারবেনা। রাগ করে হোক বা হতাশায় হোক পড়ায় মনোযোগ আসবেনা।
.
৮ বইয়ের চাইতে অনলাইনের পড়াকেই বেশি গুরুত্ব দিবে। অনলাইনে তাদের নেশা বেশি থাকবে।কে কি বলল,কি পোষ্ট দিল,কোন নতুন তথ্য দিল কি না ইত্যাদির প্রতি বেশি আগ্রহ।
.
৯। না পড়ার বিভিন্ন অজুহাত খুজবে। মাঝে মাঝে নিজেকে দোষারোপ করবে সময় নষ্ট করার জন্য।
এমন কি পরিবার,বন্ধুবান্ধব বা প্রেমিক/প্রেমিকাকে দোষারোপ করবে, না পড়া বা সময় নষ্টের জন্য।
.
১০। মনের ভিতরে এই ধারণা কাজ করবে, যা হয় হোক। বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পেলে কি আর এমন হবে। যা ইচ্ছা হোক।আমি আমার মতই থাকব এরুপ ধারণা কাজ করবে।
.
১১। অনেকে মনে মনে কষ্ট পাবে - ইশ্ কেন যে ঠিকমত পড়লাম না।কেন সময় নষ্ট করলাম। কিন্তু এখন তো কিছুই করার নাই।
🔀🔀🔀🔀🔀🔀🔀🔀🔀🔀🔀🔀
এ তো গেল চান্স পাওয়া আর না পাওয়ার লক্ষণসমূহ।এবার আসি এই ১০ দিনে কি করে নিজেকে ঠিক জায়গা মত নিয়ে যাবে। যাকে বলে আমার নিজস্ব তৈরি এন্টিবায়োটিক।

নিচে লিখে দিচ্ছি।
🔽
রিভিশনঃ
____________
পুরাতন পড়াগুলো প্রচুর পরিমানে রিভিশন দিতে হবে। মানে আগের পড়াগুলো শুধু চোখ বুলিয়ে যেতে হবে।কঠিন টপিকস এ একটু বুঝে বুঝে পড়লেই হবে।বাকিগুলো জাস্ট চোখ বুলাতে হবে।
একাউন্টিং, কেমিস্ট্রি, পদার্থ বা গণিতের সূত্রগুলো দেখতে হবে।প্রতিটা সূত্রের জন্য একটা ম্যাথের উদাহরণ দেখতে হবে।
ইংরেজি গ্রামার বা বাংলা ব্যাকরণের রুলসেও তাই।একটি রুলস এর জন্য একটি উদাহরণ পড়তে হবে। ব্যাস।আর দরকার নাই। একটি রুলসের উপর একাধিক উদাহরন পড়ে সময় নষ্ট করার কোন প্রশ্নই আসেনা। এখন বার বার রিভিশনের কোন বিকল্প নাই।
সাঃজ্ঞান বিস্তারিত পড়ার সুযোগ এখন নাই। যা পড়বে সব এমসিকিউ। বা এক কথায় উত্তর টাইপ পড়তে হবে।আইসিটি ও তাই।

কেন বার বার পুরাতন পড়াগুলো রিভাইজ দিতে বলছি সেটা পরীক্ষার হলেই টের পাবে যখন দেখবে সহজ প্রশ্ন রিভাইজের অভাবে ছেড়ে আসতে বাধ্য হচ্ছো।কান্না আসবে তখন। আমি বিশ্বাস করি এবং বহুল পরীক্ষিত, কারো যদি ৭৫-৮৫% ভালভাবে প্রস্তুতি থাকে সে অবশ্যই চান্স পাবার মত যথেষ্ট প্রশ্ন কমন পাবে। কিন্তু ধরা খায় রিভিশনের অভাবে।কেননা, কম রিভিশনের ফলে জানা প্রশ্নের উত্তর দিতেই কনফিউজড হতে হয়। বিপত্তি টা বাধে তখনি। না পারে সঠিক উত্তর করতে, না পারে প্রশ্নটা ছেড়ে আসতে। উত্তর করলে ভুল হলেই নেগেটিভ মার্কিং হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আবার উত্তর না করলে নাম্বার কম পেতে হবে। উভয়সঙ্কটে পড়তে হয় তখন।সেই মুহূর্তের যে কষ্টটা হয় আসলে সেটা বর্ণনা করা সম্ভব না।
তাই বার বার বলছি, যদি প্রশ্নপত্র হাতে পাবার পর আফসোস না করতে চাও তাহলে এতোদিন যতটুকু আর যা ই পড়ো না কেন সেগুলো বেশি বেশি রিভিশন দাও। যত বেশি পারো রিভিশন দাও।মাথায় রাখার চেষ্টা করো।আমার এই কথাটা পরীক্ষার হলে মনে পড়বে ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। আর আমার কথা সত্যি হলে অবশ্যই এই গ্রুপে এসে পোস্ট দিয়ে বলবে যে, আরিফ ভাইয়া সেদিন ঠিক কথাটাই বলেছিল।

নতুন টপিক্স না পড়াঃ
_____________________
এই মুহূর্তে যতই গুরুত্বপূর্ণ মনে হোক না কেন নতুন কোন টপিক্স এ হাত ই দেয়া যাবেনা। তাহলে সময় নষ্ট হবে আর তালগোল পাকিয়ে যাবে। তবে সাঃজ্ঞান রিসেন্ট গুলো তো পড়তেই হবে। বাকি যে কোন সাবজেক্টর জন্য নতুন টপিক্স,রুলস বা সূত্র পড়ার দরকার নাই। নুতন কিছুতে হাত দেয়া মানে বাড়তি চাপ নেয়া,ধরা খাওয়া।

সময় নিয়ন্ত্রণঃ
_______________
প্রতিদিন বাসায় অন্ততপক্ষে ১২-১৪ ঘন্টা তো পড়তেই হবে। ১৬-১৮ ঘন্টা পড়তে পারলে তো কথাই নাই।মনে রাখতে হবে ভোরের পড়া সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। বিশেষ করে ভোর ৩ টা থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত পড়াগুলো সবচেয়ে বেশি মনে থাকে। দুপুরে বা বিকালে ১/২ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।তাহলে ব্রেইন ফ্রেশ হবে। তারপর সন্ধ্যা পর্যন্ত পড়া যাবে। তারপর ১ ঘন্টা বা ৩০ মিনিট রেস্ট নিয়ে রাত ১২ টা পর্যন্ত পড়ে ঘুমাতে হবে।তাপর রাত ৩/৪ টায় উঠে ৮/৯ টা পর্যন্ত পড়তে হবে।
রাত ১২-৩ টা পর্যন্ত অনেকে জেগে থেকে পড়ে। যদি আগে থেকেই পড়ার অভ্যাস থাকে তো সমস্যা নাই।কিন্তু নতুন করে এই অভ্যাস না করাই ভাল। কেননা, রাত ১২-৩ টা এই সময়ের পড়াগুলো বেশি মাথায় থাকেনা।
তবে সময়গুলো তোমার মত করে ম্যানেজ করে নিও।
সপ্তাহে অন্তত ১/২ টা মডেল টেস্ট দিয়ে নিজেকে যাচাই করতে পারো।ঘড়ি ধরে পরীক্ষা দিতে হবে নিজে নিজে।

Question Bank & Suggestion:
_______________________________
প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা পেতে প্রিভিয়াস প্রশ্ন পড়ার কোন বিকল্প নাই। এখান থেকে হুবহু বা অংশিক বা নিয়মের সাথে মিলিয়ে প্রায় ২০%-৩০% কমন থাকেই। সরাসরি প্রশ্ন না ও আসতে পারে। হয়তো একই নিয়মে অন্য উদাহরণ আসতে পারে। তাই প্রশ্নব্যাংক মুখস্থ থাকা চাই।
এবারে আসি সাজেশন বিষয়ে। এই মুহূর্তে কোন বইটা তুমি ডিটেইলস পড়তে পারবে? হ্যা, আমি জানি পড়তে পারবে কিন্তু এখন তো এতো ডিটেইলস পড়ার সময় না।পড়তে হবে হাইলাইটস অংশগুলো যেগুলো তোমার কালার পেন দিয়ে মেইন বই দাগানো আছে। অনেকের হয়তো হ্যান্ডনোট করা আছে। সেগুলোত চোখ বুলাও বার বার।দেখবে সব মনে চলে আসবে। সবার কিন্তু হ্যান্ডনোট করা থাকে না। সেক্ষেত্রে তোমরা বাজারে প্রচলিত ভাল সাজেশন বা হ্যান্ডনোট কিনে পড়তে পারো তোমার জন্য ভাল হবে।
আমার জানা মতে "Fire Touch" সাজেশন টা শেষ সময়ে তোমাদের খুব হেল্পফুল হবে।রাস্তায়, ট্রেনে,বাসে বা গাড়িতে আসার সময় বইটা পড়ে শেষ করতে পারবে। পাশাপাশি "দিগন্ত" বইটা রাখতে পারো।কেননা যখন পরীক্ষা দিতে আসবে তখন গাদা গাদা বই সাথে নিয়ে তো আসতে পারবেনা।তাই ছোট্ট একটা বইয়েই সব পেয়ে যাচ্ছো হাতের কাছেই। সুতরাং মন্দ তো না তাই না? গাদা গাদা বই তারাই সাথে নিয়ে আসবে যারা বেকুব।কাজের মত ২/৩ টা বই ই যথেষ্ট।
অনেকেই মনে মনে ভাবছো, ভাইয়ের মনে তাহলে এই ছিল? বড় ভাই তাহলে বইয়ের প্রচারণা করছে। ভাই আমি তাহলে সরি। তোমার যেটা ভাল লাগে পড়তে পারো।আমার তাতে সমস্যা নাই বা যায় আসেনা।তোমাদের ভালোর জন্য যা দরকার সেটাই বলেছি।এতে আমার কোন লাভ নাই। তুমি চাইলে পড়তে পারো না চাইলে পড়ো না। তুমি তো স্বাধীন। আর বই পড়লে অন্তত তোমার ক্ষতি তো হচ্ছে না তাই না?

ইংরেজি এবং MCQ:
_____________________
বলা হয়ে থাকে যে ইংরেজির উপরেই চান্স পাওয়া ৬০-৭০% নির্ভর করে। সুতরাং যারা আর্টসের ইউনিটে এক্সাম দিবে বা যাদের পরীক্ষায় ইংরেজি আসবে তারা অবশ্যই প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৭ ঘন্টা শুধু ইংরেজিতে ব্যয় করো। MCQ পড়ো।।
তারপরে এমসিকিউ ব্যাপারে।ছোট্ট একটা ঘটনা দিয়ে বুঝাই,যখন আমি এসএসসি দিয়েছিলাম তখন বাংলা ব্যাকরণে খুব দূর্বল ছিলাম।কোন নিয়ম জানতাম না। ভয়ে মূল বই পড়তাম না। কিন্তু টেস্ট পরীক্ষার পরে টেস্ট পোপারের শুধু বিভিন্ন স্কুল ও বোর্ডের এমসিকিউ পড়েই ৫০ এর মধ্যে ৪৮ নম্বর তুলেছিলাম।অথচ ব্যাকরনের কোন নিয়ম ই তখন জানতাম না। এতো নম্বর পাবার কারণ হলো আমি নিয়ম পড়িনি কিন্তু প্রচুর এমসিকিউ প্র্যাকটিস করেছিলাম বিধায় এতো কমন পেয়েছিলাম।
সেইজন্য তোমাদেরও বলছি,আগে কি নিয়ম পড়েছো কি না পড়েছো সেটা দেখার সময় নাই। জাস্ট যা পারো বেশি বেশি MCQ প্র্যাকটিস করো।খুব কাজে দিবে।

সহজ ও কঠিন পড়া কিভাবে পড়বেঃ
__________________________________
এই মুহূর্তে সহজ পড়াগুলো পড়ার কোন প্রয়োজন নাই। মানে হল যেগুলো মনে হবে যে আগামী ১৫ দিন না পড়লেও হবে এমন পড়া বা টপিক্সগুলো পড়ে অযথা সময় নষ্ট করার কোন মানেই হয়না। সুতরাং সহজগুলো সাইডে রাখো।
খাতায় লিস্ট করে করে সহজ আর কঠিন টপিক্স আলাদা করতে পারো। অথবা বইয়ের সূচিপত্র থেকে সহজ কঠিন বাছাই করে পড়তে পারো।
কঠিন পড়া বা টপিক্সগুলোতে বেশি সময় দাও।সহজ টপিক্সের সময়গুলো কঠিন পড়াতে কাজে লাগাও। এতে করে সময়ও বাচলো আর তুমিও এগিয়ে গেলে। সহজ টপিক্সগুলো বাসে,ট্রেনে বা গাড়িতে আসার সময় চোখ বুলিয়ে নিলেই হবে, ব্যাস। কাহিনী খতম!

ইন্টারনেট ও ফেসবুকঃ
______________________
বর্তমান যুগে ইন্টারনেট বা ফেসবুক তোমাদের খুব দরকারি জিনিস।
কিন্তু এই মুহূর্তে দয়া করে নেট বা ফেবু থেকে দূরে থাকো।
তবে হ্যা খুব প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ১-১.৩০ ঘন্টা সারাদিনে ব্যবহার করা যেতে পারে।
মনে রেখো, এই ইন্টারনেট আর ফেসবুকের বাজে নেশা লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীর জীবন শেষ করে দিয়েছে।
সুতরাং এটার সঠিক ব্যবহার করতে হবে। আপাতত কয়েকদিন শুধু প্রয়োজন মাফিক ব্যবহার করো। চান্স পাবার পরে সারা ক্যাম্পাসে ফ্রি ওয়াইফাই ব্যাবহার করতে পারবে। তখন সারাদিন রাত ব্যাবহার করো কেউ নিষেধ করবেনা।

আত্মবিশ্বাসঃ
_______________
জীবনে সফল হবার জন্য যেটা সবচেয়ে বেশি জরুরি তা হল আত্মবিশ্বাস।
সারাদিনরাত কঠিন পরিশ্রম করলে,পড়লে কিন্তু নিজের উপর কোনই ভরসা নাই তাহলে তুমি ব্যর্থ হবেই।
সুতরাং নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখো,সময় কাজে লাগাও এবং সঠিকপথে পরিশ্রম করো তাহলে তুমি সফল হবেই।আল্লাহ পরিশ্রমী কে বিনা পারিশ্রামিকে ফেরত দেয় না। কখনো অজুহাত খুজতে যেওনা। তোমার ব্যর্থতার জন্য হাজার টা অজুহাত তোমার কাছে থাকতে পারে কিন্তু সেসব অজুহাতের দাম পৃথিবীর কারো কাছে নাই।
নিজের উপর আত্মবিশ্বাস হও।তুমি পারবেই এই মনোবল রাখো।বড় বড় স্বপ্ন দেখ। তাহলে তুমি জয়ী হবে ইনশাআল্লাহ।
তবে ওভার কনফিডেন্স কিন্তু মোটেও ভাল না।ওভার কনফিডেন্স এর একটা দোষ হল, এর তলায় ফুটাে থাকে। আর সে ফুটাে দিয়ে সব বের হয়ে যায়। সুতরাং সাবধান।নিজের উপর কনফিডেন্ট থাকো কিন্তু ওভার কনফিডেন্ট না।
তুমি কঠোর পরিশ্রম করে, সময়কে কাজে লাগিয়ে ব্যর্থতা কে ব্যর্থ করে সফলতা ছিনিয়ে আনো।
.

🆒নিজেকে হতাশ লাগলে কি করবেঃ
____________________________
এই মুহূর্তে ভাল প্রস্তুতি থাকলেও হতাশ হওয়াটা খুব স্বাভাবিক।
যখনি বিষন্ন বা হতাশ লাগবে তখনি সাথে সাথে তুমি সবকিছু ছেড়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে শুয়ে পড়বে। চোখ বন্ধ করে ১০ মিনিট সময় নিয়ে ঠান্ডা মাথায় ভাববে।
🆘
কি কি ভাববেঃ →

১। কোন সাবজেক্ট এর কতটুকু শেষ হয়েছে।
২। প্রতিটা সাবজেক্টে কতটুকু পারি।কোন টপিক্সে দূর্বলতা আছে।
৪। মোটামুটি ৭৫%-৮৫% প্রতিটা সাবজেক্টে ভালভাবে পারো কি না হিসাব করবে।
৫। হিসাব করে যদি ৭০৫%-৮৫% ও তুমি পারো তাহলে ধরে নাও তুমি চান্স পাবে।
৬।যেহেতু চান্স পাবার যোগ্য হয়ে গেছো তাহলে সেগুলো মানে পড়াগুলো তো মাথায় ধরে রাখতে হবে তাই না? পরীক্ষা পর্যন্ত তো মনে রাখতে হবে তাই না?
সে জন্য কি করতে হবে? বার বার রিভাইজ দিতে হবে। ওকে?
৭। তুমি চান্স পেলে তোমার চারপাশ কেমন চেঞ্জ হবে,সবাই তোমাকে কেমন সম্মান করবে, তোমার প্রতি সবার দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হবে সেগুলো ভাবো কিছুক্ষণ। তারপর সে অনুযায়ী নিজেকে চাঙ্গা করে তুরো।হতাশাকে ঝাড়ু মেরে মন থেকে বিদায় করে দাও।তাপর বিষন্নতা বা হতাশা কে ঠেলে ফেলে দিয়ে একগ্লাস পানি খেয়ে আবার পড়া শুরু করবে। যুদ্ধের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করো।
রিফ্রেশ মাইন্ডে আবার পড়া শুরু করো।
🆙🆙🆙🆙🆙🆙🆙🆙🆙🆙🆙🆙
আগামী ১০ দিনেই তোমার ১০ বছরের ইতিহাস লেখা হয়ে যাবে।
সে ইতিহাস সুখের নাকি দুঃখের হবে সেটা নির্ভর করছে সম্পূর্ণ তোমার উপর।
১০ দিনের এন্টিবায়োটিক দিলাম।এখন এটার ব্যবহারের দায়িত্ব তোমার।
সবার জন্য শুভকামনা।
COLLECTED & COPIED

RUET Admission Help desk -ভর্তিযুদ্ধ

শেষ মুহুর্তে... (FAQ)
-bhaiya ki porbo??
বই পড়বা৷সুত্র গুলো বারবার দেখো। প্রতি টাইপ থেকে প্রেক্টিস করো।প্রিভিয়াস ইয়ারের প্রশ্ন সলভ করো। পদার্থ,গণিত একই রকম আসে৷ ম্যাথমেটিক্যাল প্রব্লেম। ভালো করে প্রাকটিস করতে থাকো। ক্যালকুলাস এর লিমিট,এরিয়া,লঘুমান,গুরুমান এগুলা থেকেই বেশি আসে৷
-chemistry??
রসায়ন বেসিক থেকেই করবে। জৈব যৌগ যারা স্কিপ করে আসছো তারা কিছুটা ডেঞ্জার জোনে। সক্রিয়ন শক্তি,নার্নস্ট,সংকরায়ন,সাম্যাবস্থা এসব মোস্ট ফেমাস টপিক থেকেই কোশ্চেন আসবে৷ এক কথায় কয়েকটা আসতে পারে৷ x বিক্রিয়ায় y দিলে কি হবে? z চূর্ণ দিলে কি হবে? এমন। এমন কোশ্চেন বেশি আসে না৷ ম্যাথ টাইপ ই বেশি। বিক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে দিবে কয়েকটা।
-bhaiya English kemon ashbe?
কোশ্চেন ব্যাংক দেখলেই বুঝবা একই প্যাটার্ন ফলো করা হয়৷ চিন্তার কিছু নেই৷ seen comprehension থাকে ১০ নাম্বারের মতো। ট্রান্সলেশন, ভয়েস,ট্যাগ এগুলাই। একদম বেসিক৷
-bhaiya koto pele tika jabe?
এক্সাম হবে ৩৫০ নাম্বারে। ধরো তুমি ৩৪০ পেলে 😍
কিন্তু বাকি ১২৩৫ জনের নাম্বার ৩৪১ এর উপর।(কথার কথা) তার মানে তুমি টিকবা না। কিন্তু হায়েস্ট ই যদি ৩০০ উঠে তাহলে তুমি পাও ২০০ আর এর মাঝে মার্ক্স আছে ১০০০ জনের। তার মানে ২০০ এর কম পেয়েও অনেকে টিকবে৷
মোট কথা এটা বলা যায় না। কোশ্চেন লেভেল কেমন,সবাই কেমন এক্সাম দিলো তার উপর ডিপেন্ড করে৷
তবে হ্যা যদি অনুমান করতে বলো সেটা কেবলই ব্যাক্তিগত অভিমত।
সেক্ষেতে আমি বলব ২৪০+ পেলেই চান্স হয়।
-Bhaiya partial marks ache?
হ্যা। যেখানেই রিটেন এক্সাম সেখানেই পার্শিয়াল মার্ক থাকে৷ তাই সেদিকে খেয়াল রেখো। ১ টা নাম্বার ও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর কিছু না পারলেও অই ম্যাথ রিলেটেড সূত্র লিখে আসবা। (যেগুলা সিউর আগে সেগুলা এন্সার করে যদি হাতে সময় থাকে)
-Bhaiya RUET e best Subject konta?
সাব্জেক্ট e^x. ডিফারেনশিয়েট বা ইন্ট্রিগ্রেটেড যাই করো সেইম ই থাকবে৷ তুমি এটা কিভাবে পড়তেসো,কেমন শিখতেসো,রেজাল্ট করতেসো তার উপর তোমার ভবিষ্যৎ।
এখানে যে সাব্জেক্ট গুলা পড়ানো হয় সব গুলারই ল্যাব ফ্যাসিলিটি ভালো, ডিমান্ড প্রচুর।
-Bhaiya CSE/EEE pete koto marks lagbe?
এটাও একটা আপেক্ষিক প্রশ্ন৷ অনেক প্রভাবক আছে৷ কখন এক্সাম হচ্ছে, এর আগে কোথায় এক্সাম হইসে,রেজাল্ট দিসে ইত্যাদি ইত্যাদি। এটাও বলা যায় না। তবে তুমি যদি টপ ১৮০ এর ভিতর থাকতে পারো তবে সিউরিটি দিতে পারি যেটা খুশি তাই নিয়ে পড়তে পারবে৷
*বিগত ৪-৫ বছরের পরিসংখ্যান মতে সবার আগে EEE শেষ হয়*
-Bhaiya result kobe dibe?
নির্ধারিত সময় পার হবে না। এর মধ্যেই পেয়ে যাবা।বেশিরভাগ সময় ৪-৫ দিনের মাথায়ই দিয়ে দেয়া হয়।
-Bhaiya ashbo kivabe? Thakar problem, ki korbo?
চিন্তার কিছু নেই। ব্যাবস্থা হয়ে যাবে৷
এটা নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট দেয়া হবে।
-Bhaiya kono experience share korben exam er?
হ্যা৷ এডমিট কার্ড টা ভালো মতো পড়ে নিও। যা যা বলা আছে ফলো করিও৷ গতবার hsc admit card ফটোকপি এর জন্য অনেকের ঝামেলা হইসিলো। সো বি কেয়ারফুল।
ভয়ের কিছু নেই। যা পারো তা যেন ভুল না হয়- তাহলেই দেখবা টিকে গেসো,আর পজিশনের জন্য একটু ইফোর্ট তো দিতেই হবে৷
দেবদারু ঘেরা ১৫২ একরের রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস তোমার পদচারনায় মুখরিত হবার অপেক্ষায়....
(আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্টে বলতে পারো)
Shibly Imam
EEE 17

শুক্রবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৮

মেকানিকাল- কি এবং কেন ??-পর্ব- 3

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কি ও কেন
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বা যন্ত্রকৌশল পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম ও বিস্তৃত ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্র। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংকে বলা হয় মাদার অফ ইঞ্জিনিয়ারিং। যন্ত্র প্রকৌশল প্রকৌশলের একটি বিষয় যাতে যান্ত্রিক ব্যবস্থাসমূহ রক্ষণাবেক্ষণ, নকশা, উৎপাদন এবং বিশ্লেষণের জন্য পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রগুলো ব্যবহার করা হয়। বলবিজ্ঞান, গতিবিজ্ঞান, তাপগতিবিজ্ঞান এবং শক্তি সম্বন্ধে একটি সুস্পষ্ট জ্ঞান এই প্রকৌশল অধ্যয়নের জন্য প্রয়োজনীয়। যন্ত্র প্রকৌশলীরা মোটরগাড়ি, বিমান, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, শিল্প কারখানার যন্ত্রপাতি নির্মাণ এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের যন্ত্রাদি নির্মাণে এই জ্ঞান ব্যবহার করেন।
image
design_remy.jpg
ছবি: কম্পিউটারে তৈরি একটি রোবটের ডিজাইন
13
ছবি: ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব


একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের কাজটা কী
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা ছোট পার্টস থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় মেশিন, যন্ত্রপাতি বা যানবাহন ডিজাইন ও সেই পণ্য উৎপাদনের পুরো পদ্ধতিকে অধিক কর্মক্ষম করার জন্য কাজ করে থাকেন। তারা একটা পণ্য তৈরির সকল পর্যায়ে (গবেষণা,নকশা, উতপাদন, ইনস্টলেশন এবং চূড়ান্ত চালু) কাজ করতে পারেন। তাদের কাজগুলো সাধারণত নিম্নরূপ:
  • আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও টেকশই সরঞ্জাম ডিজাইন ও তৈরি করা।
  • অন্যান্য শ্রেণীর ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে আলোচনা করে কোন প্রজেক্টের জন্য প্রয়োজনীয় দিকগুলো বাছাই করা।
  • তাত্বিক ডিজাইনের কার্যকারিতা জানার জন্য সিমুলেশন করা ও সেই অনুয়াযী ডিজাইনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা।
  • পণ্য সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য উৎপাদন বিভাগের লোকজন, সরবরাহকারী এবং গ্রাহকদের সঙ্গে আলোচনা করা।
  • প্রকৌশল ও অন্যান্য খাতের পেশাদারদের সঙ্গে কাজ করা।
  • যন্ত্রপাতির মেইনটেনেন্সের দায়িত্ব পালন করা।


simple_img_6
ছবি: মেকানিক্যাল ডিজাইনে ব্যস্ত একজন যন্ত্রপ্রকৌশলী
কোথায় চাকরি করবেন
বাংলাদেশে চাকুরীর ক্ষেত্রগুলো নিম্নরূপঃ
  • পাওয়ারপ্ল্যান্ট (সব ধরণের)
  • সিমেন্ট ইন্ড্রাস্টি
  • সার কারখানা
  • অটোমোবাইল
  • গ্যাসফিল্ড
  • জাহাজ নির্মাণ শিল্প
  • পেট্রোলিয়াম জাত পণ্য (লুব অয়েল, পেট্রোল, ডিজেল)
  • যেকোন ইন্ডাস্ট্রির ইউটিলিটি ও মেইন্টেনেন্স বিভাগে।
  • রেলওয়ে
  • বিমান
  • নবায়নযোগ্য শক্তি
  • জেনারেটর/ক্যাপটিভ পাওয়ার
বাইরের দেশে সুযোগ কেমন
২০০৯ সালের হিসাব মতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৬ লক্ষ প্রকৌশলী কর্মরত আছেন। তারমধ্যে প্রায় ২৩৯০০০ (১৫%) যন্ত্র প্রকৌশলী যা পুরকৌশলীদের(২৭৮০০০) পরদ্বিতীয় সর্ব বৃহৎ বিভাগ। ২০০৯ সালের পরিসংখ্যান মতে প্রতি দশকে ৬% হারে যন্ত্রপ্রকৌশলীদের কর্মসংস্থান বাড়ছে, যাতে প্রত্যেক স্নাতক ডিগ্রীধারী প্রকৌশলীদের প্রাথমিক বেতন হল প্রতি বছরে ৫৮,৮০০ মার্কিন ডলার । যন্ত্রপ্রকৌশলীদের গড় বেতন প্রতি বছরে ৭৪,০০০ মার্কিন ডলার, যা সর্বোচ্চ প্রতি বছরে ৮৬,০০০ মার্কিন ডলার এবং সর্বনিম্ম ৬৩,০০০ মার্কিন ডলার। জার্মানিতেও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। 
কোর্স পরিচিতি
একেক বিশ্ববিদ্যালয়ে একেকরকম সিলেবাস থাকলেও নিম্নোক্ত বিষয়গুলোই সাধারণত পড়ানো হয়।
উচ্চতর গবেষণা
কিভাবে যন্ত্র ও যান্ত্রিক কলাকৌশলসমুহকে মানুষের জন্য অধিক নিরাপদ, ব্যবহার উপযোগী, সুলভ মূল্য ও কার্যক্ষম করা যায় তার জন্য যন্ত্রপ্রকৌশলীরা প্রতিনিয়ত যন্ত্রকৌশলের সীমানা বর্ধিত করে যাচ্ছেন। সেসকল প্রযুক্তির কিছু তালিকা
কোথায় পড়া যাবে
দেশে কিন্তু গণহারে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয় না, পড়াও যায় না। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা নিম্নরূপঃ
  • বুয়েট (১৮০)
  • কুয়েট(১২০)
  • রুয়েট(১২০)
  • চুয়েট(১৩০)
  • IUT (মেকানিক্যাল + কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, MCE নামে পরিচিত) (৪৫)
  • AUST (৫০)
কেমন যোগ্যতা চাই
যন্ত্রকৌশল বিষয়ে চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হতে হলে একজন শিক্ষার্থীর অবশ্যই বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা থাকতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে যারা এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছে তারা এই বিভাগে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ভর্তির যোগ্যতা ও অন্যান্য নিয়ম ভিন্ন। তাই যার যে বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিস্তারিত তথ্যাবলী জেনে নিতে হবে।
যদি তুমি ফিজিক্স ভালোবাসো, যদি প্র্যাক্টিকাল ওয়ার্কে তোমার বেশি মজা লাগে, যদি মেকানিক্যাল রিলেটেড কোন সেক্টরে তোমার একটু হলেও ইন্টারেস্ট থাকে, তাহলে তোমার জন্য আমার পরামর্শ – মেকানিক্যাল পড়। তবে মেকানিক্যালে নিজেকে মানিয়ে নেয়া অনেক বড় একটা ফ্যাক্টর। যদি মন থেকে ইচ্ছা না করে, তাহলে প্লিজ মেকানিক্যালে এসো না, নিজেও বিপদে পড়বা, অন্যদেরও বিপদে ফেলবা। প্যাশন সব ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষ করে মেকানিক্যালের জন্য অনেক বড় একটা ফ্যাক্টর।
রেফারেন্স

শাবিপ্রবির এডমিশন রিলেটেড প্রিপারেশন

শাবিপ্রবির এডমিশন রিলেটেড সবচেয়ে বড় গ্রুপ সাস্ট এডমিশন কেয়ারের এডমিন হওয়াতে মাঝেই একটা কমন রিকুয়েস্ট আসে, সেটা হল ভাইয়া কিভাবে প্রিপারেশন নিব। যাই হোক, অবশেষে তোমাদের জন্য কিছু লেখার সময় বের করে আমি অনেক আনন্দিত। আমি আমার লিখায় চেষ্টা করব ৩ টা আলাদা আলাদা বিভাগের (সায়েন্স, আর্টস, কমার্স) শিক্ষার্থীদের জন্যই নোট টা তৈরি করতে। নোটটি ১০০% ফ্রী এবং পাবলিক তাই তোমরা ইচ্ছা মত শেয়ার বা বন্ধুদের মেনশন করতে পারো।
১. শুরুর আগে কিছু রোবটিক তথ্যঃ
১) শাবিপ্রবি বাংলাদেশের প্রথম ও সবচেয়ে বড় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
২) বাংলাদেশের পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার পদ্ধতি প্রথম এখানথেকেই শুরু হয়।
৩) শাবিপ্রবির হাত ধরেই আজ এসএমএস এর মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি শুরু হয়েছে।
৪) বাংলাদেশের প্রথম বাংলা সার্চ ইঞ্জিন পিপীলিকা শাবিপ্রবিরই একটি প্রজেক্ট।
৫) ন্যাশনাল & ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় শাবিপ্রবির সুনাম দীর্ঘদিনের।
৬) বাংলাদেশের প্রথম পুরো ক্যাম্পাসে হাইস্পিড ওয়াইফাই চালু করে এই শাবিপ্রবিই।
৭) শাবিপ্রবির হাতধরেই আইপিই, এফইটি, পিএমই র মত ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশে এসেছে।
৮) বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র ইউনিভার্সিটি যেখানে দুইটি বিষয়ে একসাথে অনার্স করতে পারবে। মেজর সাব্জেক্টের পাশাপাশি অন্য যে সাব্জেক্টে অনার্স করবে সেটাকে বলা হয় সেকেন্ড মেজর। পোষ্টের নিচের অংশে এ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
২. কেন পড়বে শাবিপ্রবিতে:
১) অনেককেই দেখেছি যাদের স্বপ্ন শুধুই শাবিপ্রবি। যদি তোমার স্বপ্নও শাবিপ্রবি হয়ে থাকে তাহলে তো আর অন্য কোন কারনই লাগে না।
২) যাদের ইঞ্জিনিরিং পড়ার সখ কিন্তু কোন কারনে এইচ এস সি তে রেজাল্ট খারাপ হয়ে গেছে আর তোমরা ভাবছো তোমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার স্বপ্ন শেষ, তাদের জন্য বড় একটা দরজা খোলা রেখেছে শাবিপ্রবি। এখানে এসএসসি আর এইচ এস সি মিলিয়ে ১০ এর মধ্যে মাত্র ৭ পয়েন্ট থাকলেই পরীক্ষা দিতে পারবে।
৩)শাবিপ্রবির ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট গুলো অনেক মানসম্মত এবং রিচ। তাই এডুকেশন কোয়ালিটি নিয়ে তোমাদের চিন্তার কোন কারন নেই। শাবিপ্রবির সিএসই, ইইই, আইপিই, সিইপি, সিইই, জিইবি সাবজেক্ট গুলো বাংলাদেশের যেকোন ইঞ্জিনিয়ারিং/পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবজেক্টগুলো থেকে খারাপ নয়। এছাড়া এখানে আইপিই, সিইই & সিইপি আই ই বি সার্টিফাইড সুতরাং চিন্তার কোন কারন নেই।
৪) এরকম সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ আমার মনেহয় খুব কম বিশ্ববিদ্যালয়েই আছে। এক কিলো, আসেপাশের টিলা, গাছপালায় ঘেরা সবুজ ক্যাম্পাস আশা করি তোমাদের মন জয় করবেই।
৩. ভর্তিযোগ্যতা:
ভর্তির জন্য মোট দুইটি ইউনিট A এবং B ইউনিট এ ভাগ করা হয়।
A ইউনিটে রয়েছে আর্টস এর সকল সাবজেক্ট সহ বিবিএ। এই ইউনিটে সায়েন্স আর্টস কমার্স সবাই এপ্লাই করতে পারবে।
B ইউনিটকে B1 & B2 তে ভাগ করা হয়। B1 ইঞ্জিনিয়ারিং সহ সকল সায়েন্সের সাবজেক্ট গুলোর জন্য। আর B2 শুধু আরকিটেকচারের জন্য (আলাদা করে ড্রয়িং এক্সাম দিতে হয়। বি১ এর এক্সামের পর আলাদা করে ড্রয়িং পরীক্ষা হয়)। তবে কেউ যদি B2 তে এপ্লাই করে তবে তাকে আর B1 এ এপ্লাই করতে হয় না। সে ক্ষেত্রে কেউ যদি ড্রয়িং এ খারাপ করে আর B1 এর পরীক্ষায় ভাল করে তবে সে B1 এর সাবজেক্ট গুলোতে ভর্তি হতে পারবে। এই ইউনিটে শুধু মাত্র সায়েন্স এর স্টুডেন্ট & ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করা স্টুডেন্টরাই এপ্লাই করতে পারবে।
৩.১ এ ইউনিটে ভর্তি যোগ্যতা:
যে বছরে ভর্তি পরীক্ষা দিবে অবশ্যই সে বছর বা তার আগের বছরে এইচ এস সি পাশ করতে হবে। যেমন তুমি যদি ২০১৮ সালে পরীক্ষা দাও তবে তোমাকে অবশ্যই ২০১৭/২০১৮ সালে এইচ এস সি পরীক্ষা দিতে হবে। এস এস সি & এইচ এস সি তে নুন্যতম ৩ সহ সব মিলিয়ে ১০ এর মধ্যে মিনিমাম ৬.৫ পেতে হবে। O লেভেলে কম্পক্ষে ৩ টি বিষয়ে B গ্রেড সহ ৫ টি বিষয়ে পাশ এবং A লেভেলে ২টি বিষয়ে B গ্রেড সহ ৩ টি বিষয়ে পাশ করতে হবে।
A ইউনিটের আসন সংখ্যা
৩.২ বি ইউনিটে ভর্তি যোগ্যতা:
*যে বছরে ভর্তি পরীক্ষা দিবে অবশ্যই সে বছর বা তার আগের বছরে এইচ এস সি পাশ করতে হবে। যেমন তুমি যদি ২০১৮ সালে পরীক্ষা দাও তবে তোমাকে অবশ্যই ২০১৭/২০১৮ সালে এইচ এস সি পরীক্ষা দিতে হবে। * এস এস সি & এইচ এস সি তে নুন্যতম ৩ সহ সব মিলিয়ে ১০ এর মধ্যে মিনিমাম ৭.৫ পেতে হবে। * O লেভেলে কম্পক্ষে ৩ টি বিষয়ে B গ্রেড সহ ৫ টি বিষয়ে পাশ এবং A লেভেলে ২টি বিষয়ে B গ্রেড সহ ৩ টি বিষয়ে পাশ করতে হবে।
B ইউনিটের আসন সংখ্যা
বিঃদ্রঃ বিশেষ বিশেষ সাবজেক্ট এর জন্য কিছু বিশেষ বিশেষ সাব্জেক্টের রিকোয়ারমেন্ট থাকে। যেমন কেউ যদি এইচ এস সিতে ফিজিক্স আর ম্যাথে ৩.৫ এর নিচে পায় তবে সে ভর্তি পরীক্ষায় যতই ভাল করুক ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি হতে পারবে না। নিচের ইমেজ টা দেখলে ক্লিয়ার হয়ে যাবা আশা করি।
নির্দিষ্ট বিভাগে ভর্তি যোগ্যতা
৪. পরীক্ষা পদ্ধতি এবং মান বন্টনঃ
জিপিএ স্কোর এবং ভর্তি পরীক্ষার নাম্বার মিলিয়ে মোট ১০০ মার্ক্স থাকবে। যার মধ্যে জিপিএ স্কোর থাকবে ৩০। এবং ভর্তি পরীক্ষায় ৭০ মার্ক্স থাকবে। ৩০ মার্ক্স হিসেব করা হবে তোমার এস এসসি এবং এইচ এস সি পরীক্ষার জিপিএ থেকে। যারা চলতি বছরেই এইচ এস সি এক্সাম দিয়েছো(ফার্স্ট টাইমার) তাদের জন্য তোমার মোট জিপিএ (SSC+HSC) কে গুন করা হবে ৩ দিয়ে। আর যারা আগের বছর এক্সাম দিয়েছো তাদের মোট জিপিএ (SSC+HSC) কে গুন করা হবে ২.৭ দিয়ে। আর যারা ডিপ্লোমা করে আসবা তাদের এসএসসির সাথে ডিপ্লোমাতে প্রাপ্ত সিজিপিএ যোগ হবে। এক্ষেত্রে সিজিপিএ ৫ এ কনভার্ট করা হবে,এবং এর পর SSC এর সাথে যোগ হবে। যেমনঃ মনে করো,
এসএসসিতে জিপিএ- ৪.৫
এইচ এসসিতে জিপিএ- ৪.৯
তাহলে তুমি যদি রেগুলার ছাত্র হয়ে থাকো (ফার্স্ট টাইমার) তবে তোমার স্কোর হবে,
(৪.৫*৪.৯)= ২৮.২ আউট অফ ৩০
আর যদি আগের বছরে এইচ এস সি পরীক্ষা দিয়ে থাকো( সেকেন্ড টাইমার) তবে তোমার জিপিএ স্কোর হবে, (৪.৫*৪.৯)= ২৫.৩৮ আউট অফ ৩০
বিঃদ্রঃ অনেকেই কনফিউজড হয়ে যায় সেকেন্ড টাইমার এর ডেফিনেশন নিয়ে। মনে রাখবে সেকেন্ড টাইমার তারাই যারা চলতি বছরের আগের বছর এইচ এস সি পরীক্ষা দিয়েছে। অর্থাৎ তুমি যদি ২০১৭ তে এইচ এস সি পরীক্ষা দিয়ে থাকো আর ২০১৮ তে সাস্টে এডমিশন দিতে আসো তবে তুমি সেকেন্ড টাইমার। এক্ষেত্রে তুমি আগের বছর ভর্তি পরীক্ষা যদি নাও দিয়ে থাকো তবুও তুমি সেকেন্ড টাইমার।
বাকি ৭০ মার্ক্সের বন্টন বিভিন্ন ইউনিটের জন্য ভিন্ন ভিন্ন। প্রতিটি পরীক্ষায় ৭০ টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি ঠিক উত্তরের জন্য ১ মার্ক্স পাওয়া যাবে। এবং ভুল উত্তরের জন্য ০.২০ মার্ক্স কাটা যাবে।
৪.১ A ইউনিটঃ
এপ্লাই করতে পারবে সায়েন্স, আর্টস, কমার্স সকলেই। সকল বিভাগের জন্য পরীক্ষার মান বন্টন দেয়া হল।
সায়েন্সঃইংরেজী- ২০বাংলা- ১০পদার্থ বিজ্ঞান- ১০রসায়ন- ১০গণিত/জীববিজ্ঞান- ১০ সাধারণ জ্ঞান- ১০
মোটঃ ৭০
আর্টসঃ ইংরেজী- ২০বাংলা- ১০অর্থনীতি,পৌরনীতি,যুক্তিবিদ্যা,সমাজবিজ্ঞান,সমাজকল্যান, ইতিহাস এবং ইসলামের ইতিহাস, সাধারণ জ্ঞান - ৩০মাধ্যমিক পর্যায়ের গণিত ১০
মোটঃ ৭০
কমার্সঃইংরেজী- ২০বাংলা- ১০হিসাব বিজ্ঞান,ব্যাবসায়নীতি ও প্রয়োগ, সাধারণ জ্ঞান ৩০মাধ্যমিক পর্যায়ের গণিত ১০
মোটঃ ৭০
৪.২ B ইউনিট:
ইংরেজী- ১০পদার্থবিজ্ঞান- ২০রসায়ন- ২০গণিত- ২০
মোটঃ ৭০
বিঃদ্রঃ যারা বি ২ ( আর্কিটেকচার) তে এক্সাম দিবা তাদের জন্য আলাদা করে ১ ঘন্টা ড্রয়িং এবং এই ব্যাপারে সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষা দিতে হবে। মার্ক্স থাকবে ৩০. যারা ডিপ্লোমা করে সাস্টে পরীক্ষা দিবা তাদেরও এই সাব্জেক্ট গুলোতেই ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে।
নির্দিষ্ট কিছু বিভাগে ভর্তির জন্য আলাদা কিছু রিকোয়ারমেন্ট লাগে। নিচের ছবি দেখলে আশা করি ক্লিয়ার হয়ে যাবা।
ইংরেজী, ইকোনোমিকস ও আর্কিটেকচারে ভর্তির জন্য স্পেশাল রিকোয়ারমেন্ট
৫. বাছাই প্রক্রিয়াঃ
A এবং B ইউনিটের জন্য আলাদা ভাবে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে। মেরিট লিস্টে থাকার নুন্যতম যোগ্যতা ১০০(জিপিএ স্কোর+এক্সামে প্রাপ্ত নম্বর) তে মোট ৪০ মার্ক্স পাওয়া।এর মানে এই নয় যে ৪০ পেলেই তোমার চান্স হবে। এটাকে বলতে পারো পাশ মার্ক্স ৪০। কেউ যদি এর নিচে মার্ক্স পায় তবে সে কোন ভাবেই ভর্তি হতে পারবে না (কোটা ধারীদের জন্যও এই শর্ত প্রযোজ্য)।
৬. প্রস্তুতিঃ
৬.১ বি ১ ইউনিটঃ
এটাই মুল পর্ব । মুলত এজন্যই নোটটা লিখছি। যারা এডমিশন দিবা তাদের আমি মুলত দুই ভাগে ভাগ করেছি।
ফার্স্ট টাইমার (যাদের হাতে ৩-৪ মাস সময় আছে)সেকেন্ড টাইমার (যাদের হাতে ১ বছর সময় আছে)
৬.১.১ ফার্স্ট টাইমারঃ
১) আসলে তোমরা অনেক বড় হয়েছো তোমরাই খুব ভাল করেই জানো কিভাবে পড়া উচিৎ। তবুও সামান্য গাইড লাইন দেয়ার জন্য বলছি, তোমাদের এখন টেক্সট বুক পড়ার সময় আর নেই। এখন সময় বিগত বছর গুলোতে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি+ইঞ্জিনিয়ারিং এ যে সকল প্রশ্ন এসেছে সব খুব মনোযোগ সহকারে সলভ করা। মনে রাখবে এটাতে তুমি হয়ত ডাইরেক্ট কোন প্রশ্ন কমন পাবেনা তবে তোমার বেজ অনেকটা শক্ত হবে। বুঝতে পারবা তোমাদের দুর্বলতা গুলো। কোন ইউনিভার্সিটির প্রশ্ন পড়া শেষ হলে সাথে সাথে পুনরায় আরেকবার সেই প্রশ্ন গুলো রিভিশন দিবা। তাহলে বুঝবা কোন প্রশ্ন গুলো পড়া সত্বেও বার বার ভুল করছো।
২) এখন নতুন করে কিছু পড়ার দরকার নেই। মনে রাখবে ৫০% মার্ক্স পেলেই তুমি খুব ভাল সাব্জেক্টে চান্স পেয়ে যাবা এখানে। তাই যা জানো তাই যদি ১০০% ঠিক করে আসতে পারো তবে খুবই ভাল করতে পারবা এক্সামে।
৩) ফিজিক্সে সাস্টে সাধারনত ম্যাথমেটিক্যাল টার্ম বেশী থাকে তাই প্রতিটা অধ্যায় সম্পর্কে ভাল ধারনা রাখবে। মনে রাখবে তোমার যে ম্যাথ গুলো কঠিন লাগে সেই টপিক থেকেই প্রশ্ন হবে। তাই যদি পারো এরকম টপিক কিছু দেখে যাবা। আর থিউরি যেগুলো আসে সেগুলো ব্যাসিক লেভেলের প্রশ্ন হয়। তাই ছোট ছোট পয়েন্ট গুলাও ছেড়ে যাবা না।
৪)সাস্টের ম্যাথমেটিক্স কি আসে সেটা তো সবাই এতদিনে জেনেই গেছো সবাই। আমি নিজেই ম্যাথে খুব বাজে ছিলাম বাট যেহেতু ব্যাসিক লেভেলের প্রশ্ন হয় ম্যাথে সেজন্য অনেকখানি এডভান্টেজ পেয়েছিলাম এক্সামে আর সবচেয়ে ভাল হয় এই ম্যাথ অংশটাই। যারা এখনো ম্যাথ নিয়ে হতাস তাদের হতাশার কিছুনেই। দেখবা অটোম্যাটিক ম্যাথমেটিশিয়ান হয়ে যাবা সবাই এক্সাম হলে (নিজ অভিজ্ঞতা থেকে বলছি)। অনেক ম্যাথ দেখবা ক্যালকুলেটর এ সলভ করা যায় চেষ্টা করবা এগুলা যাতে কোনভাবেই ভুল না হয়। এক্সাম হলে মিনিমাম ২ টা ক্যালকুলেটর নিয়ে যাবা। ইন্টিগ্রেশন সলভ করতে বেশী সময় লাগে ক্যালকুলেটর এ তাই একটা ক্যালকুলেটর বিজি থাকলে আরেকটা দিয়ে কাজ করবা।
৬) ক্যামেস্ট্রি পার্ট খুব একটা কঠিন হয়না। তবুও অন্যান্য ইউনিভার্সিটির প্রশ্ন থেকে বেশ কঠিন হয়। সময় নিয়ে পড়বা। ম্যাথমেটিক্যাল টার্ম গুলো ভাল করে সলভ করবা। গ্রুত্ত্বপুর্ন নামীয় যে বিক্রিয়া গুলো আছে সেগুলো কিভাবে ঘটে কেন ঘটে সেটা ভাল করে শিখে নিবা। বই বা গাইড থেকে অনেক টেকনিক পাবে যেগুলো এপ্লাই করলে অনেক অল্প পড়েই অনেক কিছু মনে রাখতে পারবে। এগুলো যত পারো শিখে নিবা। আর হ্যা সাস্টে যে ক্যামেস্ট্রিতে ভাল করে তার চান্স হয় নিশ্চিত। তাই এখানে ভাল করা জরুরী অনেক।
৫) ইংলিশ নিয়ে কেউই কথা বলে না। আমিও খুব বেশী বলবো না কারন ইংলিশে সবাই এভারেজ( ৫-৬) মার্ক্স পায়। তবে যদি ইংলিশে একটু ভাল করতে পারো তবে চান্স পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে যেতে পারবে। সো ইংলিশের এন্সার যদি ছেড়ে আসো তবে চান্স পাওয়া টাফ হবে।
৬.১.২ সেকেন্ড টাইমারঃ
১) তোমাদের সামনে অনেক সময়। কিন্তু এটা ভেবে পড়াশোনা ছেড়ে বসে থাকলে বিশ্বাস করো নেক্সট টাইমেও তোমার কোথাও চান্স হবে না। এজন্য প্রতিদিন এটলিস্ট ২-৩ ঘন্টা তোমাকে অবশ্যই পড়তে হবে। খেয়াল করো আমি এখানে প্রতিদিন কথাটি বোল্ড করে দিয়েছি। এর মানে অবশ্যই তোমাকে প্রতিদিন পড়তে হবে। একদিন ৬ ঘন্টা পড়ে পরের দিন আর পড়বানা এমন করলে চান্স পাওয়ার সুযোগ কমে যাবে। আর হ্যা ঠিক মত ২-৩ ঘন্টা পড়াই যথেষ্ট। অনেককেই দেখেছি অনেক পড়াশোনা করেও এডমিশনে ভাল করে না। এর মুল কারন সে নিজের সময়কে এফিসিয়েন্টলি ইউজ করতে পারে না। তাই আমার ফিলোসোফি হল অমনোযোগী হয়ে ১০-১২ ঘন্টা পড়ার চেয়ে মনযোগী হয়ে ২ ঘন্টা পড়া বেটার।
২) সেকেন্ড টাইমারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী যে প্রব্লেম টা হয় সেটা হল তাদের কনফিডেন্ট লেভেল একেবারেই কমে যায়। এর অনেক কারন আছে, যেমন বাসা থেকে সব সময় চান্স না পাওয়ার জন্য বকাঝকা করা, বন্ধুদের ভাল কোথাও চান্স হয়েগেছে দেখে হতাশা, কোচিং/প্রাইভেটে মার্ক্স কম পাওয়া ইত্যাদি। এ জন্য আমার সাজেশন হল তুমি তোমার ফোকাস শুধু এক যায়গায় সিমাবদ্ধ করে ফেল। সেটা হল তোমার ইমপ্রুভমেন্ট। প্রত্যেকদিন প্রতিটা ওয়ার্ড পড়ার সাথে সাথে তোমার স্বপ্নের দিকে এগিয়ে চলেছো সেটা বিশ্বাস রাখো। নিজের সাথেই নিজে কম্পিটিশনে লেগে যাও। প্রতিদিন ঘুমের আগে আয়নার সামনে গিয়ে বলো আজকের তুমি কালকের তোমার চেয়ে বেটার। কনফিডেন্ট ফিরে আসবে।
৩) পড়াশোনার ব্যাপারে বললে বলবো তুমি সেকেন্ড টাইমার তোমাকে অবশ্যই ফার্স্ট টাইমারদের চেয়ে বেশী জানতে হবে । কারন তোমার সামনে সুযোগ একটায়। মিস হয়ে গেলে তুমি পিছিয়ে যাবা। তাই সিলেবাসের কোন কিছুই বাদ দিয়ে যাবানা। প্রতিদিন এটলিস্ট ১ টা সালের প্রশ্ন সলভ করবা( যেকোন ইউনিভার্সিটির)। সলভ করা মানে কিন্তু এন্সার মুখস্থ করা না। সলভ করা মানে ব্যাপারটা সম্পর্কে তোমার আইডিয়া ক্লিয়ার থাকা। মনে রাখবে সাস্টে কোন প্রশ্ন রিপিট হয় না। তাই মুখস্থ করে এখানে চান্স পাওয়া অসম্ভব।
৪) টার্গেট রাখবে ফার্স্ট টাইমাদের এইচ এস সি পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই তোমার সিলেবাস যাতে শেষ হয়ে যায়। এতে করে তুমি অনেকটায় এগিয়ে থাকবে তাদের তুলনায়। আর যদি কোথাও কোচিং/প্রাইভেট পড়ে থাকো তবে সেখানে নিয়মিত হবে। আর হ্যা অবশ্যই কোন পরীক্ষা মিস করা যাবে না। সব পরীক্ষায় শু্ন্য পাইলেও মিস দিবানা। যত বেশী পরীক্ষা দিবে ততবেশী তোমার ব্যাসিক স্ট্রং হবে। বাসায় এসে প্রতিটা পরীক্ষার প্রশ্ন আবার সলভ করবে।
৫) বিষয় ভিত্তিক সাজেশনের জন্য “৬.১.১ ফার্স্ট টাইমার” প্যারার ৩,৪,৫ গুলো পড়ে নাও।
৬.১.৩ সবার জন্যই কিছু কমন সাজেশনঃ
প্রত্যেকটা ইউনিভার্সিটির বিগত সালের সকল প্রশ্ন গুলো ভাল করে সলভ করে নাও।
এক্সামে মোট ৩ ধরনের প্রশ্ন হয়।
এধরনের প্রশ্ন সবাই পারে। এই প্রশ্ন ঠিক করার মধ্যে সেরকম কোন সার্থকতা নেই। তবে ভুল করলে চান্স পাবার চান্স অনেক কমে যায়। সাস্টে এরকম প্রশ্ন খুব কম হয়। এই ধরনের প্রশ্ন সবাই পারে না। আসলে এই প্রশ্ন গুলোই তোমার চান্স ভ্যারি করে। যে এ প্রশ্ন গুলোর সঠিক সঠিক উত্তর দিতে পারে তাদের ভার্সিটিতে চান্স হয়ে যায়। সাস্টে এধরনের প্রশ্নই বেশী থাকে। এধরনের প্রশ্ন খুব কম সংখক স্টুডেন্ট রাই সলভ করতে পারে। এই প্রশ্ন গুলো সলভ করতে শুধু বইগুলোতে ভাল দক্ষতা থাকলেই চলবেনা থাকতে হয় কিছু জিনিয়াসিটি। এ প্রশ্ন গুলো তারাই সলভ করতে পারে যাদের নাম এডমিশনে টপ লিস্টে থাকে। সাস্টে এধরনের প্রশ্নও খুব বেশী দেখা যায় না।
বুঝতেই পারছো যদি মাথা ঠান্ডা রেখে সহজ সহজ প্রশ্ন গুলো সলভ করতে পারো তবেই চান্স নিশ্চিত। একবার ভেবে দেখো যাস্ট চান্স পেতে এক্সামে তোমাকে ৩৫ পেতে হবে। আর সময় পাচ্ছো ৯০ মিনিট। মানে একটা প্রশ্ন সলভ করার জন্য সময় পাবা প্রায় ১৫৫ সেকেন্ড। এর মধ্যে ১ম টাইপের প্রশ্ন গুলো সলভ করতে টাইম এতটা লাগবে না।মানে যদি শুধু চান্স পেতে চাও তবে একটা প্রশ্ন সলভ করতে সময় পাবা প্রায় ৩ মিনিট। একবার ভেবে দেখো মাত্র ৯০ মিনিটে যদি তুমি তোমার সেরাটা দিতে পারো তবে চান্স পাওয়া খুব কঠিন নয়।
৭. কিছু কমন প্রশ্নের উত্তরঃ
প্রশ্ন ১ঃ ভাইয়া আমার এসএসসি তে জিপিএ এত, এইচ এস সি তে এত আমি কি সাস্টে এক্সাম দিতে পারবো??
উত্তরঃ
এ ইউনিটে ভর্তি যোগ্যতা:
যে বছরে ভর্তি পরীক্ষা দিবে অবশ্যই সে বছর বা তার আগের বছরে এইচ এস সি পাশ করতে হবে। যেমন তুমি যদি ২০১৮ সালে পরীক্ষা দাও তবে তোমাকে অবশ্যই ২০১৭/২০১৮ সালে এইচ এস সি পরীক্ষা দিতে হবে। এস এস সি & এইচ এস সি তে নুন্যতম ৩ সহ সব মিলিয়ে ১০ এর মধ্যে মিনিমাম ৬.৫ পেতে হবে। O লেভেলে কম্পক্ষে ৩ টি বিষয়ে B গ্রেড সহ ৫ টি বিষয়ে পাশ এবং A লেভেলে ২টি বিষয়ে B গ্রেড সহ ৩ টি বিষয়ে পাশ করতে হবে।
বি ইউনিটে ভর্তি যোগ্যতা:
*যে বছরে ভর্তি পরীক্ষা দিবে অবশ্যই সে বছর বা তার আগের বছরে এইচ এস সি পাশ করতে হবে। যেমন তুমি যদি ২০১৮ সালে পরীক্ষা দাও তবে তোমাকে অবশ্যই ২০১৭/২০১৮ সালে এইচ এস সি পরীক্ষা দিতে হবে। * এস এস সি & এইচ এস সি তে নুন্যতম ৩ সহ সব মিলিয়ে ১০ এর মধ্যে মিনিমাম ৭.৫ পেতে হবে। * O লেভেলে কম্পক্ষে ৩ টি বিষয়ে B গ্রেড সহ ৫ টি বিষয়ে পাশ এবং A লেভেলে ২টি বিষয়ে B গ্রেড সহ ৩ টি বিষয়ে পাশ করতে হবে।
প্রশ্ন ২ঃ ভাইয়া আমার জিপিএ এত আমার জিপিএ স্কোরে ৩০ কত থাকবে??
উত্তরঃ
যারা ফার্স্টটাইম এডমিশন,
(তোমার এস এস সি জিপিএ + তোমার এইচ এস সি জিপিএ)* ৩
যারা সেকেন্ড টাইম দিচ্ছ তাদের,
(তোমার এস এস সি জিপিএ + তোমার এইচ এস সি জিপিএ)*২.৭
রেজাল্ট যেটা আসে সেটাই তোমার জিপিএ স্কোর (গত বছরের নোটিশ অনুযায়ী)
প্রশ্ন ৩ঃ ভাইয়া সাস্টে কত পেলে অমুক সাব্জেক্ট / চান্স পাবো??
উত্তরঃ
১০০ তে ৯৯ পেলেও যে তোমার চান্স হবে এমন কোন গ্যারান্টি নেই । কারন বাকি সবাই যদি ১০০ ই পায় তবে?? তাই কত পেলে চান্স হবে তা বলা সম্ভব নয়। তবে সাধারনত সাস্টের প্রশ্ন ব্যাসিক লেভেলের হয় তায় মুটামুটি ৪৫-৫০% মার্ক্স তুলতে পারলে (শুধু এক্সামে) চান্স হবে এটা বলা যায় । তবে ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে কিছুই বলা যায় না।
প্রশ্ন ৪ঃ ভাইয়া আমি অমুক কোচিং এ ক্লাস করছি, এখন জিপিএ খারাপ তাই সাস্ট টার্গেট । এত কম সময়ে প্রিপারেশন নেয়া সম্ভব?
উত্তরঃ
ব্যাসিক ঠিক থাকলে মাত্র ১৫-২০ দিনেও ফুল প্রিপেয়ার্ড হতে পারো। কিন্তু শুধু সাস্টে এক্সাম দিবা তাই শুধু এটার প্রিপারেশন নেয়া বোকামী। সকল ভার্সিটির জন্য প্রিপারেশন নাও তবে পছন্দের তালিকায় সাস্টকে কোথায় যায়গা দিবা সেটা তোমার ব্যাপার।
প্রশ্ন ৫ঃ ভাইয়া বাজারে কোন গাইড সাস্টের জন্য ভাল?
উত্তরঃ
বাজারের সব গাইডই ভাল। যদি ভাল করে প্রিপারেশন নিতে পারো তবে যেকোনটি পড়েই ভাল করা যায়। তবে তোমার যেটা ভাল লাগবে সেটাই পড়বা। অন্য কারো কাছে সাজেশন না নিয়ে নিজে যাচায় করে গাইড নিবা।আর সাস্ট এডমিশনের জন্য বেস্ট বই হল টেক্সটবুক। কারন সাস্টের প্রশ্ন কেমন হয় তোমরা অলরেডি দেখে ফেলেছো। খেয়াল করে দেখবে ৯৫% প্রশ্নই সাস্টে রিপিট হয় না। কিছু কিছু প্রশ্ন রিপিট হলেও খুব রেয়ার। তাই কোন বই কেনার আগে মাথায় রাখবে যে বই কিনছো সেই বই থেকে কোন প্রশ্নই হয়ত কমন আসবে না। তাই কোন বইয়ে যদি দেখো "১০০% কমন এর নিশ্চয়তা " তাহলে আমার মতে পাস কেটে চলে আসাই বেটার।
প্রশ্ন ৬ঃ ভাইয়া সাস্টে কোন সাব্জেক্ট ভাল? কোনটায় ভর্তি হলে ভাল হবে?
উত্তরঃ
৩ টা কথায় মাথায় রেখে সাবজেক্ট চয়েজ করতে হয়।
১) প্যাশন ২) ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ৩) জব সেক্টর
প্রথমে যদি প্যাশনের কথা বলি তবে এটা সম্পুর্ন তোমার নিজের ব্যাপার। কারো প্যাশন হতে পারে সিএসই কারো ইইই কারো মেকানিকাল কারো আইপিই কারো ফিজিক্স কারো জিইবি। মনে রাখিবে প্যাশন মানে তুমি সাবজেক্ট টাকে ভালবাসো। আর যে সাবজেক্টকে ভালবাসলে সফলতা ১০০%
২য়, তোমার পরিকল্পনা... যেমন ধরো যদি গবেষণা ভাল লাগে তবে বায়োলজিরিলেটেড সাবজেক্টের বিকল্প নেই।এক্ষেত্রে জিইবি আর বি এমবি অসাধারণ। মনে করো তোমার অনেক পড়াশোনা করার ইচ্ছে,বাইরে গিয়ে গবেষনার ইচ্ছে তবে সে কথা চিন্তা করে ফিল্ড গুলো দেখে তোমার চয়েজ করতে হবে।
লাস্ট যে ব্যাপার সেটা হল জব সেক্টর.... আমরা অধিকাংশই পড়াশোনা করি লাইফে ভাল কোন চাকরী করার জন্য বা উদোক্তা হবার জন্য। সে ক্ষেত্রে ভাল চয়েজ হয় ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট গুলো.... আইপিই, কেমিক্যাল, সিলিভ এগুলো ডিপার্টমেন্ট গুলোতে দেখা যায় তোমার জব খুঁজতে হয়না জব তোমাকে খুঁজে নেয়। অনেকেই পুরোপুরি অনার্স শেষ করার আগেই দেখা যায় জব পেয়ে গেছে। ২-৩ বছর চাকরী করে ফাঁকেফাঁকে এসে অনার্স কম্পলিট করছে।
লাইফ তোমার আর ডিজিশনও তোমার...কোন রাস্তায় যাবে সেটাও ডিজিশন তুমিই নিবা। তবে একটা কথা মাথায় রাখবা যে সাবজেক্টেই ভর্তি হও না কেন ভাল করলে তোমার দাম তুমি পাবেই। সুতরাং যেটা করবে চিন্তা করেই করবে, সবার সাথে আলোচনা করেই করবে।
প্রশ্ন ৭ঃ কি করলে সাস্টে চান্স পাওয়া যাবে??
উত্তরঃ
সাস্টের বিগত বছরগুলোর প্রশ্ন সলভ করবা( বুঝে বুঝে শিখে শিখে)।মনে রাখবে তুমি শিখছো মানে তুমি পড়ছোনা, তুমি শিখছো।এতে তোমার ব্যাসিক তৈরি হয়ে যাবে। তোমার ব্যাসিক ভাল মানে তুমি সাস্টিয়ান হতে চলেছো।
প্রশ্ন ৮ঃ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের কি বিষয়ে এক্সাম দিতে হবে?
উত্তরঃ
বি ইউনিটের জন্য অবশ্যই ফিজিক্স,ক্যামেস্ট্রি, ম্যাথ আর ইংলিশ। ডিপ্লোমাদের একই প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে হয়।
প্রশ্ন ৯ঃ মেরিট পজিশন একই!! কিভাবে সম্ভব??
উত্তরঃ
শাবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষায় একই মার্ক্স পেলে তাদের মেরিট পজিশন সেম আসে। মনে করো তুমি সহ মোট ২০ জন ১০০ তে ৬৫ পেয়ে ১৭০ তম হয়েছো। এখন এক্ষেত্রে অন্যান্য ইউনিভার্সিটি র‍্যান্ডমলি তোমাদের একটা পজিশন দিয়ে দেয়। অর্থাৎ ৬৫ পেয়ে এক জনের পজিশন ১৭০ আরেকজনের পজিশন ১৯০। ফলে অনেক সময় তুমি তোমার স্বপ্নের সাবজেক্ট এ পড়াশোনা করার সুযোগ হারিয়ে ফেলো। ব্যাপার টা যেমন অমানবিক ঠিক তেমনি অযৌক্তিক। তোমাদের যাতে এধরনের প্রব্লেম এ পড়তে না হয় তাই সাস্ট তোমার সাথে এরকম কোন অবিচার না করে তোমাদের ২০ জন কেই একই পজিশন দেয়। অর্থাৎ ২০ জনই তোমরা ১৭০ পজিশন এ।
এখন প্রশ্ন হতে পারে তাইলে কাকে সাবজেক্ট দেয়া হবে আগে?? উত্তর সোজা সবাইকে। মনে করো ১৭০ এ এসে দেখা গেল সিএসই তে সাবজেক্ট আছে আর মাত্র ২ টা বাট তোমাদের ক্যান্ডিডেট ২০ জনই সিএসই নিতে চাও তখন সাস্ট তোমাদের ২০ জন কেই সিএসই তে ভর্তি করে নেয়। অর্থাৎ তোমাদের সাথে কোন অবিচার করা হয় না। এতে সিএসইতে এক্সট্রা ১৮ জন বেশী এডমিট করানো হবে।
আরেকটি প্রশ্ন হতে পারে যদি ১৭০ তম ২০ জন হয় তবে পরবর্তী জন কত তম হবে?? ১৭১ নাকি ১৯১? উত্তর হল ১৯১ তম। অর্থাৎ মাঝখানের ১৭১-১৯০ পর্যন্ত এই পজিশন গুলো ফাঁকা থাকবে।
আশা করি ব্যাপারটা ক্লিয়ার হয়েছো।
প্রশ্ন ১০ঃ সেকেন্ড মেজর কি ? কিভাবে সেকেন্ড মেজর পড়তে হয়?
উত্তরঃ
বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একমাত্র শাবিপ্রবিতে সেকেন্ড মেজরের ব্যবস্থার প্রচলন আছে।সাধারনত ভর্তির ১ বছর পর সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সেকেন্ড মেজর অফার করা হয়। ৪ বছর পরে ১ম মেজরের জন্য একটা সার্টিফিকেট আর সেকেন্ড মেজরের জন্য আর একটা সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।সাধারনত CSE, EEE এবং Physics ডিপার্টমেন্ট হতে সেকেন্ড মেজর অফার করা হয়। একটা লিখিত পরীক্ষা+ভাইভা হওয়ার পরে সেকেন্ড মেজর এলোট করা হবে। সাধারনত সন্ধ্যার দিকে সেকেন্ড মেজরের ক্লাশ হয়। ### সেকেন্ড মেজর জিনিস টা কি?? -কেউ যদি ফিজিক্সে গ্রাজুয়েশন করে, তাহলে তার মেজর হলো ফিজিক্স, ম্যাথে গ্রাজুয়েশন করলে মেজর হলো ম্যাথ। অর্থ্যাৎ যে যে বিষয়ে পড়াশোনা করছো, সেটাই তার জন্য মেজর। আর মেজর ব্যতীত অন্যান্য যেসকল কোর্স পড়ানো হয় সেগুলো মাইনর।তাহলে সেকেন্ড মেজর হলো নিজের মেজরের পাশাপাশি আর একটা সাবজেক্ট মেজর হিসেবে নেওয়া। ### কি কি বিষয় সেকেন্ড মেজর হিসেবে নেওয়া যায়?? CSE, EEE, PHYSICS। এই বছর MATH ও সেকেন্ড মেজর হিসেবে নেওয়ার প্রচলন করা হচ্ছে। ### কতো ক্রেডিট পড়ানো হয়?? সাবজেক্ট ওয়াইজ ৩৬ থেকে ৩৮ ক্রেডিট। এটা কমিটি নির্ধারন করবে। ### CSE তে সেকেন্ড মেজর নিলে কি নিজেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার বলতে পারবো?? জ্বী নাহ। সেকেন্ড মেজর আর ফার্স্ট মেজরের মাঝে ফারাক আছে। ### তাহলে সেকেন্ড মেজর আসলে কাদের জন্য?? বাংলাদেশে এমন অনেক স্টুডেন্ট রয়েছে যাদের প্রোগ্রামার হওয়ার আগ্রহ + মেধা উভয় ই রয়েছে। অনেকের ই দেখা যায় সারাজীবন EEE পড়ার আর রোবোটিক্স রিলেটেড কাজ করার ইচ্ছা। কিন্তু দূর্ভাগ্যক্রমে সাবজেক্টটা পায়নি। তাদের জন্য সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনার আর রিলেটেড কাজ করার সর্বশেষ সুযোগ সেকেন্ড মেজর। তবে তার মানে এই নয় যে ফার্স্ট মেজরের পড়াশোনা বাদ দিয়ে সেকেন্ড মেজরের জন্য শুধু পড়বা। তাহলে আম-ছালা দুটোই যাবে
প্রশ্ন ১১ঃ ভাইয়া ঢাবিতে অমুক সাব্জেক্টে পড়বো নাকি বুয়েটে অমুক সাব্জেক্টে পড়বো??
উত্তরঃ
যেখানে ভাল সাব্জেক্ট পাবা সেখানেই পড়বা(আমার ব্যাক্তিগত মতামত)। আমার কাছে মনেহয় ইউনিভার্সিটির চেয়ে সাব্জেক্ট অনেক বড় ফ্যাক্ট।
৮. উপসংহারঃ
জীবন তোমার। সকল গুরুত্বপুর্ন সিদ্ধান্ত তোমাকেই নিতে হবে। আর আমি বিশ্বাস করি প্রতিটা মানুষের মধ্যেই প্রতিভা আছে। আমাদের সেটাকে খুঁজে পেতেই পুরোটা জীবন শেষ হয়ে যায়। যারা এটাকে আগে থেকেই ধরতে পারে তারাই হয়ে ওঠে আইন্সটাইন, শচীন বা মেসী-রোনালদো। তাই চয়েজ তোমার তুমি কি হবে আর কি পড়বে বা শিখবে। শুভ কামনা রইল তোমাদের জন্য।
(Mustak Ahmed,BNG, SUST)

Subscribe For Free Updates!

We'll not spam mate! We promise.