মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কি ও কেন
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বা যন্ত্রকৌশল পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম ও বিস্তৃত ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্র। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংকে বলা হয় মাদার অফ ইঞ্জিনিয়ারিং। যন্ত্র প্রকৌশল প্রকৌশলের একটি বিষয় যাতে যান্ত্রিক ব্যবস্থাসমূহ রক্ষণাবেক্ষণ, নকশা, উৎপাদন এবং বিশ্লেষণের জন্য পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রগুলো ব্যবহার করা হয়। বলবিজ্ঞান, গতিবিজ্ঞান, তাপগতিবিজ্ঞান এবং শক্তি সম্বন্ধে একটি সুস্পষ্ট জ্ঞান এই প্রকৌশল অধ্যয়নের জন্য প্রয়োজনীয়। যন্ত্র প্রকৌশলীরা মোটরগাড়ি, বিমান, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, শিল্প কারখানার যন্ত্রপাতি নির্মাণ এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের যন্ত্রাদি নির্মাণে এই জ্ঞান ব্যবহার করেন।



একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের কাজটা কী
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা ছোট পার্টস থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় মেশিন, যন্ত্রপাতি বা যানবাহন ডিজাইন ও সেই পণ্য উৎপাদনের পুরো পদ্ধতিকে অধিক কর্মক্ষম করার জন্য কাজ করে থাকেন। তারা একটা পণ্য তৈরির সকল পর্যায়ে (গবেষণা,নকশা, উতপাদন, ইনস্টলেশন এবং চূড়ান্ত চালু) কাজ করতে পারেন। তাদের কাজগুলো সাধারণত নিম্নরূপ:

বাংলাদেশে চাকুরীর ক্ষেত্রগুলো নিম্নরূপঃ
২০০৯ সালের হিসাব মতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৬ লক্ষ প্রকৌশলী কর্মরত আছেন। তারমধ্যে প্রায় ২৩৯০০০ (১৫%) যন্ত্র প্রকৌশলী যা পুরকৌশলীদের(২৭৮০০০) পরদ্বিতীয় সর্ব বৃহৎ বিভাগ। ২০০৯ সালের পরিসংখ্যান মতে প্রতি দশকে ৬% হারে যন্ত্রপ্রকৌশলীদের কর্মসংস্থান বাড়ছে, যাতে প্রত্যেক স্নাতক ডিগ্রীধারী প্রকৌশলীদের প্রাথমিক বেতন হল প্রতি বছরে ৫৮,৮০০ মার্কিন ডলার । যন্ত্রপ্রকৌশলীদের গড় বেতন প্রতি বছরে ৭৪,০০০ মার্কিন ডলার, যা সর্বোচ্চ প্রতি বছরে ৮৬,০০০ মার্কিন ডলার এবং সর্বনিম্ম ৬৩,০০০ মার্কিন ডলার। জার্মানিতেও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
কোর্স পরিচিতি
একেক বিশ্ববিদ্যালয়ে একেকরকম সিলেবাস থাকলেও নিম্নোক্ত বিষয়গুলোই সাধারণত পড়ানো হয়।
কিভাবে যন্ত্র ও যান্ত্রিক কলাকৌশলসমুহকে মানুষের জন্য অধিক নিরাপদ, ব্যবহার উপযোগী, সুলভ মূল্য ও কার্যক্ষম করা যায় তার জন্য যন্ত্রপ্রকৌশলীরা প্রতিনিয়ত যন্ত্রকৌশলের সীমানা বর্ধিত করে যাচ্ছেন। সেসকল প্রযুক্তির কিছু তালিকা
দেশে কিন্তু গণহারে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয় না, পড়াও যায় না। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা নিম্নরূপঃ
যন্ত্রকৌশল বিষয়ে চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হতে হলে একজন শিক্ষার্থীর অবশ্যই বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা থাকতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে যারা এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছে তারা এই বিভাগে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ভর্তির যোগ্যতা ও অন্যান্য নিয়ম ভিন্ন। তাই যার যে বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিস্তারিত তথ্যাবলী জেনে নিতে হবে।
যদি তুমি ফিজিক্স ভালোবাসো, যদি প্র্যাক্টিকাল ওয়ার্কে তোমার বেশি মজা লাগে, যদি মেকানিক্যাল রিলেটেড কোন সেক্টরে তোমার একটু হলেও ইন্টারেস্ট থাকে, তাহলে তোমার জন্য আমার পরামর্শ – মেকানিক্যাল পড়। তবে মেকানিক্যালে নিজেকে মানিয়ে নেয়া অনেক বড় একটা ফ্যাক্টর। যদি মন থেকে ইচ্ছা না করে, তাহলে প্লিজ মেকানিক্যালে এসো না, নিজেও বিপদে পড়বা, অন্যদেরও বিপদে ফেলবা। প্যাশন সব ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষ করে মেকানিক্যালের জন্য অনেক বড় একটা ফ্যাক্টর।
রেফারেন্স
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বা যন্ত্রকৌশল পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম ও বিস্তৃত ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্র। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংকে বলা হয় মাদার অফ ইঞ্জিনিয়ারিং। যন্ত্র প্রকৌশল প্রকৌশলের একটি বিষয় যাতে যান্ত্রিক ব্যবস্থাসমূহ রক্ষণাবেক্ষণ, নকশা, উৎপাদন এবং বিশ্লেষণের জন্য পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রগুলো ব্যবহার করা হয়। বলবিজ্ঞান, গতিবিজ্ঞান, তাপগতিবিজ্ঞান এবং শক্তি সম্বন্ধে একটি সুস্পষ্ট জ্ঞান এই প্রকৌশল অধ্যয়নের জন্য প্রয়োজনীয়। যন্ত্র প্রকৌশলীরা মোটরগাড়ি, বিমান, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, শিল্প কারখানার যন্ত্রপাতি নির্মাণ এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের যন্ত্রাদি নির্মাণে এই জ্ঞান ব্যবহার করেন।


