Subject Review -EEE
নামটা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে ইচ্ছুক এমন সকলের কাছেই নামটা পরিচিত।
EEE এর পূর্নরূপ হলো Electrical & Electronic Engineer যার বাংলা করলে দাঁড়ায়
"তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল"..নাম দেখেই সাবজেক্ট সম্পর্কে অনেকাংশে ধারনা করা যায়।
সবচেয়ে পুরোনো,প্রচলিত,আভিজাত্যের স্বাক্ষর এই বিষয়ের গুরুত্ব আমরা ঘুম থেকে উঠা শুরু করে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত দেখতে পাই। সত্যি বলতে মহাবিশ্বের ক্ষুদ্রতম কনার একটিকে বাদ কিভাবে চলা সম্ভব!! হ্যা, আমি ইলেক্ট্রনের কথাই বলছি!! দিনের শুরু থেকে শেষে এই ছোট কনার প্রবাহের উপরেই আমাদের লাইফস্টাইল গড়ে উঠতেছে,আর এই প্রবাহের প্রকৌশলীই হলো ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা। তাই আলাদা করে বিষয়ের গুরুত্ব বোঝাব না..
অনেকেই বলবে"ভাইয়া,এই বিষয়ের ক্ষেত্র কোন কোন জায়গায়??"এই ছোট প্রশ্নের উত্তর হিসাব হিসাবে বলতে পারি কোথায় নেই। যেখানেই বিদ্যুৎ এর নুন্যতম ছোয়া আছে সেখানেই আমাদের কাজ!!আর বিদ্যুৎ এর কাজ নেই এমন কিছু পাওয়া সত্যিই বর্তমানে খুবই কঠিন ব্যাপার।
এইচ এস সি তে তোমার যদি Math বা Physics খুবই পছন্দের বিষয় হয়,তোমার যদি সার্কিট সলভ করতে,ইকুয়েশন সলভ করতে খুবই ভালো লাগে,তোমার যদি ইলেক্ট্রনের মেকানিক্স যদি বিরক্তের না লাগে তবে ইইই তোমার জন্যই।আমি আবার বলছি ইইই তোমার জন্যই....
তোমার যদি উদ্ভাবনের খুব ইচ্ছা থাকে,যদি পৃথিবীতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে চাও তো তোমার জন্যই ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং.. মনে রেখ যে পৃথিবীতে আধুনিক সভ্যতার গোড়াপত্তন তড়িৎ এর উদ্ভাবনের পড়েই।
আপাতত ভাবে অনেকে মনে করে যে, ইইই তে শুধু পাওয়ার সেক্টর নিয়ে কাজ করে। কিন্তু মোটেই তা না!! তোমরা এবার একটু ইইই এর পরিধির দিকে লক্ষ্য করে দেখো-
1)Power
2)Electronics
3)Telecommunication
4)Computer
5)Electrical Machines
Power সেক্টর নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নাই।শুধু বলব যে, উন্নয়নশীল,সম্ভাবনার আমাদের এই দেশে বিদ্যুৎ এর দ্রুতবর্ধনশীল চাহিদার সামাল দিতে যে পরিমান পাওয়ার প্লান্ট,বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরী হবে তা নিয়ন্ত্রনের পুরো দায়িত্ব থাকবে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের উপরেই.।
Electronics নিয়েও তোমরা অনেকে জানো.. আর বর্তমানে ইলেক্ট্রনিক্স এর সাফল্য স্মার্টফোন,আইপ্যাড,ল্যাপটপ,টেলিভিশন আজ সবার হাতে আর ঘরে প্রয়োজনীতা এবং অবসরের সঙ্গী..ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া এসব ডিভাইস উন্নতির সাধ্যি কার বলো!!অনেকের রোবোটিক্স নিয়ে অনেক আগ্রহ.. Microcontroller আর Microprocessor অপূর্ব মিশ্রন রোবোটিক্সের প্রতি তোমার ভালোবাসা বাড়িয়ে দেবে বহু গুনে। চাহিদার এ যুগে তোমার উদ্ভাবনের ইচ্ছা থাকলে ইইই হলো তোমার জন্য সবচেয়ে ভালো অপশন।
Telecommunication হলো ইইই ইঞ্জিনিয়ারদের আরেক রনক্ষেত্র,যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই সেক্টর সবচেয়ে দ্রুত হবার কারনে এর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে।আমাদের দেশে নতুন নতুন তৈরী হওয়া নেটওয়ার্ক টাওয়ার, কভারেজ তৈরী আর সিস্টেম ম্যানেজমেন্টের জন্য প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক ইইই ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেওয়া হয়।নিজেকে Telecommunication Engineer হিসাবে দেখতে চাইলে ইইই নেওয়াটা তোমার জন্য চুড়ান্ত সুযোগ..
এইবার আসি Computer sector এ..Computer এমন এক ডিভাইস যাকে কোন কিছু থেকে বাদ দেওয়া যায় না আর ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের কম্পিঊটার থেকে বাদ দেওয়া যায় না!! কম্পিউটারের Microprocessor, Motherboard এর পরতে পরতে মিশে আছে ইইই ইঞ্জিনিয়ার।আর EEE পরে তোমার প্রোগ্রামিং করতে মোটেও অসুবিধা হবে না।আমার নিজের অনেক বন্ধুই আছে যারা ইইই পড়ে অস্থির লেভের কোডিং পারে!! এমনকি অনেকে ইইই পড়ে একসময় প্রোগ্রামিং এর দিকে ঝুকে যায়!!ইইই পড়েছ বলে তুমি কোডার হতে পারবে না এটা পুরোই অবান্তর একটি কথা..
ইইই এর চাকরির বাজার নিয়ে কথা বলা রীতিমতন বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়!!যতদিন পৃথিবীর মানুষের ইলেক্ট্রনের প্রবাহের প্রয়োজন হবে, ততদিন ইইই ইঞ্জিনিয়াররা পৃথিবীতে থাকবে,আর তাদের চাকরির ক্ষেত্র ও কমার সুযোগ নাই! ইইই পড়ে বাইরে যেয়ে জব, রিসার্চের সুযোগ অনেক বেশি, দেশ বিদেশ যেখানেই যাবে সেখানেই সম্মানজনক অবস্থানে থাকবে..তোমার যোগ্যতার আর মেধার উপযুক্ত সমন্বয়সাধন করতে পারলে চাকরী নিয়ে তোমাকে কখনো ভাবতে হবে না।
স্যালারি নিয়ে কিছুই বলার নয়,শুধু একটুকু বলবো গুগল থেকে ঘেটে একটু দেখে নিও। তবে স্যালারী নিয়ে না ভেবে সাবজেক্টের প্রতি ভালোবাসা নিয়েই পড়তে এসো।
সকলের জন্য শুভ কামনা,তোমার সকলের সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল যেন নেগেটিভ হয়।
আর যারা সত্যিকার অর্থে ইইই তে পড়তে চাও,তাদের জন্যও ভর্তি হবার শুভকামনা জানালাম,
দেখা হবে ইলেক্ট্রনের অর্ধঘূর্ননে :)
Samsad Hassan Arnob
KUET EEE'16
নামটা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে ইচ্ছুক এমন সকলের কাছেই নামটা পরিচিত।
EEE এর পূর্নরূপ হলো Electrical & Electronic Engineer যার বাংলা করলে দাঁড়ায়
"তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল"..নাম দেখেই সাবজেক্ট সম্পর্কে অনেকাংশে ধারনা করা যায়।
সবচেয়ে পুরোনো,প্রচলিত,আভিজাত্যের স্বাক্ষর এই বিষয়ের গুরুত্ব আমরা ঘুম থেকে উঠা শুরু করে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত দেখতে পাই। সত্যি বলতে মহাবিশ্বের ক্ষুদ্রতম কনার একটিকে বাদ কিভাবে চলা সম্ভব!! হ্যা, আমি ইলেক্ট্রনের কথাই বলছি!! দিনের শুরু থেকে শেষে এই ছোট কনার প্রবাহের উপরেই আমাদের লাইফস্টাইল গড়ে উঠতেছে,আর এই প্রবাহের প্রকৌশলীই হলো ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা। তাই আলাদা করে বিষয়ের গুরুত্ব বোঝাব না..
অনেকেই বলবে"ভাইয়া,এই বিষয়ের ক্ষেত্র কোন কোন জায়গায়??"এই ছোট প্রশ্নের উত্তর হিসাব হিসাবে বলতে পারি কোথায় নেই। যেখানেই বিদ্যুৎ এর নুন্যতম ছোয়া আছে সেখানেই আমাদের কাজ!!আর বিদ্যুৎ এর কাজ নেই এমন কিছু পাওয়া সত্যিই বর্তমানে খুবই কঠিন ব্যাপার।
এইচ এস সি তে তোমার যদি Math বা Physics খুবই পছন্দের বিষয় হয়,তোমার যদি সার্কিট সলভ করতে,ইকুয়েশন সলভ করতে খুবই ভালো লাগে,তোমার যদি ইলেক্ট্রনের মেকানিক্স যদি বিরক্তের না লাগে তবে ইইই তোমার জন্যই।আমি আবার বলছি ইইই তোমার জন্যই....
তোমার যদি উদ্ভাবনের খুব ইচ্ছা থাকে,যদি পৃথিবীতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে চাও তো তোমার জন্যই ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং.. মনে রেখ যে পৃথিবীতে আধুনিক সভ্যতার গোড়াপত্তন তড়িৎ এর উদ্ভাবনের পড়েই।
আপাতত ভাবে অনেকে মনে করে যে, ইইই তে শুধু পাওয়ার সেক্টর নিয়ে কাজ করে। কিন্তু মোটেই তা না!! তোমরা এবার একটু ইইই এর পরিধির দিকে লক্ষ্য করে দেখো-
1)Power
2)Electronics
3)Telecommunication
4)Computer
5)Electrical Machines
Power সেক্টর নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নাই।শুধু বলব যে, উন্নয়নশীল,সম্ভাবনার আমাদের এই দেশে বিদ্যুৎ এর দ্রুতবর্ধনশীল চাহিদার সামাল দিতে যে পরিমান পাওয়ার প্লান্ট,বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরী হবে তা নিয়ন্ত্রনের পুরো দায়িত্ব থাকবে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের উপরেই.।
Electronics নিয়েও তোমরা অনেকে জানো.. আর বর্তমানে ইলেক্ট্রনিক্স এর সাফল্য স্মার্টফোন,আইপ্যাড,ল্যাপটপ,টেলিভিশন আজ সবার হাতে আর ঘরে প্রয়োজনীতা এবং অবসরের সঙ্গী..ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া এসব ডিভাইস উন্নতির সাধ্যি কার বলো!!অনেকের রোবোটিক্স নিয়ে অনেক আগ্রহ.. Microcontroller আর Microprocessor অপূর্ব মিশ্রন রোবোটিক্সের প্রতি তোমার ভালোবাসা বাড়িয়ে দেবে বহু গুনে। চাহিদার এ যুগে তোমার উদ্ভাবনের ইচ্ছা থাকলে ইইই হলো তোমার জন্য সবচেয়ে ভালো অপশন।
Telecommunication হলো ইইই ইঞ্জিনিয়ারদের আরেক রনক্ষেত্র,যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই সেক্টর সবচেয়ে দ্রুত হবার কারনে এর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে।আমাদের দেশে নতুন নতুন তৈরী হওয়া নেটওয়ার্ক টাওয়ার, কভারেজ তৈরী আর সিস্টেম ম্যানেজমেন্টের জন্য প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক ইইই ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেওয়া হয়।নিজেকে Telecommunication Engineer হিসাবে দেখতে চাইলে ইইই নেওয়াটা তোমার জন্য চুড়ান্ত সুযোগ..
এইবার আসি Computer sector এ..Computer এমন এক ডিভাইস যাকে কোন কিছু থেকে বাদ দেওয়া যায় না আর ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের কম্পিঊটার থেকে বাদ দেওয়া যায় না!! কম্পিউটারের Microprocessor, Motherboard এর পরতে পরতে মিশে আছে ইইই ইঞ্জিনিয়ার।আর EEE পরে তোমার প্রোগ্রামিং করতে মোটেও অসুবিধা হবে না।আমার নিজের অনেক বন্ধুই আছে যারা ইইই পড়ে অস্থির লেভের কোডিং পারে!! এমনকি অনেকে ইইই পড়ে একসময় প্রোগ্রামিং এর দিকে ঝুকে যায়!!ইইই পড়েছ বলে তুমি কোডার হতে পারবে না এটা পুরোই অবান্তর একটি কথা..
ইইই এর চাকরির বাজার নিয়ে কথা বলা রীতিমতন বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়!!যতদিন পৃথিবীর মানুষের ইলেক্ট্রনের প্রবাহের প্রয়োজন হবে, ততদিন ইইই ইঞ্জিনিয়াররা পৃথিবীতে থাকবে,আর তাদের চাকরির ক্ষেত্র ও কমার সুযোগ নাই! ইইই পড়ে বাইরে যেয়ে জব, রিসার্চের সুযোগ অনেক বেশি, দেশ বিদেশ যেখানেই যাবে সেখানেই সম্মানজনক অবস্থানে থাকবে..তোমার যোগ্যতার আর মেধার উপযুক্ত সমন্বয়সাধন করতে পারলে চাকরী নিয়ে তোমাকে কখনো ভাবতে হবে না।
স্যালারি নিয়ে কিছুই বলার নয়,শুধু একটুকু বলবো গুগল থেকে ঘেটে একটু দেখে নিও। তবে স্যালারী নিয়ে না ভেবে সাবজেক্টের প্রতি ভালোবাসা নিয়েই পড়তে এসো।
সকলের জন্য শুভ কামনা,তোমার সকলের সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল যেন নেগেটিভ হয়।
আর যারা সত্যিকার অর্থে ইইই তে পড়তে চাও,তাদের জন্যও ভর্তি হবার শুভকামনা জানালাম,
দেখা হবে ইলেক্ট্রনের অর্ধঘূর্ননে :)
Samsad Hassan Arnob
KUET EEE'16
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন