শনিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৮

বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রস্তুতিতে শেষ ১০ দিনের এন্টিবায়োটিক।

শেষ ১০ দিনের এন্টিবায়োটিক।
🤒🤒🤒🤒🤒🤒🤒🤒🤒
______________________
প্রথমেই বলে রাখি এই পোষ্ট তাদের জন্য যারা দিনের পর দিন, রাতের পর রাত জেগে প্রচুর পড়াশোনা করেছে।অথবা যাদের প্রস্তুতি মোটামুটি ৫০%-৬৫% তাদের জন্য।একেবারে নতুন করে শুরু করবে এমন কারো জন্য আজকের পোষ্ট না।
.
সবার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নেয়া যাক।

ভাল প্রস্তুতি ও পজিটিভ লক্ষণ সমূহঃ
________________________________
অনেকেই আছে যারা সারাবছর প্রচুর পড়াশোনা করেছো।কষ্ট করেছো।শ্রম দিয়েছো শুধু একটি সীটের আশায়।
আসলেই কি তুমি ঠিক পথে আছো?
দেখে নেয়া যাক তুমি কোন পথে আছো।
ভাল প্রস্তুতির লক্ষণসমূহ নিচে দিলাম। মিলিয়ে নাওঃ
👇
১। এখন যতই পরীক্ষা এগিয়ে আসবে ততই মনে হবে পড়া ভুলে যাচ্ছো।
.
২। যতই পড়ো না কেন কিছুই মনে থাকছে না।
.
৩। সব পড়াই নতুন নতুন লাগছে।নতুন নতুন ভয় মনে জাগছে।
.
৪। সবকিছু ই এলোমেলো লাগছে। মনের ভিতরে কিছুটা অশান্তি কাজ করবে।
.
৫। কোনটা কখন পড়বে নিজের সাথেই দ্বন্দ্ব হচ্ছে।
.
৬। মাঝে মাঝে হতাশ লাগছে। এতো পড়লাম চান্স হবে তো?
.
৭। মাঝে মাঝে টেনশন হবে যদি ১/২ নাম্বারের জন্য চান্স ছুটে যায়!!!!!
.
৮। এতো পড়ার পরেও মনে হবে কোনকিছু বাদ যাইনি তো? সবসময় অস্থিরতা কাজ করবে।
.
৯। মাঝে মাঝে পড়তেই ইচ্ছা করবেনা।কিন্তু চান্স না পাবার ভয়ে আবার ঠিক ই বই টা হাতে তুলে নিচ্ছো।
.
১০। যারা আসলেই চান্স পাবে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিট,সীট,পরীক্ষা পদ্ধতি,মার্কস ডিস্ট্রিবিউশন,সময় ইত্যাদি সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা থাকবে।
.
১১। অযথা বাইরে বা অনলাইনে সময় নষ্ট করবেনা।
১২। মাঝে মাঝেই ঘুমের ঘরে স্বপ্নে দেখতে পাবে→
👇
*পরীক্ষার হলে দেরি করে আসছো।😮
.
* তোমাকে কেউ পেছন থেকে তাড়া করছে আর তুমি জানপ্রান নিয়ে ছুটে পালাচ্ছো। আকাশ দিয়ে উড়ে উড়ে যাচ্ছো।পালানোর চেষ্টা করছো। একটুর জন্য সে তোমাকে ধরতে পারেনি।😂
.
*পরীক্ষা দিতে যাবার সময় রাস্তায় কেউ তাড়া করছে অথবা কেউ আটকে রাখছে তোমাকে এক্সাম দিতে দিবেনা তাই।
.
* সবাই উত্তর করছে কিন্তু তুমি ই কিছু উত্তর দিতে পারছো না। সবচেয়ে তুমি ই পরীক্ষা খারাপ দিছো।
.
* হয়তো পরীক্ষার গেটে তুমি আটকা পড়ে গেছো।গেটম্যান তোমাকে ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছেনা।
.
*যে কোন কারণেই হোক শিক্ষক তোমার খাতা কেড়ে নিচ্ছে। তুমি হাজার কান্নাকাটি করার পরেও খাতা ফেরত পাচ্ছো না।
.
*পরীক্ষা দিতে যাবার আগে এডমিট বা রেজিস্ট্রেশন কার্ড খুজে পাচ্ছো না।
.
* হয়তো পরীক্ষার হলে ঢুকছো কিন্তু রাস্তায় এডমিট হারাই ফেলছো।আবার এডমিট আনতে পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে দৌড়াচ্ছো😂😂😂
.
*পরীক্ষার হলে আসছো হঠাৎ মনে পড়ছে, এই যাহ্ আমি তো কলম,এডমিট কার্ড কিছুই আনিনি কি করে পরীক্ষা দিব?এখন তো আমার সব শেষ! 😀😀
.
* পরীক্ষার রেজাল্ট দিছে।সবাই চান্স পেয়েছে শুধু তুমি ই পাওনি। অথবা রেজাল্টে তোমার নাম ই নেই🤣
.
*তুমি যে গাড়িতে করে পরীক্ষা দিতে আসছো স্বপ্নে দেখবে হয়তো সে গাড়ির ড্রাইভার রাস্তা ভুল করে অন্য রাস্তায় নিয়ে গেছে। গাড়ি আসতে আসতে পরীক্ষা শেষ!!!!😅

★উপরোক্ত স্বপ্নগুলো খুব স্বাভাবিকভাবেই অনেকেই দেখে থাকো।ভয় পাবার কিছু নাই। তারমানে তুমি সঠিক পথেই আছো।তোমার প্রস্তুতি বা সবকিছু ঠিক আছে।এটা হয় অতিরিক্ত টেনশনের কারণে।মাথায় চাপ বেশি পড়লে।এগুলো পজিটিভ সাইন।
বিঃদ্রঃ ঘুমের ঘরে কে কে এমন স্বপ্ন দেখেছো কমেন্টে জানাতে ভুল করো না যেন।

এবার দেখা যাক কারা কারা সঠিক পথে নাই। মানে প্রস্তুতিতে ঘাটতি আছেঃ
অনেকেই আছে সারাবছর পড়াশোনা না করে এদিক ওদিক, বিভিন্ন কারণে, অনলাইন বা প্রেম পিরিততে সময় নষ্ট করছো। শেষ সময়ে এসে মনে খুব ইচ্ছা জাগছে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে। ইচ্ছাটা প্রবল থেকে প্রবলতর হচ্ছে। কিন্তু হাতে তো সময় কম। এতো পড়ুয়ার ভিড়ে চান্স পাওয়া তো সহজ কথা না! তবুও অল্প পড়ে ঝড়ে বগ পড়ার মত হয় তাদের ভাগ্য আসলেই ভাল।
যাইহোক,মিলিয়ে নাও নিচের লক্ষণগুলো তোমার মাঝে আছে কি না। থাকলে দ্রুত দূর করার চেষ্টা করো।হাতে সময় কম।
একনজরে দেখে নেই আসলে প্রস্তুতি ঘাটতির লক্ষণ গুলো কি কিঃ
👇
১। কোন সাবজেক্ট ই ঠিকমত কমপ্লিট না হওয়া।
.
২। মনের ভিতরে দূর্বলতা যাবেনা।
.
৩। বাইরে বা অনলাইনে অযথা সময় নষ্ট করবে।
.
৪। কোনটা রেখে কোনটা পড়বে বুঝতে পারবেনা। হতাশায় ডুবে থাকবে।
.
৫। শেষ সময়ে এসে পরীক্ষার সিলেবাস,সীট,পরীক্ষা পদ্ধতি এসব বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা থাকবোনা। একে ওকে জিজ্ঞেস করে বেড়াবে।
.
৬। চান্স পাবার শর্টকাট টেকনিক এসব জানতে বা খুজতেই সময় কাটবে বা নষ্ট হবে। সত্যি বলতে কি সফলতার কোন শর্টকাট নাই।অন্তত ৩০-২৫ দিন তো জানপ্রাণ দিয়ে পড়তেই হবে চান্স পতে হলে।
.
৭। পড়তে বসলে কিছুই পড়তে ইচ্ছা করবেনা কেননা তার কোন সিলেবাস ই ঠিকমত শেষ হয়নি।কি পড়বে আর কি বাদ দিবে সেটাই বুঝতে পারবেনা। রাগ করে হোক বা হতাশায় হোক পড়ায় মনোযোগ আসবেনা।
.
৮ বইয়ের চাইতে অনলাইনের পড়াকেই বেশি গুরুত্ব দিবে। অনলাইনে তাদের নেশা বেশি থাকবে।কে কি বলল,কি পোষ্ট দিল,কোন নতুন তথ্য দিল কি না ইত্যাদির প্রতি বেশি আগ্রহ।
.
৯। না পড়ার বিভিন্ন অজুহাত খুজবে। মাঝে মাঝে নিজেকে দোষারোপ করবে সময় নষ্ট করার জন্য।
এমন কি পরিবার,বন্ধুবান্ধব বা প্রেমিক/প্রেমিকাকে দোষারোপ করবে, না পড়া বা সময় নষ্টের জন্য।
.
১০। মনের ভিতরে এই ধারণা কাজ করবে, যা হয় হোক। বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পেলে কি আর এমন হবে। যা ইচ্ছা হোক।আমি আমার মতই থাকব এরুপ ধারণা কাজ করবে।
.
১১। অনেকে মনে মনে কষ্ট পাবে - ইশ্ কেন যে ঠিকমত পড়লাম না।কেন সময় নষ্ট করলাম। কিন্তু এখন তো কিছুই করার নাই।
🔀🔀🔀🔀🔀🔀🔀🔀🔀🔀🔀🔀
এ তো গেল চান্স পাওয়া আর না পাওয়ার লক্ষণসমূহ।এবার আসি এই ১০ দিনে কি করে নিজেকে ঠিক জায়গা মত নিয়ে যাবে। যাকে বলে আমার নিজস্ব তৈরি এন্টিবায়োটিক।

নিচে লিখে দিচ্ছি।
🔽
রিভিশনঃ
____________
পুরাতন পড়াগুলো প্রচুর পরিমানে রিভিশন দিতে হবে। মানে আগের পড়াগুলো শুধু চোখ বুলিয়ে যেতে হবে।কঠিন টপিকস এ একটু বুঝে বুঝে পড়লেই হবে।বাকিগুলো জাস্ট চোখ বুলাতে হবে।
একাউন্টিং, কেমিস্ট্রি, পদার্থ বা গণিতের সূত্রগুলো দেখতে হবে।প্রতিটা সূত্রের জন্য একটা ম্যাথের উদাহরণ দেখতে হবে।
ইংরেজি গ্রামার বা বাংলা ব্যাকরণের রুলসেও তাই।একটি রুলস এর জন্য একটি উদাহরণ পড়তে হবে। ব্যাস।আর দরকার নাই। একটি রুলসের উপর একাধিক উদাহরন পড়ে সময় নষ্ট করার কোন প্রশ্নই আসেনা। এখন বার বার রিভিশনের কোন বিকল্প নাই।
সাঃজ্ঞান বিস্তারিত পড়ার সুযোগ এখন নাই। যা পড়বে সব এমসিকিউ। বা এক কথায় উত্তর টাইপ পড়তে হবে।আইসিটি ও তাই।

কেন বার বার পুরাতন পড়াগুলো রিভাইজ দিতে বলছি সেটা পরীক্ষার হলেই টের পাবে যখন দেখবে সহজ প্রশ্ন রিভাইজের অভাবে ছেড়ে আসতে বাধ্য হচ্ছো।কান্না আসবে তখন। আমি বিশ্বাস করি এবং বহুল পরীক্ষিত, কারো যদি ৭৫-৮৫% ভালভাবে প্রস্তুতি থাকে সে অবশ্যই চান্স পাবার মত যথেষ্ট প্রশ্ন কমন পাবে। কিন্তু ধরা খায় রিভিশনের অভাবে।কেননা, কম রিভিশনের ফলে জানা প্রশ্নের উত্তর দিতেই কনফিউজড হতে হয়। বিপত্তি টা বাধে তখনি। না পারে সঠিক উত্তর করতে, না পারে প্রশ্নটা ছেড়ে আসতে। উত্তর করলে ভুল হলেই নেগেটিভ মার্কিং হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আবার উত্তর না করলে নাম্বার কম পেতে হবে। উভয়সঙ্কটে পড়তে হয় তখন।সেই মুহূর্তের যে কষ্টটা হয় আসলে সেটা বর্ণনা করা সম্ভব না।
তাই বার বার বলছি, যদি প্রশ্নপত্র হাতে পাবার পর আফসোস না করতে চাও তাহলে এতোদিন যতটুকু আর যা ই পড়ো না কেন সেগুলো বেশি বেশি রিভিশন দাও। যত বেশি পারো রিভিশন দাও।মাথায় রাখার চেষ্টা করো।আমার এই কথাটা পরীক্ষার হলে মনে পড়বে ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। আর আমার কথা সত্যি হলে অবশ্যই এই গ্রুপে এসে পোস্ট দিয়ে বলবে যে, আরিফ ভাইয়া সেদিন ঠিক কথাটাই বলেছিল।

নতুন টপিক্স না পড়াঃ
_____________________
এই মুহূর্তে যতই গুরুত্বপূর্ণ মনে হোক না কেন নতুন কোন টপিক্স এ হাত ই দেয়া যাবেনা। তাহলে সময় নষ্ট হবে আর তালগোল পাকিয়ে যাবে। তবে সাঃজ্ঞান রিসেন্ট গুলো তো পড়তেই হবে। বাকি যে কোন সাবজেক্টর জন্য নতুন টপিক্স,রুলস বা সূত্র পড়ার দরকার নাই। নুতন কিছুতে হাত দেয়া মানে বাড়তি চাপ নেয়া,ধরা খাওয়া।

সময় নিয়ন্ত্রণঃ
_______________
প্রতিদিন বাসায় অন্ততপক্ষে ১২-১৪ ঘন্টা তো পড়তেই হবে। ১৬-১৮ ঘন্টা পড়তে পারলে তো কথাই নাই।মনে রাখতে হবে ভোরের পড়া সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। বিশেষ করে ভোর ৩ টা থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত পড়াগুলো সবচেয়ে বেশি মনে থাকে। দুপুরে বা বিকালে ১/২ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।তাহলে ব্রেইন ফ্রেশ হবে। তারপর সন্ধ্যা পর্যন্ত পড়া যাবে। তারপর ১ ঘন্টা বা ৩০ মিনিট রেস্ট নিয়ে রাত ১২ টা পর্যন্ত পড়ে ঘুমাতে হবে।তাপর রাত ৩/৪ টায় উঠে ৮/৯ টা পর্যন্ত পড়তে হবে।
রাত ১২-৩ টা পর্যন্ত অনেকে জেগে থেকে পড়ে। যদি আগে থেকেই পড়ার অভ্যাস থাকে তো সমস্যা নাই।কিন্তু নতুন করে এই অভ্যাস না করাই ভাল। কেননা, রাত ১২-৩ টা এই সময়ের পড়াগুলো বেশি মাথায় থাকেনা।
তবে সময়গুলো তোমার মত করে ম্যানেজ করে নিও।
সপ্তাহে অন্তত ১/২ টা মডেল টেস্ট দিয়ে নিজেকে যাচাই করতে পারো।ঘড়ি ধরে পরীক্ষা দিতে হবে নিজে নিজে।

Question Bank & Suggestion:
_______________________________
প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা পেতে প্রিভিয়াস প্রশ্ন পড়ার কোন বিকল্প নাই। এখান থেকে হুবহু বা অংশিক বা নিয়মের সাথে মিলিয়ে প্রায় ২০%-৩০% কমন থাকেই। সরাসরি প্রশ্ন না ও আসতে পারে। হয়তো একই নিয়মে অন্য উদাহরণ আসতে পারে। তাই প্রশ্নব্যাংক মুখস্থ থাকা চাই।
এবারে আসি সাজেশন বিষয়ে। এই মুহূর্তে কোন বইটা তুমি ডিটেইলস পড়তে পারবে? হ্যা, আমি জানি পড়তে পারবে কিন্তু এখন তো এতো ডিটেইলস পড়ার সময় না।পড়তে হবে হাইলাইটস অংশগুলো যেগুলো তোমার কালার পেন দিয়ে মেইন বই দাগানো আছে। অনেকের হয়তো হ্যান্ডনোট করা আছে। সেগুলোত চোখ বুলাও বার বার।দেখবে সব মনে চলে আসবে। সবার কিন্তু হ্যান্ডনোট করা থাকে না। সেক্ষেত্রে তোমরা বাজারে প্রচলিত ভাল সাজেশন বা হ্যান্ডনোট কিনে পড়তে পারো তোমার জন্য ভাল হবে।
আমার জানা মতে "Fire Touch" সাজেশন টা শেষ সময়ে তোমাদের খুব হেল্পফুল হবে।রাস্তায়, ট্রেনে,বাসে বা গাড়িতে আসার সময় বইটা পড়ে শেষ করতে পারবে। পাশাপাশি "দিগন্ত" বইটা রাখতে পারো।কেননা যখন পরীক্ষা দিতে আসবে তখন গাদা গাদা বই সাথে নিয়ে তো আসতে পারবেনা।তাই ছোট্ট একটা বইয়েই সব পেয়ে যাচ্ছো হাতের কাছেই। সুতরাং মন্দ তো না তাই না? গাদা গাদা বই তারাই সাথে নিয়ে আসবে যারা বেকুব।কাজের মত ২/৩ টা বই ই যথেষ্ট।
অনেকেই মনে মনে ভাবছো, ভাইয়ের মনে তাহলে এই ছিল? বড় ভাই তাহলে বইয়ের প্রচারণা করছে। ভাই আমি তাহলে সরি। তোমার যেটা ভাল লাগে পড়তে পারো।আমার তাতে সমস্যা নাই বা যায় আসেনা।তোমাদের ভালোর জন্য যা দরকার সেটাই বলেছি।এতে আমার কোন লাভ নাই। তুমি চাইলে পড়তে পারো না চাইলে পড়ো না। তুমি তো স্বাধীন। আর বই পড়লে অন্তত তোমার ক্ষতি তো হচ্ছে না তাই না?

ইংরেজি এবং MCQ:
_____________________
বলা হয়ে থাকে যে ইংরেজির উপরেই চান্স পাওয়া ৬০-৭০% নির্ভর করে। সুতরাং যারা আর্টসের ইউনিটে এক্সাম দিবে বা যাদের পরীক্ষায় ইংরেজি আসবে তারা অবশ্যই প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৭ ঘন্টা শুধু ইংরেজিতে ব্যয় করো। MCQ পড়ো।।
তারপরে এমসিকিউ ব্যাপারে।ছোট্ট একটা ঘটনা দিয়ে বুঝাই,যখন আমি এসএসসি দিয়েছিলাম তখন বাংলা ব্যাকরণে খুব দূর্বল ছিলাম।কোন নিয়ম জানতাম না। ভয়ে মূল বই পড়তাম না। কিন্তু টেস্ট পরীক্ষার পরে টেস্ট পোপারের শুধু বিভিন্ন স্কুল ও বোর্ডের এমসিকিউ পড়েই ৫০ এর মধ্যে ৪৮ নম্বর তুলেছিলাম।অথচ ব্যাকরনের কোন নিয়ম ই তখন জানতাম না। এতো নম্বর পাবার কারণ হলো আমি নিয়ম পড়িনি কিন্তু প্রচুর এমসিকিউ প্র্যাকটিস করেছিলাম বিধায় এতো কমন পেয়েছিলাম।
সেইজন্য তোমাদেরও বলছি,আগে কি নিয়ম পড়েছো কি না পড়েছো সেটা দেখার সময় নাই। জাস্ট যা পারো বেশি বেশি MCQ প্র্যাকটিস করো।খুব কাজে দিবে।

সহজ ও কঠিন পড়া কিভাবে পড়বেঃ
__________________________________
এই মুহূর্তে সহজ পড়াগুলো পড়ার কোন প্রয়োজন নাই। মানে হল যেগুলো মনে হবে যে আগামী ১৫ দিন না পড়লেও হবে এমন পড়া বা টপিক্সগুলো পড়ে অযথা সময় নষ্ট করার কোন মানেই হয়না। সুতরাং সহজগুলো সাইডে রাখো।
খাতায় লিস্ট করে করে সহজ আর কঠিন টপিক্স আলাদা করতে পারো। অথবা বইয়ের সূচিপত্র থেকে সহজ কঠিন বাছাই করে পড়তে পারো।
কঠিন পড়া বা টপিক্সগুলোতে বেশি সময় দাও।সহজ টপিক্সের সময়গুলো কঠিন পড়াতে কাজে লাগাও। এতে করে সময়ও বাচলো আর তুমিও এগিয়ে গেলে। সহজ টপিক্সগুলো বাসে,ট্রেনে বা গাড়িতে আসার সময় চোখ বুলিয়ে নিলেই হবে, ব্যাস। কাহিনী খতম!

ইন্টারনেট ও ফেসবুকঃ
______________________
বর্তমান যুগে ইন্টারনেট বা ফেসবুক তোমাদের খুব দরকারি জিনিস।
কিন্তু এই মুহূর্তে দয়া করে নেট বা ফেবু থেকে দূরে থাকো।
তবে হ্যা খুব প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ১-১.৩০ ঘন্টা সারাদিনে ব্যবহার করা যেতে পারে।
মনে রেখো, এই ইন্টারনেট আর ফেসবুকের বাজে নেশা লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীর জীবন শেষ করে দিয়েছে।
সুতরাং এটার সঠিক ব্যবহার করতে হবে। আপাতত কয়েকদিন শুধু প্রয়োজন মাফিক ব্যবহার করো। চান্স পাবার পরে সারা ক্যাম্পাসে ফ্রি ওয়াইফাই ব্যাবহার করতে পারবে। তখন সারাদিন রাত ব্যাবহার করো কেউ নিষেধ করবেনা।

আত্মবিশ্বাসঃ
_______________
জীবনে সফল হবার জন্য যেটা সবচেয়ে বেশি জরুরি তা হল আত্মবিশ্বাস।
সারাদিনরাত কঠিন পরিশ্রম করলে,পড়লে কিন্তু নিজের উপর কোনই ভরসা নাই তাহলে তুমি ব্যর্থ হবেই।
সুতরাং নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখো,সময় কাজে লাগাও এবং সঠিকপথে পরিশ্রম করো তাহলে তুমি সফল হবেই।আল্লাহ পরিশ্রমী কে বিনা পারিশ্রামিকে ফেরত দেয় না। কখনো অজুহাত খুজতে যেওনা। তোমার ব্যর্থতার জন্য হাজার টা অজুহাত তোমার কাছে থাকতে পারে কিন্তু সেসব অজুহাতের দাম পৃথিবীর কারো কাছে নাই।
নিজের উপর আত্মবিশ্বাস হও।তুমি পারবেই এই মনোবল রাখো।বড় বড় স্বপ্ন দেখ। তাহলে তুমি জয়ী হবে ইনশাআল্লাহ।
তবে ওভার কনফিডেন্স কিন্তু মোটেও ভাল না।ওভার কনফিডেন্স এর একটা দোষ হল, এর তলায় ফুটাে থাকে। আর সে ফুটাে দিয়ে সব বের হয়ে যায়। সুতরাং সাবধান।নিজের উপর কনফিডেন্ট থাকো কিন্তু ওভার কনফিডেন্ট না।
তুমি কঠোর পরিশ্রম করে, সময়কে কাজে লাগিয়ে ব্যর্থতা কে ব্যর্থ করে সফলতা ছিনিয়ে আনো।
.

🆒নিজেকে হতাশ লাগলে কি করবেঃ
____________________________
এই মুহূর্তে ভাল প্রস্তুতি থাকলেও হতাশ হওয়াটা খুব স্বাভাবিক।
যখনি বিষন্ন বা হতাশ লাগবে তখনি সাথে সাথে তুমি সবকিছু ছেড়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে শুয়ে পড়বে। চোখ বন্ধ করে ১০ মিনিট সময় নিয়ে ঠান্ডা মাথায় ভাববে।
🆘
কি কি ভাববেঃ →

১। কোন সাবজেক্ট এর কতটুকু শেষ হয়েছে।
২। প্রতিটা সাবজেক্টে কতটুকু পারি।কোন টপিক্সে দূর্বলতা আছে।
৪। মোটামুটি ৭৫%-৮৫% প্রতিটা সাবজেক্টে ভালভাবে পারো কি না হিসাব করবে।
৫। হিসাব করে যদি ৭০৫%-৮৫% ও তুমি পারো তাহলে ধরে নাও তুমি চান্স পাবে।
৬।যেহেতু চান্স পাবার যোগ্য হয়ে গেছো তাহলে সেগুলো মানে পড়াগুলো তো মাথায় ধরে রাখতে হবে তাই না? পরীক্ষা পর্যন্ত তো মনে রাখতে হবে তাই না?
সে জন্য কি করতে হবে? বার বার রিভাইজ দিতে হবে। ওকে?
৭। তুমি চান্স পেলে তোমার চারপাশ কেমন চেঞ্জ হবে,সবাই তোমাকে কেমন সম্মান করবে, তোমার প্রতি সবার দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হবে সেগুলো ভাবো কিছুক্ষণ। তারপর সে অনুযায়ী নিজেকে চাঙ্গা করে তুরো।হতাশাকে ঝাড়ু মেরে মন থেকে বিদায় করে দাও।তাপর বিষন্নতা বা হতাশা কে ঠেলে ফেলে দিয়ে একগ্লাস পানি খেয়ে আবার পড়া শুরু করবে। যুদ্ধের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করো।
রিফ্রেশ মাইন্ডে আবার পড়া শুরু করো।
🆙🆙🆙🆙🆙🆙🆙🆙🆙🆙🆙🆙
আগামী ১০ দিনেই তোমার ১০ বছরের ইতিহাস লেখা হয়ে যাবে।
সে ইতিহাস সুখের নাকি দুঃখের হবে সেটা নির্ভর করছে সম্পূর্ণ তোমার উপর।
১০ দিনের এন্টিবায়োটিক দিলাম।এখন এটার ব্যবহারের দায়িত্ব তোমার।
সবার জন্য শুভকামনা।
COLLECTED & COPIED

Socializer Widget By Blogger Yard
SOCIALIZE IT →
FOLLOW US →
SHARE IT →

1 comments:

Subscribe For Free Updates!

We'll not spam mate! We promise.