ছবি: কম্পিউটারে তৈরি একটি রোবটের ডিজাইন

ছবি: ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব
একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের কাজটা কী
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা ছোট পার্টস থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় মেশিন, যন্ত্রপাতি বা যানবাহন ডিজাইন ও সেই পণ্য উৎপাদনের পুরো পদ্ধতিকে অধিক কর্মক্ষম করার জন্য কাজ করে থাকেন। তারা একটা পণ্য তৈরির সকল পর্যায়ে (গবেষণা,নকশা, উতপাদন, ইনস্টলেশন এবং চূড়ান্ত চালু) কাজ করতে পারেন। তাদের কাজগুলো সাধারণত নিম্নরূপ:
- আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও টেকশই সরঞ্জাম ডিজাইন ও তৈরি করা।
- অন্যান্য শ্রেণীর ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে আলোচনা করে কোন প্রজেক্টের জন্য প্রয়োজনীয় দিকগুলো বাছাই করা।
- তাত্বিক ডিজাইনের কার্যকারিতা জানার জন্য সিমুলেশন করা ও সেই অনুয়াযী ডিজাইনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা।
- পণ্য সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য উৎপাদন বিভাগের লোকজন, সরবরাহকারী এবং গ্রাহকদের সঙ্গে আলোচনা করা।
- প্রকৌশল ও অন্যান্য খাতের পেশাদারদের সঙ্গে কাজ করা।
- যন্ত্রপাতির মেইনটেনেন্সের দায়িত্ব পালন করা।

ছবি: মেকানিক্যাল ডিজাইনে ব্যস্ত একজন যন্ত্রপ্রকৌশলী
কোথায় চাকরি করবেনবাংলাদেশে চাকুরীর ক্ষেত্রগুলো নিম্নরূপঃ
- পাওয়ারপ্ল্যান্ট (সব ধরণের)
- সিমেন্ট ইন্ড্রাস্টি
- সার কারখানা
- অটোমোবাইল
- গ্যাসফিল্ড
- জাহাজ নির্মাণ শিল্প
- পেট্রোলিয়াম জাত পণ্য (লুব অয়েল, পেট্রোল, ডিজেল)
- যেকোন ইন্ডাস্ট্রির ইউটিলিটি ও মেইন্টেনেন্স বিভাগে।
- রেলওয়ে
- বিমান
- নবায়নযোগ্য শক্তি
- জেনারেটর/ক্যাপটিভ পাওয়ার
২০০৯ সালের হিসাব মতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৬ লক্ষ প্রকৌশলী কর্মরত আছেন। তারমধ্যে প্রায় ২৩৯০০০ (১৫%) যন্ত্র প্রকৌশলী যা পুরকৌশলীদের(২৭৮০০০) পরদ্বিতীয় সর্ব বৃহৎ বিভাগ। ২০০৯ সালের পরিসংখ্যান মতে প্রতি দশকে ৬% হারে যন্ত্রপ্রকৌশলীদের কর্মসংস্থান বাড়ছে, যাতে প্রত্যেক স্নাতক ডিগ্রীধারী প্রকৌশলীদের প্রাথমিক বেতন হল প্রতি বছরে ৫৮,৮০০ মার্কিন ডলার । যন্ত্রপ্রকৌশলীদের গড় বেতন প্রতি বছরে ৭৪,০০০ মার্কিন ডলার, যা সর্বোচ্চ প্রতি বছরে ৮৬,০০০ মার্কিন ডলার এবং সর্বনিম্ম ৬৩,০০০ মার্কিন ডলার। জার্মানিতেও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
কোর্স পরিচিতি
একেক বিশ্ববিদ্যালয়ে একেকরকম সিলেবাস থাকলেও নিম্নোক্ত বিষয়গুলোই সাধারণত পড়ানো হয়।
- Mathematics (in particular, calculus, differential equations, and linear algebra)
- Basic physical sciences (including physics and chemistry)
- Statics and dynamics
- Strength of materials and solid mechanics
- Materials Engineering,
- CompositesThermodynamics, heat transfer, energy conversion, and HVAC
- Fuels, combustion, Internal combustion engine
- Fluid mechanics (including fluid statics and fluid dynamics)
- Mechanism and Machine design (including kinematics and dynamics)
- Instrumentation and measurement
- Manufacturing engineering, technology, or processes
- Vibration, control theory and control engineering
- Hydraulics, and pneumatics
- Mechatronics, and robotics
- Engineering design and product design
- Drafting, computer-aided design (CAD) and computer-aided manufacturing(CAM)
কিভাবে যন্ত্র ও যান্ত্রিক কলাকৌশলসমুহকে মানুষের জন্য অধিক নিরাপদ, ব্যবহার উপযোগী, সুলভ মূল্য ও কার্যক্ষম করা যায় তার জন্য যন্ত্রপ্রকৌশলীরা প্রতিনিয়ত যন্ত্রকৌশলের সীমানা বর্ধিত করে যাচ্ছেন। সেসকল প্রযুক্তির কিছু তালিকা
- মাইক্রো ইলেক্ট্র-মেকানিকাল সিস্টেমস (MEMS) https://en.wikipedia.org/wiki/Microelectromechanical_systems
- ঘর্ষন সক্রিয় ঢালাই (Friction stir welding) https://en.wikipedia.org/wiki/Friction_stir_welding
- যৌগিক বস্তু (composites) https://en.wikipedia.org/wiki/Composite_material
- মেকাট্রনিক্স https://en.wikipedia.org/wiki/Mechatronics
- ন্যানো প্রযুক্তি https://en.wikipedia.org/wiki/Nanotechnology
- সসীম উপাদান বিশ্লেষণ (finite element analysis) https://en.wikipedia.org/wiki/Finite_element_method
- ফলিত বলবিদ্যা https://en.wikipedia.org/wiki/Biomechanics
- গননীয় দ্রব গতিবিজ্ঞান (Computational fluid dynamics) https://en.wikipedia.org/wiki/Computational_fluid_dynamics
দেশে কিন্তু গণহারে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয় না, পড়াও যায় না। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা নিম্নরূপঃ
- বুয়েট (১৮০)
- কুয়েট(১২০)
- রুয়েট(১২০)
- চুয়েট(১৩০)
- IUT (মেকানিক্যাল + কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, MCE নামে পরিচিত) (৪৫)
- AUST (৫০)
যন্ত্রকৌশল বিষয়ে চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হতে হলে একজন শিক্ষার্থীর অবশ্যই বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা থাকতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে যারা এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছে তারা এই বিভাগে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ভর্তির যোগ্যতা ও অন্যান্য নিয়ম ভিন্ন। তাই যার যে বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিস্তারিত তথ্যাবলী জেনে নিতে হবে।
যদি তুমি ফিজিক্স ভালোবাসো, যদি প্র্যাক্টিকাল ওয়ার্কে তোমার বেশি মজা লাগে, যদি মেকানিক্যাল রিলেটেড কোন সেক্টরে তোমার একটু হলেও ইন্টারেস্ট থাকে, তাহলে তোমার জন্য আমার পরামর্শ – মেকানিক্যাল পড়। তবে মেকানিক্যালে নিজেকে মানিয়ে নেয়া অনেক বড় একটা ফ্যাক্টর। যদি মন থেকে ইচ্ছা না করে, তাহলে প্লিজ মেকানিক্যালে এসো না, নিজেও বিপদে পড়বা, অন্যদেরও বিপদে ফেলবা। প্যাশন সব ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষ করে মেকানিক্যালের জন্য অনেক বড় একটা ফ্যাক্টর।
রেফারেন্স

0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন